শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৯

‘রুটির দোকান থেকে যতদূর খিদের ধারণা/ তোমাকে তো তারও দূরে ছেড়ে দিয়ে এসেছি কবেই।/ এখন বাজারে সন্ধে, কিশোরীর পথগান শোনা…/ প্রার্থনার চেয়ে আর বড় কোনও অপরাধ নেই।’ এই পর্বে রয়েছে এরকমই চার লাইনের নতুন আটটি কবিতা।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৯

অসহায়তা যখন অক্ষম আক্রোশে ফেটে পড়ে, জন্ম নেয় কবিতা। সর্বনাশের পরেও সাহসের কুঁড়ি ফোটে, জন্ম নেয় কবিতা। বিদীর্ণ মন কুঁকড়ে যখন ছোট্ট হয়ে আসে, জন্ম নেয় কবিতা। সে কবিতায় স্ফূরণ থাকলেও ফূর্তি থাকে না। ধ্বংস কাব্যগ্রন্থে তাই বিদীর্ণতার সমাহার।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৮

বড় হয়ে যখন সমস্ত হৈমন্তী মনকেমনের জন্যে জীবনানন্দকে দোষারোপ করেছি, তখন আসলে শূন্যতাকে এড়িয়ে চলতেই চেয়েছি কোথাও। চেয়েছি, কেউ এসে এই ব্যাখ্যাহীন নিঃস্বতার দায় নিক, কেউ এসে আমার হাত থেকে কাঁধে তুলে নিক এই অর্থহীন উদাসীনতার ক্রুশ। হেমন্তের একাকীত্ব।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৯

যে কোনও ভাষাতেই অনুবাদ অত্যন্ত কঠিন কাজ, বিশেষত সাহিত্যক্ষেত্রে। যে মূল ভাষায় কবিতা লেখা হয়েছে, তার মাধুর্য্য নিজের ভাষায় প্রকাশের দায়িত্ব রয়ে যায়। এই পর্বে থাকছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় অনুদিত ফরাসি কবিতা। রয়েছেন জাক্‌ প্রেভের, পল এলুইয়া, জ্যঁ ককত্যু, গ্যিয়ম অ্যাপোলোনিয়ার।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৮

‘ধ্বংসের আলোয় আমি দেখেছি তোমার প্রিয় মুখ/ উপগ্রহ থেকে ঠিক যেরকম লাগে বসুন্ধরা—/ ক’কোটি মন্বন্তর চলে গেছে। যে ভোলে ভুলুক,/ আমি তো ভুলছি না তুমি সময়ের গর্ভে সহোদরা/ জানি সব শুষে নেয় অন্ধকার। হাওয়া সর্বভুক।/ আমার নিয়তি তবু তোমাকে বিশ্বাস করে মরা!’ নতুন কবিতা।

ড্রাইভারের ভার লাঘব

‘শিগগির বাজারে আসছে স্বয়ংচালিত গাড়ি। স্বয়ংক্রিয় তো আগেই ছিল, এবার চালিতও। মানে, চালকের আসনে আর কাউকে প্রয়োজনই হচ্ছে না। গাড়ি আপনাআপনি চালু হবে, এগোবে-পিছোবে, মোড় ঘুরবে, আমার-আপনার যেখানে যাবার ঠিক নিয়ে যাবে।’ ড্রাইভারহীন গাড়ি।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৮

এই কবিতাগুচ্ছের মধ্যে দিয়ে আসলে নিজের মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী পৃথিবীকে দেখতে পাওয়া যায়। কখনও স্বপ্নে, কখনও কল্পনায়, কখনও বাস্তবে। আশা-উজ্জ্বলতার কথা ছেড়ে আচমকা মৃত্যুর কথা কেন? আসলে চারপাশটা বর্তমানে এমনই হয়ে উঠেছে, মৃত্যুকে কিছুতেই আর অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৭

একরকম ঠান্ডা ঠান্ডা অনিচ্ছুক হাওয়া বইত গোটা পাড়া জুড়ে, রাস্তার এদিক সেদিক থেকে জেগে উঠত জমা জলের টলটলে আয়না, বাড়ি বাড়ি হারমোনিয়ামের ডানা মেলে দেওয়া সন্ধেবেলায়, মোমের শিখা আর রিকশার ভেঁপু মিলেমিশে সে এক আজব কান্নাকাটি রং। নাছোড় ছেলেবেলা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৮

বাংলাভাষা কয়েক জন যে বিরল এবং একই সঙ্গে একা কবি রয়েছেন, গীতা চট্টোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আর্দ্রতার সঙ্গে দৃঢ়তার এক অদ্ভুত মিশেল রয়েছে তাঁর কবিতা। স্বঘোষিত নারীবাদী না হয়েও পরতে পরতে প্রতিবাদ কিন্তু পুরুষের সঙ্গে বৈরিতার আভাস কোথাও নেই। এমন আশ্চর্য কবিতা ও কবি সত্যি বিরল।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৭

‘আমার স্থবির মন হয়েছে আরেকটু স্থানীয়,/ এই বয়সে স্থৈর্য মানায়, বলেছে প্রত্যেকে।/ কিন্তু যখন শিরা অবশ, পিথাগোরাস খুলে/ কোন রেখা কোন রাস্তায় যায়, মিলিয়ে নিতে পারি।/ ঠোঁট কি তোমার ফারাক বোঝে, ডানায় ও মাস্তুলে?/ তোমার মধ্যে একটি পাখি অপহরণকারী।’ নতুন কবিতা।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৭

অন্ধকার বেশির ভাগ সময়ই চেনা রূপে আসে। অবশ্য অচেনা রূপেও জীবনে হানা দেয়। চেনা অন্ধকারে তবু হাতড়ানো যায় জীবন, মোমবাতি বা দেশলাই বাক্স কিন্তু অচেনা অন্ধকারে অজানা ভয়ের সঙ্গে যুঝে যাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না। এ বারের আড্ডাঘরে চতুর্দশপদী অন্ধকার লেখাগুচ্ছের আনাগোনা। শিরোনামহীন অন্ধকারের চর্চা।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৬

‘তোমাকে দেখিয়ে দেব, নিজেকেই দেখব বারবার/ তোমার যা আছে আজ, কাল থেকে আমার। আমার/ জল ক্ষেতে আসবে লাশ, রক্তে ভরে উঠবে এই হ্রদ—/ হে সভ্যতা, মায়াবী বিপদ/ কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, বলে দাও, কারা চতুষ্পদ।’ নতুন কবিতা।