আলোর রং সবুজ : পর্ব ২৭

‘ভূতেশের তীক্ষ্ণ নজর তাই সেই আইনগুলোর দিকেই, যা দিয়ে সাহেবরা একটা মিলজুল করাতে চলেছে পুলিশ এবং আর্মিতে কাজে নেওয়া নেটিভদের। এই নেটিভ অফিসাররাই হবে এদেশে বাস করা সাহেবদের জীবনযাপনে সুখ-সুবিধে এবং সুরক্ষার সেতু।’

আলোর রং সবুজ: পর্ব ২৬

‘শাফিকা তাকাতেই তার ওপরে বিছিয়ে গিয়ে মিয়া জিজ্ঞাসা করল, ‘কোথায় রেখেছিস?’ ‘বালিশের তলায়!’ ভোরের আলোয় মিলিত হল ইসমাইল এবং তা শাফিকারই শর্তে।’

আলোর রং সবুজ: পর্ব ২৫

‘কলকাতা থেকে বদলি করে এখানে আনা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ড সাহেবকে। তাঁর এজলাসের বিচারাধীন মামলায় তাঁর দেওয়া বিভিন্ন রায়ে খেপে উঠেছে বাংলার বিপ্লবীরা। তবে সমস্ত গোপন খবর কি আর দপ্তরে আসে?’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২৪

‘নিজের ইংরেজি জ্ঞানের ওপর ভাল দখল থাকার কারণেই এমন একটা ইচ্ছে তার হয়েছিল। হরশঙ্কর ব্যাকুল হয়ে উঠল মাকে একখানা চিঠি লিখে সব ব্যাপারটা খোলসা করে দেবার। বুঝিয়ে বলা যে, উদ্বেগের কারণ নেই। শান্তিতে জীবন কাটানোর জন্যই সে একটা বিকল্প পথ খুঁজছে।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২৩

‘দু-একবার তো ভূতেশের সঙ্গে তার মাকে বিছানাতে দেখেও ফেলেছে সে; তাদেরই অসতর্কতার কারণে! ওই অন্ধকার ঘরে, আচম্বিতে নিত্যর উপস্থিতি টের পেয়েও বড়বউ তো কই ভূতেশকে ছেড়ে, বিছানা থেকে সরে যায়নি! ভূতেশও অবশ্য সংকোচ বা ভয়ে ছাড়িয়ে নেয়নি নিজেকেও।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২২

‘হিসি হওয়ার বদলে, সেখান দিয়ে এত রক্ত সমানে বেরিয়ে যেতে দেখে, ভয় এবং ঘেন্না দুই-ই হয়েছিল আমার; কিন্তু যখন লক্ষ করলাম যে, ‘নোংরা’ হয়েছ না বলে, শাশুড়িমা বললেন, ‘বড়’ হয়েছ, ঘেন্নাটা তখন যেন একটু কমে গেল।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২১

‘তা ছাড়াও তার পৈতৃক বাড়িটি একেবারে গঙ্গার পাড়ে না হলেও, ওই এলাকাতেই; পরিবারের পুরুষেরা সকলেই শিক্ষিতও বটে; বিরজার সঙ্গে যে আদ্যনাথের মনের মিল হবে এ-দিকটাই বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছিলেন হেমকাকিমা।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ২০

‘কাছে এসে দাঁড়াতেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল শাফিকা; অভিমানে থরথর করে কাঁপতে লাগল সুর্মাবিবিও। আজ তার চোখেমুখে রাগ নেই। বড়বিবি আর তানি-বানির সামনে, শফিকার মান-ইজ্জত এখন যেন তার নিজেরও ইজ্জতের লড়াই।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৯

‘একই সঙ্গে ভূতেশের বুক ফুলে উঠল এই ভেবে যে, এ হেন ইংরেজ সরকারের অধীনে সে একটা চাকরি পেয়ে গেল, একেবারে অ্যাকাউন্টস দপ্তরে! আর্মিদের প্রয়োজনে লাগে এমন সব জিনিসপত্র-জোগানের কেনা-বেচার হিসেব রাখতে হবে তাকে।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৮

‘বয়কট নীতিতে বাদ গেল না ইস্কুল-কলেজ ছেড়ে গুপ্ত সমিতিতে নাম লেখানো। কুস্তির আখড়া এবং সাধুসন্তদের আশ্রমগুলো হয়ে উঠতে লাগল এইসব কাজের আঁতুড়ঘর। ধরপাকড়ও চলল সেই হারে।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৭

‘ইতিমধ্যে কনের বাড়ি তত্ত্ব নামিয়ে, নিজের বাংলোয় ফিরেই মুখার্জি-সাহেব তনুকে জানিয়ে দিলেন যে, বিকেলবেলা তনুর এখান থেকে যে বেরনো, তা কিন্তু মোটেই ফুল-সাজানো মোটরে চড়ে, বরবেশে যাওয়া নয়; বিয়ের সাজ করে নেবে, ওই বাড়ি পৌঁছে।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৬

‘বাবা আর কাকা মিলে বিছানা পেতে দিলেন রিজার্ভ বেঞ্চিতে। মাঝরাতে হিসি পেয়ে যাওয়ায় ঘুম থেকে উঠে তরু দেখল যে, মা, জেঠিমা আর কাকিমা অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লেও, জ্যাঠা, কাকা আর তার বাবা, তিনজনেই একটা বেঞ্চিতে জেগে বসে আছেন।’