শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৮

‘আজও কারা বন্ধ রাখে চোখ/ আজও কারা ভেবে চলে, ভাল চায় অধিকাংশ লোক/ আমি দূর থেকে দেখি তাদের। ভেতর থেকে হাসি।/ সন্ধে নেমে এলে/ আস্থার কবরে যাই। মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখে আসি।’ নতুন কবিতা।

দূরপাল্লা : পর্ব ১

শুরু হচ্ছে নতুন ভ্লগ— দূরপাল্লা। না, কেবল বেড়ানোর ভ্লগ নয়। ভাললাগা, অভিজ্ঞতা, উত্তেজনা, মেদুরতা আর ভিন্ন যাপনের কাহিনি। নিজের খোঁজ অন্য ভাবে, অন্যকে খুঁজে নেওয়া নিজের মতো করে। বার বার যা অসীমের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়, বার বার মনে করিয়ে দেয় বিশালতার কথা।

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৭

সেসব দিনকালে ছোট ছোট পাড়াগুলোয় সন্ধের পর শব্দ-আওয়াজ তেমন হতো না। কয়েক বাড়িতে টিভির আওয়াজ, কোথাও রেডিও নাটক চলছে, আবার কিছু বাড়ির জানলায় নিয়মমাফিক গলা সাধা। সেসব আমাদের কানে আসত রোজই, মন্দ লাগত যে, এমনও নয়। কানে আসত আরও একটা স্বর। বিশেষত, সন্ধের পর বা রাতের দিকে লোডশেডিং হলেই শুনতে পেতাম, দিলীপ জেঠুদের বাড়ির জানলায় বেহালা বাজছে। স্মৃতির সুর বেয়ে।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৭

পঁচিশ বছরের পুরনো একটা প্রেমের কবিতার সংকলন। যেখানে কখনও অনাবিল আটপৌরে বয়ানে উঠে এসেছে ভালবাসার কথা, তেমনই কোনও কবিতার মধ্যে দিয়ে উচ্চারিত হয়েছে তারুণ্যের আবেগপূর্ণ প্রেম। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বিনয় মজুমদার, কবিতা সিংহ প্রমুখের কবিতা রইল এই পর্বে।

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ১৭

‘মিছিল তোমায় চেনাল এই দেশে/ ওই ভেসে যায় তরণীবক্তৃতা—/ দ্যাখেইনি যে, কী করে আঁকবে সে/ নদীর উপর জ্বলন্ত সেই চিতা?/ বরং তাকে বিচার করা ভাল/ যে-বালিকা প্রবঞ্চনায় ধীর…/ তোমার প্রিয় তরুণ পরিচালক—/ আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৬

শক্তি চট্টোপাধ্যায় এমন এক জন কবি, যিনি বুকের গহীনে সব সময় উচ্চারিত হতে থাকেন। তাঁর স্বতত টলটলে উপস্থিতি সর্বদা বিদ্যমান। কিন্তু তা ভার বাড়ায় না। তাঁর উপস্থিতি বড় অনায়াস। কিন্তু তাঁর লেখা আত্মস্থ করার সময় মনে হয় তিনি অনন্য। আপাত সহজতা থাকলেও, তা সহজে লেখা যায় না। তাই তাঁর সঙ্গে বার বার দেখা করতে হয়।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৬

‘বাগডোগরা থেকে দার্জিলিং যাবার পথটুকু আমাদের ভারী ভাল লাগে, বরাবরই। কিন্তু এই মেঘবৃষ্টির মরসুমে তা যেন আরও অন্যরকম হয়ে উঠেছিল। রোহিণী হয়ে পাঙ্খাবাড়ি রোড ধরে সোজা দার্জিলিং, চেনা রুট। কিন্তু সেই রুটম্যাপই বর্ষায় কেমন যেন অচেনা হয়ে ওঠে, সেটাই দেখলাম এবার।’
দার্জিলিং আর দলমা।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৫

শ্রাবণকাল এলে য়ে কেবল বৃষ্টিই ভেজায়, এমনটা নয়। ঝাপটা দিয়ে ভিজিয়ে দেয় এমন অনেক স্মৃতি, যা অন্য ঋতুতে তেমন প্রকট হতে পারে না। বর্ষার বৃষ্টি এসে মনের তালা ঝাপটা মেরে খুলে দেয় আর ঝমঝমিয়ে সে সব অনুভূতি সিক্ত করে মনের মাটি। খুব ব্যক্তিগত কিছু লেখা, স্মৃতি, কবিতা ভেসে ওঠে মনের উপরিতলে। সে সব অনুভূতির জটলাই হল এই খুব ব্যক্তিগত কবিতারা।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৬

‘যে আছে সে দূরে আছে, কাছের পাড়ার খুঁটিনাটি/ টানে না তোমাকে আর। গোপন ডানায় বেঁধে কাঁধ/ তুমি তাই উড়ে চলো বেশহর, বন্দরের ঘাঁটি/ মরমে মরে না প্রেম, অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ।’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৫

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষা ঋতুকে যে ভাবে তাঁর গান ও কবিতায় প্রকাশ করেছেন, যে ভাবে মূর্ত করে তুলেছেন, আর কোনও কবি বর্ষার বিভিন্ন রূপ ও তার অনুসঙ্গকে সেভাবে আমাদের মনে প্রবেশ করাতে বা ছুঁতে পেরেছেন কি না জানা নেই। আপাত নিত্য ব্যবহৃত শব্দ বসিয়ে তিনি গান বা কবিতার পূর্ণ রূপ দেন, তখন আশ্চর্য হয়ে যেতে হয় সেই গানের বা কবিতার দ্যোতনায়। হয়তো বা সে ইজন্যই তিনি কালজয়ী।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৫

সকাল থেকেই মেঘ করে আসত যেসব দিন, সেসব দিনে স্কুলের চেহারাটাই পাল্টে যেত। বারান্দা আর করিডোরগুলোয় অল্প ঠান্ডা হাওয়া আর মেঘ-লাগা-সবুজের ক্লোরোফিল-আলো। স্কুলের দরজা দিয়ে ঢোকামাত্র একখানা বড় চত্বর ছিল, যেখানে বিশাল এক জলের ট্যাঙ্ক থাকত। আমরা সেখান থেকে জল খেতাম, হাতমুখও ধুতাম। তার উপরটা ছিল খোলা আকাশ। আর তার গায়ে গাছের ডালে বসে থাকা হরেকরকম পাখি আঁকা ছিল।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৪

‘বাইরে তখন বৃষ্টিসড়ক চুঁয়ে
জল চলে গেছে গতজন্মের পার…
মনখারাপেরা উড়ে যাক এক ফুঁয়ে-
সন্ধে হলে তো বন্ধুকে দরকার।’ বর্ষা এমন একটা কাল, যা ঘাড়ে ধরে কবিতা লিখিয়ে নেয়। মনে এমন বৃষ্টির জল জমে, তাতে কবিতার নৌকা না ভাসালে মহাপাপ হয়। মেঘদূতের চর্চা।