কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৭

প্রকৃত অর্থে একেবারেই নিরাভরণ তাঁর কবিতা। অথচ দেখার দৃষ্টি তাকে অনন্য করেছে। আমাদেরই চেনাজানা পৃথিবীকে একটা বৈঠকী ঢঙে দীর্ঘকাল ধরে নতুন করে চিনতে শিখিয়েছেন তিনি। কবি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটাই নিজস্ব ধরন। আজ এই পর্বে তাঁরই কিছু কবিতা রইল।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৬

সময় এখন দীর্ঘদিন ধরে মেঘের মধ্যে আটকে আছে। দীর্ঘ বর্ষাকাল, বিলম্বিত লয়ের গানের মতোই, ঢিমে তালে এগিয়ে চলেছে। এই শহরে এমন একটাও দিন যাচ্ছে না, যেদিন আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেই! সেই কারণেই উঠে এল বর্ষার অনুষঙ্গে লেখা সেইসব কবিতার কথা, যাদের গায়ে আজও মেঘের মায়া জড়ানো!

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৬

‘…শেষমেশ কিন্তু দেখা যেত, সকলের রথ-সাজানোই হরেগড়ে প্রায় একরকম হয়েছে। আর হবে না-ই বা কেন! সকলেই মধ্যবিত্ত, সকলেই পাড়ার একই দোকান থেকে একটু কাগজ আর টুকিটাকি কিনেছে, আর রথও সকলের তিনফুটিয়া। এর মধ্যে কত আর আলাদা হবে কেউ?’ রথের কথা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৬

তাঁর সঙ্গে কোনওদিনই সামনাসামনি দেখা হওয়ার উপায় নেই আমাদের, কিন্তু এক অর্থে তাঁর সঙ্গে প্রতিটা দিনই আমাদের দেখা হয়। তাঁর গানে, তাঁর কবিতায়। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সে এমনই আশ্চর্য যোগাযোগ, তাকে ব্যাখ্যা করা যায় না। এই পর্বে রইল বর্ষার অনুষঙ্গে রচিত তাঁরই কিছু গানের কথা।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৫

‘দু’পাশে নগরবাসীর ভিড় জমেছে/ আলো খুব নরম, যেন তুলোর তারিখ/ অকারণ গুঞ্জনে সে রইল বেঁচে,/আমি ঠিক সেইখানে পৌঁছতে পারি।/ সেখানে পাথর ধুলোর ব্যবসা চলে/বণিকের সঙ্গদোষে পাহাড় বিকোয়/ ছায়া কেউ বিক্রি করে বিকেলজলে/জানে সূর্যাস্ত কিছু অন্য দিকও…’ নতুন কবিতা।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৫

আমাদের প্রত্যেকের অতীতেই হয়তো কোনও না কোনও একলা ক্ষত কিছু থাকে, যা বালিতে চাপা পড়ে যায়, পাতায় ঢাকা পড়ে যায়! কিন্তু বর্ষা যখন ঝমঝমিয়ে নেমে আসে, তখন সেই বালি ধুয়ে গিয়ে, পাতা সরে গিয়ে, সেই সব একলা ক্ষতগুলো কবিতার মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত বেরিয়ে আসতে থাকে।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৫

‘একা সেই মুড়ি কীভাবে আর পথ চিনে ফিরে আসবে। আজ বুঝি, মুড়ি মাখার আসল উপকরণটাই সেদিন বুঝতে পারিনি। ছোটবেলা দিয়ে মাখা হত সেই মুড়ি। মধ্যবিত্ত, সাধারণ ছোটবেলা দিয়ে। তাই সে আজ এত আশ্চর্য হয়ে ফুটে আছে ভাবনায়।’ ছেলেবেলার মুড়ি-মাখা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৫

কইফি আজমি এমন এক সময়ের মানুষ ছিলেন, যে-সময়ে ভারতবর্ষ খুবই টালমাটাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। আর সে-সময়ে চুপ করে থাকার বদলে তিনি বেছে নিয়েছিলেন কথা বলবার স্বাধীনতাকে। আজীবন সহজ প্রকাশভঙ্গির মধ্যে দিয়ে লিখে গেছেন তাঁর আশ্চর্য দিন-রাত্রিগুলো! আজ যা পেয়ে আমরা মুগ্ধ, বিস্মিত।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪

‘বাজারে নীল আপেল ওঠে বৃষ্টি ধরার পরে,/ সন্দেহ তার মিনার খোলে, সুযোগ নিজের ঝুলি/ হারানো মুখ কেউ আঁকে ঠিক গোয়েন্দা দফতরে/ডাইরি নিজের মধ্যে লুকোয় অচেনা অঙ্গুলি।/ ছুটছ তুমি। থামবে না। মন নির্দেশিকা শোনায়।/ বন্দি নজর এড়িয়ে ফের দেখতে পাব কবে?’ নতুন কবিতাগুচ্ছ।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৪

কলকাতায় বর্ষা এ বছর সময়ের আগেই ঢুকে পড়েছে। আচমকা আকাশের কোণে জমে উঠছে মেঘ। দু-বছর আগেও যেখানে বর্ষাকাল মানে ছিল বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হই হই করা, আড্ডা… আজ তার জায়গায় ঘরবন্দি দিনযাপন। সঙ্গী একমাত্র কবিতাই, যা আজ এনে দিতে পারে অতীতের ভিজে একরাশ স্মৃতি।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৪

‘ছুটির দিনগুলোতেই খেলা হত বেশি, মনে আছে। স্কুল থাকলে পড়ি কি মরি করে ফিরে বাড়িতে ব্যাগটা নামিয়েই মাঠে, আর না-থাকলে সাড়ে তিনটে বেজেছে কি বাজেনি, পাড়ায় ক্রিকেট বাহিনীর টহল শুরু। একে-তাকে বাড়ি থেকে ডেকে ডেকে বার করা, তারপর মাঠে হাজির।’ ছোটবেলার ক্রিকেট।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৪

এক-একজন মাইলফলক এমন আসেন, যাঁদের বাকিদের থেকে আলাদা করে সরিয়ে রাখতে হয়। ভাস্কর চক্রবর্তী তেমনই একজন কবি! কী তীক্ষ্ণ, অথচ একইসঙ্গে কী উদাসীন সমস্ত কবিতা তাঁর! অনেকে বলেন তিনি অবসাদের কবি, কিন্তু তাঁর কবিতায় জীবনের যে উদযাপন, তা-ই তাঁকে অনন্য করেছে।