
সামথিং সামথিং: পর্ব ৩৭
‘বলা হচ্ছে, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ সাহস দেখানোর পর থেকেই অনেকে বুঝেছিলেন, এই লোকটাকে নামালে বরং আধুনিক খেলার ছন্দ নষ্ট হচ্ছে। হতে পারে। কিন্তু এগুলো আসল সংকট নয়।’ রোনাল্ডো-জল্পনা।

‘বলা হচ্ছে, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ সাহস দেখানোর পর থেকেই অনেকে বুঝেছিলেন, এই লোকটাকে নামালে বরং আধুনিক খেলার ছন্দ নষ্ট হচ্ছে। হতে পারে। কিন্তু এগুলো আসল সংকট নয়।’ রোনাল্ডো-জল্পনা।

বিশ্বকাপ দেখার প্রথম সমস্যা হল, রাত জাগতে হয়। দ্বিতীয় সমস্যা, চোরামি করে বড় টিমেরা পেনাল্টি চায় ও মাঝেমাঝেই VAR নামে এক উদ্ভট ভিলেন তাদের সাহায্য করে। তিন নম্বর, খেলা দেখার সময় অপ্রিয় দেশের ফুটবল-শৈলীর সমাদর করব কি না, সে দ্বিধা বড় হয়ে দাঁড়ায়। আর এত ঝঞ্ঝাটে পড়ে যদি কেউ বিশ্বকাপই না দ্যাখে, তাকে কেউ খেলায় নেবে না।

তিব্বতি মঠ নিয়ে ছবি। কিন্তু মঠের জীবনকে বাড়তি মহিমান্বিত করার দায় নেই, প্যাঁচঘোঁচ খোঁজারও আতশ কাচ নেই। একটা সরল ছবি, কিন্তু সঙ্গে আছে ঝকঝকে বুদ্ধি, কৌতুক ও বিশ্বাস, আর অবশ্যই মধিখানে আছে বিশ্বকাপ, যা তাকে এ মরশুমে একটু বেশি উল্লেখ্য করেছে।

ছাঁটাই করলে চাকরি-হারাদের মন বিষণ্ণ হয়। কিন্তু চাকরি-খেকোদের মন তো প্রসন্ন হয়। সেটা দেখছি না কেন? ক্ষমতার প্রধান আনন্দই তো যখন-তখন অন্যের সংসার ভাসিয়ে দেওয়া। তাছাড়া, চাকরি গেলে লোককে বাধ্য হয়ে স্বাবলম্বী হতে হয়, অভিনব মতলব ভেঁজে সংসার চালাতে হয়। সেগুলোও তার এবং সমাজের বিলক্ষণ উপকার করে।

‘সমস্ত সমগ্র সমুদয় সিনারি পবিত্র হলে তবে তুমি জলকে নামবে, এ-কথা ভাবলে জীবন রুদ্ধ। সব কথা জানাও যায় না, আর সব জানলে পুরোটার ভিত্তিতে কাউকে পাশ-নম্বর দেওয়াও যায় না। দেখতে হবে তোমার কাজ চলছে কি না, আর অন্য ক্ষেত্রগুলোয় মোটামুটি এড়িয়ে-পেরিয়ে সরে-সরে থাকতে পারছ কি না।’

পরিবেশকর্মীরা এখন অভিনব আন্দোলন করছেন, মিউজিয়ামে গিয়ে বিখ্যাত ছবির কাচে ছুড়ে মারছেন টম্যাটো স্য়ুপ বা আলুভাতে, তারপর নিজেদের ফ্রেমে বা দেওয়ালে আটকে বলতে শুরু করছেন, পৃথিবী লুপ্ত হলে শিল্পের কোনও মানে থাকবে না।

বেদি থেকে একটা মহিমা-গ্রাম্ভারি মূর্তিকে টেনে নামিয়ে তাকে আটপৌরে কাপড়চোপড় পরিয়ে চারপাশের ভিড়ে ঘামে ধুলোয় নিয়নে হাঁটিয়ে দেওয়া, প্রণামের জোড়কর-আড়ষ্টতা ছাড়িয়ে হাতটাকে সিনেমার কাঁধে দিব্যি রেখে চলতে-চলতে ইয়ার্কি মারা, এই হল গোদারের প্রধান বিপ্লব।

সত্যি কি? যা আমরা ছুঁয়ে-দেখে-বুঝে-জেগে যাপন করি, শুধুমাত্র সেটুকুই কি সত্যি, বাস্তব, জীবন, রিয়্যালিটি? মানুষের মনের গভীর কোণে কোন সত্য লুকিয়ে আছে, কোনটা আসল, কোনটাই বা কল্পনা, তা বিচার করার অধিকার কার?

প্রতিবাদ করার সময়ে ব্যক্তির অন্তত একটা সত্তার উড়ান হয়। আমি যে নশ্বর ভয়গুলোকে পেরিয়ে শুধু স্বাধীনতার খাতিরে নিজের অস্তিত্বটাকেই বিপন্ন করে ফেলতে পারলাম, ‘যা হবে হোক গে, আজ আমি নিজস্ব চিৎকার করবই’-এর তোড়ে মনটাকে যে জুড়ে দিতে পারলাম একখান সপাট জ্যা-নিক্ষিপ্ত শরে, এতখানি বেপরোয়া জুয়া যে আমি খেললাম রোজ না মরে অন্তত একবার মরব’খন বলে— তার মধ্যে একটা মনুষ্যত্বের উচ্ছ্বাস রয়েছে, একটা বৃহৎ জয়।

জীবন নানাবিধ ধাঁধার বাণ্ডিল বিশেষ। কিছু ধাঁধাকে দো-ফাঁদও বলা যেতে পারে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা বলছে, হাসপাতালের আইসিইউ-তে এমন সংক্রমণ হয়, যা থেকে মৃত্যু হতে পারে। ব্যবসায়ী যদি নিজের শরীরের দিকে দৃকপাত না করে টাকা বানানোর কৌশলে পারদর্শী হয়, তবে সে শিল্পীর মতো মহৎ নয়। প্রভূত দোলাচলের মুখোমুখি অহরহ এই জীবন।

‘কখনও-কখনও অনেক চরিত্র বসে কথা বলছে, কিন্তু ক্যামেরা সংলাপকারীর মুখে কিছুতে কাট করে আসে না, ঠায় একই দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো দৃশ্যটা দ্যাখে। যেন সে বাড়ির আত্মা, সাক্ষীমাত্র, অধিক কৌতূহলী নয়। ছবিটাও তা-ই, সময়ের সাক্ষী।’ সম্পূর্ণ নায়কহীন ছবি।

‘একটা লোক বুধবার রাত্রে নেচে গেয়ে আলগা রসিকতা করে, বেস্পতিবার সকাল দশটায় পৃথিবীর সর্বাধিক জরুরি ও গভীর সন্দর্ভ পেশ করতে পারবে না কেন? এবং, উল্টোদিকে, যে বুধবার রাশভারি থিসিস ফলাবে সে বেস্পতিবার নিজ বন্ধু-সার্কলে বাঁদরনেত্য করতে পারবে না কেন?’ স্বাধীনতার প্রশ্ন।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.