
শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪৮
‘তোমারও ঘুমের রং কফির মতোই নীল কড়া ও কাফের/ যেমন নাটক ছিল পাড়ার মলিন স্টেজে ছোটকাকাদের/ তেমনই তোমার মন দুটো ছোট হাততালি জড়িয়ে ঘুমোয়/ বিরহ রাহুল দেব গুলজার হয়ে এসে পাশ ফিরে শোয়’

‘তোমারও ঘুমের রং কফির মতোই নীল কড়া ও কাফের/ যেমন নাটক ছিল পাড়ার মলিন স্টেজে ছোটকাকাদের/ তেমনই তোমার মন দুটো ছোট হাততালি জড়িয়ে ঘুমোয়/ বিরহ রাহুল দেব গুলজার হয়ে এসে পাশ ফিরে শোয়’

‘আমিও ঢাকের কাঠি থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছি অনেকদিন হল। মনে-মনে কত কী বিসর্জন দিতে হল এই ক’বছরে, আর কানে-কানে শুনতে পেলাম সেই ম্লান ঢাকের বাদ্যি, সে আর বলার না। বিষণ্ণতা আসলে এক শেষ-না-হতে-চাওয়া পূজা পর্যায়, আর দূর থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ আসলে হেমন্তকালের ডাক।’

‘ভাল মাঞ্জার জন্য যা যা সরঞ্জাম দরকার সব ওরাই কিনে আনত দোকান থেকে, কিন্তু আসল মন্ত্র ছিল কাচের গুড়ো। ওইটি ঠিকঠাকভাবে সুতোর গায়ে মাখিয়ে রাখতে পারলেই কেল্লা ফতে। এ-বাড়ি ও-বাড়ি থেকে বাতিল বোতল চেয়ে এনে বস্তায় পুরে শিলনোড়া দিয়ে সেসব কাচ ভাঙার কাজ চলত।’

‘না-জানে তোমার মুখ, এমনই তো গান/প্রতিটি বিচ্ছেদ জেনো প্রেমের সমান/ছেড়ে যেতে ফের ঘুরে ডাকে,/আমাদের অবসাদে ফুটে থাকা ফুল/জাহাজের মৃতদেহ। জলের মাসুল।/
ছোঁব, তবু পাব না তোমাকে।’

‘ছাই রঙের এক চোখজ্বালানিয়া ধোঁয়া আমাদের উঠোন পার করে চলে যেত দূর-দূরান্তে। কখনও সকালে, কখনও সন্ধের মুখে। তার সঙ্গে মিশে যেত দূর কোনও কারখানার সাইরেনের আওয়াজ বা পাশের বাড়ির শাঁখ।’
‘হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল’। পর্ব ৪৪…

‘একদিন মনে হল, ক’জন মিলে সেখানে একখানা লাইব্রেরি চালু করলে কেমন হয়? পাড়ায় বেশ বড়সড় লাইব্রেরি আছে, আজাদ হিন্দ পাঠাগার, কিন্তু সে তো সকলের জন্যে। এই লাইব্রেরি হবে কেবলই আমাদের। বইয়ের ওপর বেশ একরকম মৌরসিপাট্টা থাকবে, তবে না ব্যাপার?’
‘হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল’। পর্ব ৪৩…

‘তরিবতের বিহনে মঞ্জরী/ বাগানে মন শুকিয়ে রাখে ভিজে…/ আমি তোমায় কথা-অবাক করি,/ তুমি আমার নিন্দে করোনি যে!/ শত্রু চায় ফুলের আমদানি/ পরাগ তার মাধুর্য বিকিয়ে/ শোধ করেছে বিষাদঋণখানি…/ সন্ধেবেলা কুহকে তার বিয়ে।’

‘ঢেউ ওঠে পাতা পাতা, বইয়ের দু’ধারে সাদা বালি/ তোমার কাগজ চেনে মৃদু বিষাদের কর্মখালি/ এদিকে যে-কোনও মর্মে যুগে যুগে ক্ষুব্ধ নেটিজেন।/ এরই মধ্যে, সে বালক, জানেমন, বহু রাস্তা পার/ সোনালি রাগের সুরে ঝলসে ওঠে ডুবন্ত সেতার!’

‘সুরের মধ্যে একটা পুনরাবৃত্তি আছে, যেমন মনখারাপের বাতাসে থাকে। সে বারে বারে একই পথে ফিরে এসে হানা দেয়, এ-গানের সুরও তাই। আর যখন বলা হচ্ছে, ‘আমাকেও সাথে নিও, নেবে তো আমায়…’, এইটুকুর মধ্যে আকুতি, অনুরোধ, আশঙ্কা আর অনির্দেশ একসঙ্গে ফুটে উঠছে, এমনই আশ্চর্য আর অব্যর্থ শব্দ-সুরের প্রয়োগ!’

‘মেট্রো থেকে যখন টালিগঞ্জে নামছি, তখন আরেক দফা হুড়মুড়িয়ে নামল আকাশ ভেঙে। বুঝলাম, আজ কপালে প্রভূত দুঃখ অপেক্ষা করে আছে। এই মুষলধার বৃষ্টিতে কতক্ষণ যে লাইনে দাঁড়াতে হবে, কেউ জানে না, অটো পাওয়া তো অনেক পরের কথা।’

‘অথচ দিন ছিল তো বেশ ঢালু/গড়াত রোদ নীল জলের দিকে/এখানে তাও প্রবাদ আছে চালু,/সহানুভূতি পায় না দুঃখীকে। আবার কোনও বসতি-অবসরে/চিঠির ভাঁজে বানিয়ে নিয়ো বিমান…/তোমার হাতে ক্ষয়ক্ষতির পরে/বিষাদ মাপে অবসানের সীমা।’

‘লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এবং উইলিয়ম শেক্সপিয়র জন্মেছেন এই বৈশাখেই। লিওনার্দো তো দেখেশুনে পয়লা বৈশাখ, কেননা পৃথিবীর পয়লা নম্বর শিল্পী জন্মানোর জন্য আর কোন তারিখই বা বেছে নিতেন!’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.