কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৮

এই কবিতাগুচ্ছের মধ্যে দিয়ে আসলে নিজের মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী পৃথিবীকে দেখতে পাওয়া যায়। কখনও স্বপ্নে, কখনও কল্পনায়, কখনও বাস্তবে। আশা-উজ্জ্বলতার কথা ছেড়ে আচমকা মৃত্যুর কথা কেন? আসলে চারপাশটা বর্তমানে এমনই হয়ে উঠেছে, মৃত্যুকে কিছুতেই আর অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৭

একরকম ঠান্ডা ঠান্ডা অনিচ্ছুক হাওয়া বইত গোটা পাড়া জুড়ে, রাস্তার এদিক সেদিক থেকে জেগে উঠত জমা জলের টলটলে আয়না, বাড়ি বাড়ি হারমোনিয়ামের ডানা মেলে দেওয়া সন্ধেবেলায়, মোমের শিখা আর রিকশার ভেঁপু মিলেমিশে সে এক আজব কান্নাকাটি রং। নাছোড় ছেলেবেলা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৮

বাংলাভাষা কয়েক জন যে বিরল এবং একই সঙ্গে একা কবি রয়েছেন, গীতা চট্টোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আর্দ্রতার সঙ্গে দৃঢ়তার এক অদ্ভুত মিশেল রয়েছে তাঁর কবিতা। স্বঘোষিত নারীবাদী না হয়েও পরতে পরতে প্রতিবাদ কিন্তু পুরুষের সঙ্গে বৈরিতার আভাস কোথাও নেই। এমন আশ্চর্য কবিতা ও কবি সত্যি বিরল।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৭

‘আমার স্থবির মন হয়েছে আরেকটু স্থানীয়,/ এই বয়সে স্থৈর্য মানায়, বলেছে প্রত্যেকে।/ কিন্তু যখন শিরা অবশ, পিথাগোরাস খুলে/ কোন রেখা কোন রাস্তায় যায়, মিলিয়ে নিতে পারি।/ ঠোঁট কি তোমার ফারাক বোঝে, ডানায় ও মাস্তুলে?/ তোমার মধ্যে একটি পাখি অপহরণকারী।’ নতুন কবিতা।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৭

অন্ধকার বেশির ভাগ সময়ই চেনা রূপে আসে। অবশ্য অচেনা রূপেও জীবনে হানা দেয়। চেনা অন্ধকারে তবু হাতড়ানো যায় জীবন, মোমবাতি বা দেশলাই বাক্স কিন্তু অচেনা অন্ধকারে অজানা ভয়ের সঙ্গে যুঝে যাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না। এ বারের আড্ডাঘরে চতুর্দশপদী অন্ধকার লেখাগুচ্ছের আনাগোনা। শিরোনামহীন অন্ধকারের চর্চা।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৬

‘তোমাকে দেখিয়ে দেব, নিজেকেই দেখব বারবার/ তোমার যা আছে আজ, কাল থেকে আমার। আমার/ জল ক্ষেতে আসবে লাশ, রক্তে ভরে উঠবে এই হ্রদ—/ হে সভ্যতা, মায়াবী বিপদ/ কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, বলে দাও, কারা চতুষ্পদ।’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৭

প্রকৃত অর্থে একেবারেই নিরাভরণ তাঁর কবিতা। অথচ দেখার দৃষ্টি তাকে অনন্য করেছে। আমাদেরই চেনাজানা পৃথিবীকে একটা বৈঠকী ঢঙে দীর্ঘকাল ধরে নতুন করে চিনতে শিখিয়েছেন তিনি। কবি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটাই নিজস্ব ধরন। আজ এই পর্বে তাঁরই কিছু কবিতা রইল।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৬

সময় এখন দীর্ঘদিন ধরে মেঘের মধ্যে আটকে আছে। দীর্ঘ বর্ষাকাল, বিলম্বিত লয়ের গানের মতোই, ঢিমে তালে এগিয়ে চলেছে। এই শহরে এমন একটাও দিন যাচ্ছে না, যেদিন আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেই! সেই কারণেই উঠে এল বর্ষার অনুষঙ্গে লেখা সেইসব কবিতার কথা, যাদের গায়ে আজও মেঘের মায়া জড়ানো!

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৬

‘…শেষমেশ কিন্তু দেখা যেত, সকলের রথ-সাজানোই হরেগড়ে প্রায় একরকম হয়েছে। আর হবে না-ই বা কেন! সকলেই মধ্যবিত্ত, সকলেই পাড়ার একই দোকান থেকে একটু কাগজ আর টুকিটাকি কিনেছে, আর রথও সকলের তিনফুটিয়া। এর মধ্যে কত আর আলাদা হবে কেউ?’ রথের কথা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৬

তাঁর সঙ্গে কোনওদিনই সামনাসামনি দেখা হওয়ার উপায় নেই আমাদের, কিন্তু এক অর্থে তাঁর সঙ্গে প্রতিটা দিনই আমাদের দেখা হয়। তাঁর গানে, তাঁর কবিতায়। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সে এমনই আশ্চর্য যোগাযোগ, তাকে ব্যাখ্যা করা যায় না। এই পর্বে রইল বর্ষার অনুষঙ্গে রচিত তাঁরই কিছু গানের কথা।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৫

‘দু’পাশে নগরবাসীর ভিড় জমেছে/ আলো খুব নরম, যেন তুলোর তারিখ/ অকারণ গুঞ্জনে সে রইল বেঁচে,/আমি ঠিক সেইখানে পৌঁছতে পারি।/ সেখানে পাথর ধুলোর ব্যবসা চলে/বণিকের সঙ্গদোষে পাহাড় বিকোয়/ ছায়া কেউ বিক্রি করে বিকেলজলে/জানে সূর্যাস্ত কিছু অন্য দিকও…’ নতুন কবিতা।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৫

আমাদের প্রত্যেকের অতীতেই হয়তো কোনও না কোনও একলা ক্ষত কিছু থাকে, যা বালিতে চাপা পড়ে যায়, পাতায় ঢাকা পড়ে যায়! কিন্তু বর্ষা যখন ঝমঝমিয়ে নেমে আসে, তখন সেই বালি ধুয়ে গিয়ে, পাতা সরে গিয়ে, সেই সব একলা ক্ষতগুলো কবিতার মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত বেরিয়ে আসতে থাকে।