ফোনে রং, মনে রাইট

‘একখানা একাকী গরমের ছুটিতে ব্যাপারটা শুরু হয়। ‘হ্যালো, পিন্টু বলছ?’ নামের একটি ফোনকল ঠিক বেলা তিনটে নাগাদ পাপনদের ফোনে আসতে থাকে। এখানে বলে নেওয়া দরকার, কণ্ঠটি সুমধুর এবং সুনিশ্চিতভাবেই কোনো মরমী কিশোরীর।’ রং নম্বর।

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৭

‘হে অতীত, গুল্মপ্রাণ, জল দিই তোমাকে যে রোজ/ আমাকে ফুলের মতো ঘটনা ফিরিয়ে কিছু দাও।/ পড়োশির ঈর্ষা হই, পাখিদের পান্থশালা-খোঁজ…/ বদলে সময় যদি পেতে চাও, ফিরে দেব তাও।’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২৬

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমাদের যাদের দেখা হয়নি, তারা প্রায় প্রত্যেকেই জানি যে তাঁর সঙ্গে আমাদের রোজ দেখা হয়। তিনি আমাদের সাক্ষাৎ চেনেন না, কিন্তু তাঁর মতো করে আমাদের আর ক’জন চেনে? তাঁর লেখার মতো আমাদের কে-ই বা স্পর্শ করতে পারে?

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২৫

‘তারপরেই ঝোলা থেকে বেরোত যার-যার ডাইরি। কৌশিক আর আমি কবিতা লেখার চেষ্টা করছি তখন, সোমনাথ লিখছে অ্যানথ্রোপলজি বিষয়ক প্রবন্ধ, গম্ভীর আর চোস্ত ইংরেজিতে। পালা করে সেইসব পড়া হত।’ কৈশোরের লেখালেখি।

দূরপাল্লা : পর্ব ৯

কোনও কোনও গন্তব্যে পৌঁছনো একই সঙ্গে আনন্দ-বিষাদ-একাকীত্ব-গুমড়ে কান্না, সবই হাজির করে। সিলভিয়া প্লাথ-এর প্রিমরোজ হিল-এর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমার তাই মনে হয়েছিল। আর বুঝেছিলাম, আমি আর সিলভিয়া সময়ের কোনও একটা ফাঁদে একসঙ্গে রয়েছি।

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৬

‘দেখা কি হবে কখনও, ওই অন্ধে ও কাছিমে?/ শুনবে তারা সমুদ্রের যত অভিজ্ঞতা?/ এই অপার দৃষ্টিহীন স্থবির ইতিহাসে/ সবই তো আছে। কেবল নেই মাঝির কোনও কথা।’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২৫

আর্দ্রতা এবং দার্ঢ্য যিনি একইসঙ্গে মিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন তাঁর কবিতার মধ্যে, তিনি গীতা চট্টোপাধ্যায়। একদিকে চিরন্তন বাংলার নানা অনুষঙ্গ, অন্যদিকে সংলাপধর্মী স্বতন্ত্র বাচনভঙ্গি তাঁর কবিতাকে অনন্য করে তুলেছে।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২৪

‘আমি তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ, তারপর হাত রাখলাম অসংখ্য ছিদ্রে ভরা সেই সাদা পাতার উপর। এই তাহলে আমার কবিতা? কত-কত মানুষের কাছে আমার লেখার চেহারা তাহলে এই? অথচ তার শরীর স্পর্শ করেও তাকে আমি চিনতে পারছি না, বুঝতে পারছি না।’ কবিতার রহস্য।

দূরপাল্লা: পর্ব ৮

ভিনসেন্ট ভ্যানগখ এক মধুর বিষাদ। তাঁর জীবন যেমন বেদনা জাগায়, তেমনি কাজ পূর্ণ করে জীবনপাত্র। ভিনসেন্ট জীবনের শেষ দেড় মাস যে গ্রামে কাটিয়েছিলেন, অভে-সু-ওয়াজ, যা একশো বছর পরেও নিটোল, সেই পীঠস্থানে পুণ্য অর্জনের আখ্যান।

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৫

‘সীমা এই অধিকার। তাকে পার করা হল দোষ।/ কতটুকু যাব আর কতটুকু থেমে থাকব জেনে/ ভেসে আছি এ বাতাসে। যেরকম দ্বিধা ও সাহস/ আমাকে দু’ভাগ করে। মেলা থেকে অভিমান কেনে…’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২৪

বাংলা কবিতার জগতে ভাস্কর চক্রবর্তী এক বহতা নদী। যে নদীতে ডুব দেওয়া যায়, আঁজলা করে ছিটিয়ে আত্মা ভেজানো যায়, আবার আনমনে বসে থাকা যায় পাড়ে, কিন্তু সে নদী নিচু স্বরে অথচ তীব্র অভিঘাত নিয়ে বয়ে চলে ঋদ্ধ করে তোলে দুই কিনারা।

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল: পর্ব ২৩

ভরা বসন্তে চলত আমাদের দেদার রিহার্সাল। আর সেই রিহার্সালের আনন্দ, মজা বা রোমাঞ্চ খোদ অনুষ্ঠানের চেয়ে ছিল ঢের বেশি। ছোটদের নাটক যে প্রতিবার হতো, এমনটা নয়। কিন্তু এক কি দু’খানা সমবেত সংগীত থাকতই। সেও কি কম আনন্দ? বসন্তের অনুষ্ঠান।