সামথিং সামথিং: পর্ব ৩১

ইউক্রেনের রাস্তার নাম থেকে বিখ্যাত রুশদের ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। ঠিকই, যে দেশ আক্রমণ করে আস্ত আর একটা দেশকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চাইছে, সে দেশ থেকে ওই নিষ্ঠুর মারকুটেদের তাবৎ চিহ্ন মুছে দেওয়ার চেষ্টায় দেশপ্রেমই প্রকাশ পায়। কিন্তু যে প্রতিক্রিয়াগুলো চট করে গজিয়ে ওঠে, তাকে একটু সন্দেহের চোখে দেখে, দুবার পরীক্ষা করা ভাল।

ছায়াবাজি: পর্ব ১

‘মিটু আন্দোলন বহু শিল্পের জন্ম দিয়েছে, বহু সিনেমারও। এগুলোর অধিকাংশেরই অবশ্য একবগ্গা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তা হচ্ছেও, কিন্তু বিভিন্ন ঘরানায় পুংতন্ত্রকে আচ্ছাসে নগ্ন করার প্রকল্পটা নারী-চলচ্চিত্রকারেরা যেভাবে নিয়েছেন, তাতে কিছু অন্য ধরনের ছবি হওয়ার চল ঘটেছে।’ শুরু হল চন্দ্রিল ভট্টাচার্যর সিনেমা নিয়ে নতুন কলাম ‘ছায়াবাজি’। আজ প্রথম পর্ব।

এক শালিক: পর্ব ১৬

রাজীব গান্ধী হত্যার চক্রান্তে দোষী সাব্যস্ত একজনকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। কেউ বলছে, এত বড় টেররিস্টকে ছেড়ে দিলে জঘন্য উদাহরণ প্রতিষ্ঠিত হবে। কেউ বলছে, লোকটা ৩১ বছর জেল খেটেছে, তার ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়স অবধি জেলেই কাটল, এখনও কি যথেষ্ট শাস্তি হয়নি? আমরা ভাবনা ও আলোচনায় ক্ষমাকে কেন প্রায় কখনও অগ্রাধিকার দিই না, প্রতিশোধপরায়ণতাকেই দিই?

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩০

নস্টালজিয়া আমরা বাঙালির গুণ বলে মনে করি, কারণ বাঙালি এমনিতে জবজবে টাইপ গবেট। কিন্তু গুণের জন্য যদি গুণাগার দিতে হয়, ব্যাপারটাকে যদি সম্পদ থেকে বিপদে রূপান্তরিত করি, তখন ‘নষ্ট’ দিয়ে বানানটা শুরু হবে, আর উত্তর-প্রজন্মের কাছে উত্তর দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। নস্টালজিয়া তৈরি ভয়ানক ভারি।

লে লে বাবু ছ’আনা

এত কথার ভিড়ে আমাদের অস্বস্তি হয় না? একেবারে না! মনে হয় না, উফ বাবা, একটু থামলে ভাল হত? একদম উল্টো। নৈঃশব্দ্যের বা নীরবতার মহিমাগান বহুত গাওয়া হয়েছে, কিন্তু মানুষ আসলে চেয়েছে তার জীবন আঁট-ঠাসা থাক ঘটনায় বিনোদনে, গসিপে রসিকতায়, সহজ বিপ্লবে আর ধোঁয়াটে ভ্যানতাড়ায়। এবং নয় কেন? কী এমন গাঢ়তার স্বরলিপি গাঁথা আছে ধীর মন্থর ঘ্যানরঘ্যানর দিনরাত্রিতে, যেখানে নিজের আঙুল মটকে আর গাছের ছায়া চটকে কাটাতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা?

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৯

বাঙালি সমাজে প্যাশনকে খুব দর দেওয়া হয়, হিসেব করা বা ছক সাজিয়ে এগিয়ে যাওয়াকে একটু খাটো চোখে দেখা হয়, ভাবা হয় এর মধ্যে প্রতিভা কম ও চাতুর্য বেশি। প্রেম থেকে শিল্প, সর্বত্রই একই সিদ্ধান্ত। এমনকী ক্রিকেটেও, যে ব্যাটসম্যান চার আস্কিং রেট থাকা সত্ত্বেও গদার মতো ব্যাট চালিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছে, তাকে আমরা সহস্র স্যালুট জানিয়েছি, আর যে ধীরে পরপর সিঙ্গলস নিয়ে ট্রফির কাছে পৌঁছেছে তাকে বলেছি নিষ্প্রাণ ধূর্ত। অঙ্ক কষে রাগ নির্বাসন দিয়ে মারমূখী হয়ে বা শান্ত ভাবে প্রতি-জবাব দেওয়াটাই শ্রেয়।

এক শালিক: পর্ব ১৫

আবিষ্কার হয়েছে চালকহীন গাড়ি। শুনে অনেক ভাবছেন, ‘যাক, ড্রাইভারের ঝামেলা মিটল’, অনেকে ভাবছেন, ‘পেছনের সিটে ইন্টু-মিন্টু করার আর বাধা রইল না।’ কিন্তু এই আবিষ্কারের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। অ্যাক্সিডেন্ট হলে গণধোলাই দেওয়া হবে কাকে? কার ওপর যখন তখন প্রভুত্ব ফলাবে অহং-বাজ মধ্যবিত্ত? চালকের অস্তিত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব।

‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র টুকরো-টাকরা

‘ছবিটা কর্কশ। শুধু সংলাপে প্রচুর ‘শালা’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’ ছড়ানো আছে বলে নয়, যেখানেই সিদ্ধার্থ যাক হাঁটুক দাঁড়াক তার পিছনে পাশে প্রতিবাদী পোস্টার বা রাজনৈতিক দেওয়াল-লিখন থাকে বলে নয়, সিদ্ধার্থর বাড়িতে সবসময় চাপ-চাপ অন্ধকার থাকে বলে নয়, ছবিটার পাত্রপাত্রীদের অ্যাটিটুড আমাদের প্রকৃত ইট-পাটকেলগুলো মারে।’ ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র সত্য।

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৮

সারা পৃথিবী যখন বুচা নিয়ে আঙুল তুলছে, রাশিয়া যে ঘনঘন ঘাড় নেড়ে বলছে, ‘না, না, আমি করিনিকো’, সে-ই এক আশ্চর্য। বলতেই পারত, যুদ্ধ মানেই রাষ্ট্রের খেয়ালে নিরপরাধ মানুষের প্রাণ নেওয়া ও তার স্কোর রাখার উৎসব। নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না, আকাশ থেকে বোম ফেললে হাসপাতালেও টপকে যায়। মৃত্যু উদযাপনের উৎসব: যুদ্ধ।

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৭

রাজনীতিকদের গৎবাঁধা তর্কের নামতা-বাজি যে সাধারণ লোক বুঝতে পারে না তা নয়, তাদের উত্তেজিত হয়ে ওঠার ভড়ং যে পাবলিকের মগজ এড়িয়ে যায় তা নয়, এবং নিজের মুঠো থেকে দায় অন্যের কোলে চালান করার আপ্রাণ চেষ্টায় ইতিহাসের চ্যাপটারের সুবিধেজনক ন্যাজ ধরে টান মারার তুড়ুক-লাফে নেতাদের ত্যানাও প্রায়ই সরে যায় এবং টিভি থেকে জনগণের ড্রয়িংরুমে খসে পড়ে স্লো মোশনে, কিন্তু তা সত্ত্বেও উগ্র তীব্র তপ্ত গোলমালে দর্শকের বিচার প্রায়ই ঝনঝনিয়ে ওঠে।

এক শালিক: পর্ব ১৪

অমরত্ব বলতে আমরা বুঝি চিরযৌবন। মনে মনে যখন ভাবি, ইশ! যদি পঁচিশ বছর বয়সে ফিরে যেতে পারতাম ভারি ভাল হত। আসলে, আমরা চাই ৬২ বা ৭২ বছর বয়সের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আর মস্তিষ্ক নিয়ে যৌবনে ফিরে যেতে। এক বারও ভাবি না যে পঁচিশে ফিরে গেলে, মস্তিষ্কও সেই বয়সের মতোই থাকবে এবং অভিজ্ঞতাও। এবং সারা জীবন ধরে যে ভুল ও ঠিক করে চলেছি, সেই সবই করে চলব। সুতরাং দ্বিতীয় সুযোগ হল প্রথম ভুল- ঠিকের পুনরাবৃত্তি মাত্র।

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৬

যাঁরা সংস্কৃতির মানচিত্রের ভগবান, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নির্ঘাত পিওর-প্রণম্য, এবং সুদীর্ঘ ও যুগ-যুগব্যাপী বিস্ময়ের যোগ্য, তাঁদের অনুরাগী ও ভক্ত হওয়া দিব্যি চমৎকার ঘটনা, জীবনের কেন্দ্রে তাঁদের অধিষ্ঠিত রেখে নিত্য জাগরণ এক শুদ্ধ ব্রত, কিন্তু তার সঙ্গে যেন এই বোধ থাকে: আমার দেবতাকেও কেউ এসে গাল দিতে পারে, সেই গালে যদি যাথার্থ্য থাকে আমি তা অনুধাবনের চেষ্টা করব। একরৈখিক ব্যক্তিপুজো।