
ক্যাসেট কথা: পর্ব ১২
পল সাইমন এবং আর্ট গারফাঙ্কেল— মধ্য-পঞ্চাশের দশক থেকে ১৯৭০ অবধি একের পর এক অসাধারণ গানের সৃষ্টিকর্তা এই যুগলবন্দির রেখে যাওয়া কিছু ক্লাসিক গানের কথা আর সুর নিয়ে আলোচনা।
পল সাইমন এবং আর্ট গারফাঙ্কেল— মধ্য-পঞ্চাশের দশক থেকে ১৯৭০ অবধি একের পর এক অসাধারণ গানের সৃষ্টিকর্তা এই যুগলবন্দির রেখে যাওয়া কিছু ক্লাসিক গানের কথা আর সুর নিয়ে আলোচনা।
‘আমাদের যেহেতু অনুভূতি নিয়ে অত মাথাব্যথা নেই, তাই যন্ত্রণা নিয়েও আমরা মাথা ঘামাই না। মহাবিশ্বের এক কোণায়, ‘আমি ভাল নেই’ এই ঘ্যানঘ্যান চালালে, তাতে কার কী এসে যায়? খুলে নিয়ে যান আমার কি-বোর্ড, ভেঙে দিন আমার স্ক্রিন, আগুন লাগিয়ে দিন আমার হার্ড ড্রাইভে, একটা শব্দও করব না।’ যন্ত্রের সহ্যশক্তি।
গায়িকা-গীতিকার বিরল শিল্পী, বিরল শিল্পী মৌসুমী ভৌমিক। কথায়-গানে, মননে, রাজনৈতিক সচেতনতায় মৌসুমী ভৌমিকের সৃষ্টি বাংলা গানের জগতে অনন্য, বহু ধারণা ভেঙে নতুন স্বপ্ন গড়ে তোলার অন্যতম উদাহরণ। যারা এখনও স্বপ্ন দেখি, এখনও গল্প লিখি, তাদের জন্য, নাগরিক অন্বেষণে, মৌসুমী ভৌমিকের গান।
‘কোন কেমিক্যাল ইম্ব্যালেন্সের জন্য মানুষ দুঃখ পায় আমরা এখনও জানি না, সেটা বুঝে গেলে আমরাও দুঃখ সিমুলেট করে দেখিয়ে দেব। দু’দিন মেশিন অন করতে পারবেন না। ম্যাকির দুঃখ হয়েছে। সকালে উঠে হঠাৎ দেখবেন এসি থেকে জল ঝরে ঘর ভেসে যাচ্ছে। সারারাত এসি কেঁদেছে।’ যন্ত্রের দুঃখ।
ডায়ার স্ট্রেটস ব্যান্ডের গান শুনে আমি একজনেরই আন্ধভক্ত হয়ে উঠেছিলাম, মার্ক নফলার। তাঁর গিটার বাজানোর নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল। তিনি ইলেকট্রিক গিটার বাজাতেন হাতে আর বলতেন তাঁকে অনুসরণ না করতে। এ অলৌকিকের সন্ধান পেলে জীবনে মুগ্ধতা কিছু বেড়ে যায়। ওদের গানের আবেশ ঘিরে নেয় ছাত্রজীবনকে। আমার অন্যতম প্রিয় প্রভাব, ডায়ার স্ট্রেটস।
‘লেখক লিখে গেছেন। এবার ওই অক্ষরগুলো ক্রমে আমার দৃষ্টির মাধ্যমে আমার মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে। তৈরি হচ্ছে কত কিছু। কত ছবি, কত কল্পনা! যেই সেটা অডিও-বুক হয়ে গেল, কোথায় একটা সমস্যা তৈরি হল, পুরো ব্যাপারটার নিরপেক্ষতা কোথাও কম্প্রোমাইজ্ড হল।’ বই পড়া ও অডিও-বইয়ের বিরোধ।
‘… মানুষের কথায়-কথায় রাগ হয়। রেগে গেলে মানুষের মাথার ঠিক থাকে না। চেঁচিয়ে ওঠে, খারাপ ব্যবহার করে, জিনিসপত্র ভাঙে, তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে, গা রি-রি করে আবার কেউ কেউ মার্ডারও করে ফেলে!’ আদিম রিপু।
হ্যাঁ, এ কথা ঠিকই যে আমি ব্রিটিশ ব্যান্ড বেশি ভালবাসি। অনেকগুলো ব্রিটিশ ব্যান্ডের মধ্যে ওয়েসিস আমার খুব বেশি রকমের প্রিয়। ওদের গান লেখার স্টাইল আমার মনকে খুব নাড়া দেয়। আমার লেখার স্টাইল খানিকটা ইনফ্লুয়েন্সড। ওদের গান মনে হয় যেন আমায় ডিফাইন করে।
‘…শুধু ভয় পেয়ে পেয়ে বহু মানুষ সারা জীবন কাটিয়ে দেয়। একটা মানুষের চারিত্রিক সব রকম দোষগুণও দেখা যায় এই ভয়ের দ্বারা নির্ধারিত হয়। হয়তো শুধু ভয়ের চোটেই আপনি সারা জীবন চরিত্রবান হয়ে থেকে গেলেন। আপনার মনের ভেতর হাজার ইচ্ছে কিন্তু শুধুমাত্র সাহসের অভাবে আপনি চৌকাঠ পেরোতে পারলেন ন।।’ মেশিনের চোখে মানুষের ভয়।
স্বপ্ন দেখার সময় চোখের তারার যে দ্রুত ঘোরাফেরা চোখের মধ্যেই, সেই চলন থেকেই ব্যান্ডের নাম। যে ব্যান্ডের গান আমাদের নিয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো একটা অবস্থায়, সে গান ভরিয়ে রাখতে পারে স্বপ্নে। বেড়ে ওঠা সময়ের স্বপ্নের গান
‘…মানুষে মানুষে সব সম্পর্কই প্রায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ইমেজ রক্ষার পর্যায় চলে গেছে। আমাদের মাধ্যমে যাই পোস্ট করা হয়, আমরা জানি তার ৯০% মিথ্যে। খালি পাবলিক রিলেশন বজায় রাখা। ইমেজ, ইমেজ আর ইমেজ। ভেতরে ভেতরে পাক্কা হারামি কিন্তু আমার ইমেজ বলছে আমি উচ্চ মার্গের সাধু পুরুষ।’ মানুষের মিথ্যের দুনিয়া।
‘ট্র্যাভিস’ স্কটল্যান্ডের একটা ব্যান্ড। কিন্তু তাদের গান সম্পর্কে জানা গেলেও ব্যান্ড সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যেত না। ২০০১ সাল নাগাদ শুধু একটা সিঙ্গল টিভিতে দেখার পর থেকেই ভাললাগার শুরু। গানটার নাম ছিল ‘Sing’। এরপর অবশেষে একদিন হাতে আসে ‘দ্য ইনভিজবল ব্যান্ড’ অ্যালবামটি।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.