শিকড়: পর্ব ২

‘রফিকের হাত থেকে চিঠি নিয়ে ও চালান করে দিচ্ছে বুকের ভিতরে ব্লাউজের ফাঁকে। চিঠি দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে রফিকের আঙুল ছুঁয়ে দিচ্ছে ওর আঙুলগুলো। রফিক হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে নিচ্ছে ওর হাতের তালু। ‘এ কী! একদম বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে আছে তোর হাতটা! পাগলি মেয়ে একটা। ভয় পেয়েছিস?’’ সম্পর্কের উত্তেজনা।

শিকড়: পর্ব ১

‘নয়নতারা আগে ডায়েরি লিখতেন নিয়মিত। এখন আর লেখেন না। শুধু ভাবেন। মনের মধ্যে ব্রেক কষে-কষে হাঁটতে থাকেন পিছন দিকে। স্মৃতি রোমন্থন করেন। জীবনে অনেকগুলো বছর নাকে-মুখে গুঁজে স্কুলে ছুটতেন। মধ্য কলকাতার স্কুলে চাকরি পেয়ে গেছিলেন এমএ-র পরই। স্কুলে চাকরির পর পরই বিয়ের সম্বন্ধটা এনেছিলেন তাঁর সম্পর্কে এক পিসি, যিনি আবার অমলজ্যোতির মাসিমা হতেন।’ নতুন গল্প।

আক্রান্ত: পর্ব ৮

‘…অভিমন্যু বুঝতে পারছে, জীবনে এই প্রথম কাউকে ছেড়ে যেতে তার কষ্ট হচ্ছে। প্রথম বিদেশে পড়তে যাবার সময় দাদু-দিদানের জন্য, কলকাতায় ফেলে যাওয়া বন্ধুদের জন্য যেমন কষ্ট হয়েছিল— এটা ঠিক তেমন নয়। এই কষ্টটা বুকের অনেক বেশি ভিতর থেকে মুচড়ে মুচড়ে আসছে।’ সম্পর্কের সমাপ্তির গল্প।

আক্রান্ত: পর্ব ৭

‘বাইরে দরজা খোলার শব্দ হল কি? টেলিফোনটা হঠাৎ কি থেমে গেল? বাইরের ঘর থেকে কার উত্তেজিত গলা ভেসে আসছে। মিঠির গলা না? প্রায় ছুটে এসে মিঠি দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে এল। তিলক ও সুচেতনার অবিন্যস্ত চেহারার দিকে তাকাল একবার বজ্রাহতের মতো।’ আচমকা অস্বস্তির মুখোমুখি।

আক্রান্ত: পর্ব ৬

‘…এই আবেগ মিথ্যে হতে পারে না, মিঠির মন বলছে। কী অদ্ভুত এক ফুট দূরত্বে বসে এই যুবকের কান্না। এ কথা সত্যি যে, অভিমন্যুকে অপছন্দ করে না ও। কিন্তু তিলক আসার পর মিঠির জগৎটাও বদলে গেছে চিরদিনের মতো। অভিমন্যুকে কি ও ভালবাসতে পারত? মিঠি বুঝতে পারছে না।’ দুই নায়ক, এক নায়িকার গল্প।

আক্রান্ত: পর্ব ৫

‘…বেশিক্ষণ মিঠিকে দেখার সুযোগ পায়ইনি অভিমন্যু। একনাগাড়ে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে ও যদি কিছু মনে করে? ওর বাবা-মাও খারাপ ভাবতে পারতেন। তাছাড়া নিজেকেই নিজে শাসন করছিল অভিমন্যু— ছিঃ! একজন মেয়ের সঙ্গে তোমার বিয়ের ঠিক হয়ে গেছে।’ অদম্য আকর্ষণের গল্প।

আক্রান্ত: পর্ব ৪

‘চল্লিশ বছরে পৌঁছে তিলকের চুলে বেশ পাক ধরেছে। উঠেও গেছে কিছু চুল… বিদেশবাসে তিলকের চেহারা আরও মসৃণ হয়েছে। বেড়েছে ত্বকের উজ্জ্বলতাও। ছাত্রজীবনেই হাই পাওয়ারের চশমা ছিল তিলকের। পুরু কাচের ভিতর দিয়ে উজ্জ্বল ঝকঝকে দুটি চোখ ঠিক আজও তেমনই রয়ে গেছে তিলকের। তিলক কি তার জীবনে পরিতৃপ্ত? সুখী?।’ দাম্পত্য সম্পর্কের গল্প।

আক্রান্ত: পর্ব ৩

‘প্রভাত তাঁর আড্ডার ঠেকেও নিয়ে যেতে শুরু করেন জুঁইকে। সেখানে সবাই প্রভাতের সমবয়সি, জুঁই অনেক ছোট একটি তরুণী। এই অসমবয়সি প্রেমকে মেনে নিতে পারছিলেন না কেউই। ক্রমে বিভিন্ন লোকের মুখ ঘুরে খবর পৌঁছে যাচ্ছিল প্রভাতের বাড়িতেও।’ প্রেম আর সমাজ।

আক্রান্ত: পর্ব ২

‘মামণির ব্যাপারে বাবার টান বুঝতে পারে না মন্দাক্রান্তা। কিন্তু তাদের দু’বোনের ব্যাপারে যে বাবা একরকম উদাসীন, সেই নিষ্ঠুর সত্যটুকু দিনের পর দিন আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে মন্দাক্রান্তার কাছে। চিকুটা নিজের ভাল না বুঝে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’ সম্পর্কের টানা-পড়েন।

আক্রান্ত: পর্ব ১

‘অল্প বয়সের তফাতে কি এমনই ভাব থাকে? মিঠি আর চিকুর মধ্যে অবশ্য খুব একটা ভাব দেখেন না সুচেতনা। মিঠির একটা নিজস্ব জগৎ আছে বন্ধুবান্ধব নিয়ে। কোথায় যেন মিঠির সঙ্গে নিজের একটা মিল খুঁজে পান সুচেতনা। মিঠি আর চিকুর বড় হওয়ার মধ্যে কি তাঁর কোনও প্রভাব কাজ করে কোথাও?’ নতুন উপন্যাস।