Photo essay on Kumbhamela by Joydip Mitra

জাগতিক অ-জাগতিক

‘চরাচর জুড়ে রূপক দৃশ্যকল্প ধেয়ে আসতে দেখেও মাটির শিকড় আঁকড়ে ধরে তা এড়িয়ে যেতে শেখা— ভাল। সমস্ত দৈব দৃশ্যবিচ্যুতির ভেতর থেকেও এমনি মানুষের প্রজ্ঞা-স্থিতি-আশ্রয়-বিলাপ অনেক সত্যি বলে চিনে নেওয়ার শিক্ষা কুম্ভমেলা আমাকে দিয়েছে।’

একলা, একক প্রজাতন্ত্র

‘এই বইতেই অরুন্ধতী আরও বলছেন ‘যুগোস্লাভিয়ায় একটা প্রবাদ আছে— সত্যি কথাটা বলেই পালিয়ে যাও। কিন্তু কিছু লোক পালায় না। এমনকী যখন পালানো উচিত, তখনও পালায় না।’ অরুন্ধতী পালিয়ে যান না। তাঁর মুগ্ধ পাঠক যারা, তাদেরও পালাতে দেন না।’

তৃতীয় প্রকৃতি

‘প্রখর পৌরুষের শ্রেষ্ঠত্বের কলোনিয়াল ধারণায় প্রথম আঘাত করলেন— যথারীতি— মহাত্মা গান্ধি। লিঙ্গসাম্যের ধারনা সমাজে চারিয়ে দিতে গান্ধি নিজেকে বললেন God’s Eunuch— ঈশ্বরের হিজড়ে। অর্থাৎ তিনি লিঙ্গহীন। বা এক শরীরে একাধারে সমস্ত লিঙ্গের প্রতিনিধি।’

পুরবাইয়া, কানহাইয়া, লড়াই, বেগুসরাই

‘চন্দ্রশেখর সিং-এর হাতে কমিউনিস্ট হয়ে কানহাইয়ার দাদু আমৃত্যু সি.পি.আই থেকে যান। স্কুল ছেড়ে কানহাইয়ার বাবা তখনও নিষিদ্ধ সি.পি.আই (এম-এল) দলে যোগ দেন ও তারা পরে নকশালবাড়ির পথ থেকে হটে এসে সংসদীয় গণতন্ত্রে আস্থা স্থাপন করলে চূড়ান্ত হতাশায় রাজনীতি থেকে সরে আসেন। ভালো করে জ্ঞান হবার আগেই কানহাইয়া কুমারের ডাফলি-বাজানো-গান শেখা শুরু বেহাত গ্রামের আই.পি.টি.এ শাখায়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে এ.আই.এস.এফ-এর ক্ষুরধার ছাত্রনেতা টুপ করে আকাশ থেকে জে.এন.ইউ ক্যাম্পাসে ঝরে পড়েন নি। কার্যকারণ সম্পর্কটা স্পষ্ট।’ কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে কয়েকদিন।

শূন্যের মাঝারে ঘর

নদীর সাথে নারীর এক চিরকালীন বন্ধুত্ব আছে বলেই কি না কে জানে, গঙ্গাসাগরে দেখেছি জলে নেমে দাঁড়ালেই যে কোনো বৃদ্ধার শরীর থেকে জীর্ণতার খোলস ধুয়ে যায়, আর ম্যাজিকের মতো বেঁচে ওঠে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাঁর আজন্ম আড়াল করা মুখ। গঙ্গাসাগরের পুণ্য।