জলে ধোওয়া সময়ের স্মৃতি

‘অবনীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত সরঞ্জামের ভিতর জাপানি তুলি দেখে ধারণা হয়, তিনি জাপানের তুলি ব্যবহার করতেন। ১৯২০ সালের মাঝামাঝি অবনীন্দ্রনাথের আঁকা গাছের ডালে বসা পাখি আর চাঁদের ছবি একেবারে জাপানি ছবি বলে ভুল হতে পারে।’ অবনীন্দ্রনাথের ছবিতে জাপানি প্রভাব।

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৭

‘…তিন চাকার রিকশাগুলো এখন প্রায় উঠে গেছে। তার বদলে এসেছে টোটো। গরুর গাড়ি আর এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় ঝুরঝুরে রিকশার আওয়াজ আমাদের ছেলেবেলা জুড়ে রয়ে গেছে। অঙ্কের কড়া মাস্টারমশাই জলে-ঝড়ে হাজির হতেন একটা যত্নে রাখা সাইকেল নিয়ে। সেই অনভিপ্রেত সাইকেলের চাকার কটকট আওয়াজ আমার সব আশায় জল ঢেলে দিত।’ শান্তিনিকেতনের শব্দেরা।

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৬

‘চন্দনা হোসেন তাঁর নির্বিকল্প এই নার্সারির জন্য গ্রামীণ কারিগরদের দিয়ে তৈরি করিয়েছেন টেরাকোটা আর বাঁশের অপূর্ব সব টব। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কাজ করা জাপানি দারুশিল্পী এবং উদ্যানবিদ কিন্‌তারো কাসাহারার পরিবারই ‘গুল্ম’ গড়ে তুলেছেন এই বাড়িতে।’ অদেখা শান্তিনিকেতন।

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৫

‘শান্তিনিকেতনের পুরনো বাড়িগুলো তৈরি হত এমনভাবে, যেন তা বড় গাছের মাথা না ছাড়ায়। ছিল না পাঁচিল। প্রবেশ-তোরণে খোদিত ছিল ধানের শিষ। সমস্ত বাড়িঘর আর বইয়ের প্রচ্ছদের রং ছিল হাল্কা বাসন্তী। অনুষ্ঠানে রয়েছে বাটিকের উত্তরীয় পরার চল।’ শান্তিনিকেতনের রুচিবোধ।

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৪

‘বই-খাতা, ছবি আঁকার সরঞ্জামের দোকানে সুন্দর, ছোট্ট ছোট্ট অটোগ্রাফ-খাতা পাওয়া যেত। আমাদের অনেকেরই তেমন একটা করে খাতা ছিল। সই সংগ্রহের ব্যাপারে আমাদের লজ্জা, ভয় অথবা সঙ্কোচ ছিল না। সই চেয়ে পাওয়া যায়নি এমন ঘটনা ছিল বিরল।’ শান্তিনিকেতন আর অটোগ্রাফ।

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৩

‘‘শান্তিনিকেতন’ জায়গাটার নামটাই কিন্তু একটা বাড়ি থেকে। বানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। আমার মতে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের যতগুলো বাড়িঘর রয়েছে, ‘শান্তিনিকেতন গৃহ’ তাদের সেরা।’ শান্তিনিকেতনের বাড়ির কথা।

চেয়েছিলেন শূন্যতার দাম

‘ছাপা ছবি দেখে সোমনাথদার মুখটা লাল হয়ে গেল। আমাকে বসতে বলে চা আনালেন। একটা কথাও বললেন না। তাঁর চোখে-মুখে ভয়ঙ্কর একটা অস্থিরতা। আমার একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। এক সময় বললেন, আমি ইচ্ছে করেই ছবির মাথায় ফাঁকা জায়গাটা ছেড়েছিলাম।’ স্মৃতিচারণা।

‘করোনা’ চলে গেলে স্মৃতিরা থাক

‘করোনা চলে গেলে, এই দুঃসহ স্মৃতি কি ভোলার? উত্তর, ‘না’। তবে এই স্মৃতি কি সংরক্ষণযোগ্য? এক কথায় উত্তর, সম্ভবত ‘হ্যাঁ’। এই দুই সহজ প্রশ্নের ছোট্ট দুটো উত্তরের প্রেরণায় সৃষ্টিমূলক ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসছে বিশ্বের সংগ্রহশালাগুলো।’ স্মৃতি আগলে রাখার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ২

‘বসন্তকে, আরও অনেক কিছুর মতো, আমরা চাই গলার মালায়, কানের দুলে। শান্তিনিকেতনের বসন্তে তাই ফুটতে না ফুটতেই পলাশের ডাল শূন্য। রংবেরঙের ব্যুগেনভিলিয়াই তাই আজকাল বাঁচিয়ে রাখে শান্তিনিকেতনের বসন্তকে।’ অন্য বসন্তের গল্প।

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ১

‘শান্তিনিকেতনের কীট, পতঙ্গ, গাছপালা আর ধুলোবালির ভিতর আমরা বড় হয়েছি। ঋতুর গন্ধ চিনতে পারি। বর্ষায় শামুকগুলোকে দেখে খুব কষ্ট হত। গরুদের মতো পথ জুড়ে তারাও বসে থাকে, কিন্তু পলকে সরে যেতে পারে না!’ শান্তিনিকেতনের গল্প।