
মিহি মন্তাজ : পর্ব ১৭
‘এক হাসপাতাল অসুখ নিয়ে আমি রোগ ছাড়া কতযুগ ধরে একটা জায়গায় নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিলাম। রোগী, নার্স, বেড, অক্সিজেনভরা ভূতের বাড়িটা হাসপাতাল সেজে রইল। কেউ আপত্তি জানাল না। মাঝে মাঝে কোমার নাম করে ব্ল্যাকআউট।’ অসুখের যাপনচিত্র।
‘এক হাসপাতাল অসুখ নিয়ে আমি রোগ ছাড়া কতযুগ ধরে একটা জায়গায় নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিলাম। রোগী, নার্স, বেড, অক্সিজেনভরা ভূতের বাড়িটা হাসপাতাল সেজে রইল। কেউ আপত্তি জানাল না। মাঝে মাঝে কোমার নাম করে ব্ল্যাকআউট।’ অসুখের যাপনচিত্র।
‘তিনখানি প্রাণী আপাতত জানা-অজানা ক্ষত নিয়ে এগোচ্ছি অনির্দিষ্ট দিগন্তের দিকে মুখ করে। রাস্তার ধারে একটা ঘর পড়ল অনেকটা হাঁটার পর। পরিত্যক্ত। দেওয়ালে পলেস্তারা খসে গিয়ে লুপ্ত এক দেশের ম্যাপ। পথিকের কথা ভেবে কেউ বানিয়েছিল।’ নিরুদ্দেশ যাত্রা।
‘আস্ত একটা ইলেকট্রিফায়েড, দুম্বো গাড়ি যাত্রী-সহ ঝলসে উঠলে সিনেমার মতো হবে। মরা লোক দোষ দিতে পারবে না উপদেশদাতাকে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে মাঠে এক-আধটা গরু-ছাগল বজ্রাহত হয়। তার সঙ্গে এর কোনও তুলনা হয় না কি? অনেকেই ফোন বের করে তৈরি আছে, ভিডিও করবে।’ অদ্ভুত হুজুগ।
‘ফোটোগ্রাফি-শিল্পের বিনোদনের চেনা সংজ্ঞাগুলো ধুলোয় লুটচ্ছে। কনটেন্ট ও স্টাইলের পাশাপাশি পলিটিক্স ও এস্থেটিক্স চলছে তার সমান্তরাল দৌড়ে। পশ্চিমে যা দেখার দেখে-বুঝে শহিদুলের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন। সে-সময়ের বাংলাদেশের পরিস্থিতি শিল্পীকে গদিমোড়া সোফায় নিশ্চিন্তে বসে থাকতে দেয়নি। মাথা থেকে শরীর যখন ক্রমাগত দগ্ধ হয়ে চলেছে, রোম্যান্স-আর্ট বিলাস কীভাবে অগ্রাধিকার পাবে? এই প্রদর্শনীতে তারই কর্ড প্রগ্রেশন।’
হাতের রেখা খুব ফাইন ব্যাপার। প্রত্যেক মানুষের জন্য কেউ নাকি প্ল্যানিং করেই চলেছে! এক্সক্লুসিভ নকশা করে, হাতে থ্রি-ডি প্রিন্ট করে, ফটাফট জিনে গুঁজে দিচ্ছে। নিজের আইডেন্টিটি কোড সঙ্গে নিয়েই আসছে মানুষ। কিন্তু কেন? কয়েক বছর আগে কেউ শুনেছে বায়োমেট্রিক টেস্টের কথা? সাপের চোখের মতো সবুজ আলোয় কী কী গুপ্ত তথ্য ওতে ধরা পড়ে, রাষ্ট্র ছাড়া আর কেউ জানে? রেখা মাহাত্ম্য
‘ছেলেপক্ষের হয়ে আমি প্রতিনিধিত্ব করি প্রাথমিক ভাবে। দু’পক্ষ রাজি হয়ে গেলে আমার কাজ শেষ। নিজেরা দেখার আগে এই বাফারটা এখন অনেকের কাছে সুবিধেজনক। আমার ঘটকালিতে হওয়া দুটো বিয়ে দিব্বি টিকে আছে এখনও। তাই, এই কাজ করি এমন খবর বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় ভালই ফল পাচ্ছি।’ সফল ঘটক।
‘স্বপনের ছোটবেলা কেটেছে বনগাঁতে, বহুদিন অবধি মাটির বাড়িতে। সেই মাটি পুড়িয়ে শক্ত ইটের বাড়িও এসেছে সময়ের নিয়ম ধরে। সেই সোঁদা মাঠ-ঘাট, গাছ-পাতালির মিতালি আজও আছে। মাঝবয়সের স্বপন এখন ঘর বেঁধেছেন আর এক গাঁয়ে। বীরভূমে। ফিরে পেয়েছেন ছেলেবেলার সেট। চলচ্চিত্র নির্মাণে বাধা থাকেনি। সেটি রয়ে গেছে মনের ভিতরে। দরকার পড়েনি অভিনেতার। স্মৃতির কথকতায় ছবিটা সাইলেন্ট হয়েও হয়নি।’
‘পাইলট ঘোষণা করল, ‘প্লেন টার্বুলেন্সের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা যেন এদিক-ওদিক যাতায়াত না করেন। সিটবেল্ট বেঁধে ফেলেন।’ খাবার না দেওয়া নিয়ে ডামাডোলে থ্রি এফ বিশেষ সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি। বললেন, ‘প্লেন ঝাঁকিয়ে, মিথ্যে ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করিয়ে দিল। এভাবে আমাদের দাবায়ে রাখা যাবে না কো।’’ বাঙালির প্লেনযাত্রা।
আজ থেকে একশো বছর আগে ভূমিষ্ঠ হওয়া ফ্র্যাজাইল শরীরের এই মানুষটির সৃষ্টি নিয়ে আর্ট দুনিয়া এই মুহূর্তে উত্তেজিত। অকশন হাউস, আর্ট গ্যালারি, বই প্রকাশ, ডকুমেন্টারি, কী না হচ্ছে। উনি রেখে গেছেন ওঁর জীবনভর সংগৃহীত, সৃষ্ট, অজস্র ক্ষত।’ শতবর্ষে সোমনাথ হোড় : ‘অর্থশীলা’, শান্তিনিকেতন; প্রদর্শনী চলবে ২০ মে, ২০২২ পর্যন্ত
যাবতীয় অবান্তর ব্যাপার থেকে নিজেকে সরানোর মতো ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। বাধ্য হয়ে বিকল্প খুঁজে চলেছি। অব্যাহত আছে মনের মধ্যে নক্কারজনক কল্পনার স্ট্রিমিং ভিডিও। কেউ বুঝে ফেললে সর্বনাশ। টেনশন হয় সারাক্ষণ।
‘দরজার বাইরে দুজন। অন্ধকারে প্রায় এক হয়ে আছে। চোখ সয়ে আসছে। দুটো মাথা কখনও আলাদা হচ্ছে। আবার ডুবে যাচ্ছে অন্যের মধ্যে। এরা কারা? ভাড়াটে? নাকি ওঁর পরিবারের কেউ? এমন একটা জায়গায় ওরা রয়েছে যে, পাশ দিয়ে না দেখার ভান করে নেমে যাওয়া যাচ্ছে না।’ অদ্ভুত পরিস্থিতি।
‘ক্রিসমাসের রাতে ওকে দেখতে পেলাম সেন্ট পলসের পাশের অন্ধকার রাস্তাটায়। দৌড়ে গিয়ে বললাম, ‘এই তো, কোথায় ছিলেন এতদিন?’ লোকটা বলল, ‘জানুয়ারির ফার্স্ট উইকে যাচ্ছি। যাবেন?’ হ্যাঁ বলে দিলাম। পাহাড়ের ব্যাপারটা তখনই শুনলাম। তারপর এই রাতের ট্রেন।’ উদ্ভট অ্যাডভেঞ্চারের পূর্বাভাস।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.