কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৫

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষা ঋতুকে যে ভাবে তাঁর গান ও কবিতায় প্রকাশ করেছেন, যে ভাবে মূর্ত করে তুলেছেন, আর কোনও কবি বর্ষার বিভিন্ন রূপ ও তার অনুসঙ্গকে সেভাবে আমাদের মনে প্রবেশ করাতে বা ছুঁতে পেরেছেন কি না জানা নেই। আপাত নিত্য ব্যবহৃত শব্দ বসিয়ে তিনি গান বা কবিতার পূর্ণ রূপ দেন, তখন আশ্চর্য হয়ে যেতে হয় সেই গানের বা কবিতার দ্যোতনায়। হয়তো বা সে ইজন্যই তিনি কালজয়ী।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৫

সকাল থেকেই মেঘ করে আসত যেসব দিন, সেসব দিনে স্কুলের চেহারাটাই পাল্টে যেত। বারান্দা আর করিডোরগুলোয় অল্প ঠান্ডা হাওয়া আর মেঘ-লাগা-সবুজের ক্লোরোফিল-আলো। স্কুলের দরজা দিয়ে ঢোকামাত্র একখানা বড় চত্বর ছিল, যেখানে বিশাল এক জলের ট্যাঙ্ক থাকত। আমরা সেখান থেকে জল খেতাম, হাতমুখও ধুতাম। তার উপরটা ছিল খোলা আকাশ। আর তার গায়ে গাছের ডালে বসে থাকা হরেকরকম পাখি আঁকা ছিল।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৪

‘বাইরে তখন বৃষ্টিসড়ক চুঁয়ে
জল চলে গেছে গতজন্মের পার…
মনখারাপেরা উড়ে যাক এক ফুঁয়ে-
সন্ধে হলে তো বন্ধুকে দরকার।’ বর্ষা এমন একটা কাল, যা ঘাড়ে ধরে কবিতা লিখিয়ে নেয়। মনে এমন বৃষ্টির জল জমে, তাতে কবিতার নৌকা না ভাসালে মহাপাপ হয়। মেঘদূতের চর্চা।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৫

‘আমার বাড়ি নামুক রুটি/ আমার পাতে পড়ুক স্যুপ/ আমার ছোট বাচ্চাদুটি/ সব বুঝেও থাকুক চুপ/ যুদ্ধ কত প্রয়োজনীয়/ না-ই বা ফেরে ক’জন লোক/ তাদের তুমি কবর দিও/ আমার গাছে আপেল হোক’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৫

‘কবির সঙ্গে দেখা’র নিয়ম থাকে, যে-সমস্ত কবির সঙ্গে দেখা হয়নি শ্রীজাতর, তাঁদের কবিতা পড়া। কিন্তু এবার সেই নিয়ম ভেঙে হাজির হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। তিনি আজ নেই, কিন্তু তাঁর কবিতা আমাদের আজও আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এবারের কবিতা-পাঠ ‘সীমান্তবিহীন দেশে-দেশে’ নামক তাঁর শেষ কাব্যগ্রন্থ থেকে।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৪

বাবা বাড়িতে নেই, মা ডুবে আছে গানে, সবিতাদি ভারী যত্ন করে আমাকে বেড়ে খাওয়াত মাংস ভাত। স্টিলের একখানা চকচকে কানাউঁচু থালা ছিল আমার। সেইটায় আচ্ছা করে সময় নিয়ে চেটেপুটে খেতাম। যত বেশি সময় ধরে সেই আশ্চর্য রান্নার স্বাদ নেওয়া যায়, ততই আমার ভাল।’ রোববার আর সবিতাদি।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৩

অন্য কথায়, অন্য মানুষের কথায় মিশে থাকা নিজের মনের অনুভূতি। এ কবিতা যেমন অন্যের, তেমন তাঁরও। এ কবিতা আদত উদুর্তে জাভেদ আখতারের, অনিবাদে শ্রীজাত। কিন্তু কবি যে কখন অনুবাদকের অনুভূতির মধ্যে চাড়িয়ে গিয়ে তৈরি করেন আশ্চর্য এক মিশেল, তা বোঝা দায়। তাই এ কবিতা যেমন জাভেদ আখতারের, তেমন শ্রীজাতর। আসলে অনুবাদ কবিতা না ভেবে বরং, মিশ্র-অনুভূতির কবিতা বলাই ভাল।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৪

‘প্রহরা দুর্গের মন। অপরাধ শাস্তির প্রেরণা।/ মাঝে যে-পরিখা, তাতে আশঙ্কা টলটল করে রাতে।/ শত্রুদের চাঁদ দ্যাখো। তির লেগে ভেঙে যাওয়া কোনা…/ আরও বুঝি যুদ্ধ চাই, নাগরিকে জোছনা বোঝাতে।’ নতুন কবিতা।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৩

‘কত মানুষ এসে দেখা করছেন তাঁর সঙ্গে, সকলের দিকে একই রকম হাসিমুখ নিয়ে তাকাচ্ছেন সুনীলদা। আর দোলের ওই চড়া রোদের তাপে তাঁর বয়স গলতে-গলতে কমে দাঁড়াচ্ছে সাতাশে। আমাদের চোখের সামনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রূপান্তরিত হচ্ছেন নীললোহিতে।’ দোলের শান্তিনিকেতন।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৪

ঈশ্বর গুপ্ত এমন এক জন কবি যাঁর ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা বেঁচে উঠেছে, উজ্জীবিত হয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার বহমান স্রোতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শুরুর দিকের কবি তিনি, পরলোক গমন করেছেন ১৮৫৯ সালে, অথচ কী আধুনিক, কী উদার মন। তাঁর কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয়, আমরা তখন কত এগিয়ে ছিলাম মানসিকতার দিক দিয়ে, সেই উদারমনস্কতা বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারব তো?

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৩

“যে তোমার মার্চ মাস, ছুটি নিয়ে জুলাই সেজেছে/তার টুপি পড়ে আছে বালিতে, সে সমুদ্রে উদাস/তুমি কী আশ্চর্য লোক/ভাঙা সময়ের মধ্যে বেঁচে/বৃষ্টির সুতোয় বুনে বসে আছ বসন্তের মাস”। নতুন কবিতা

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১২

আমাদের চারপাশটা আবারও অন্ধকার হয়ে আসছে। আশঙ্কার কালো মেঘ যেন মাথার ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে, দেখা যায়। এই বিপন্ন সময়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে, কালকের সিরিয়া, আজকের ইউক্রেন সব একাকার হয়ে গেছে। সর্বত্র শুধু ভয় আর আতঙ্ক। এই পর্বের কবিতাগুচ্ছের মধ্যে সেই কালো সময়েরই প্রতিধ্বনি।