সেই বোধের আনাচ-কানাচ

‘রাজীবের নাটকে সত্য আড়ালে ছিলেন। মেঘের আড়ালে শূন্যের মতো। সুমন তাঁকে মঞ্চে নিয়ে এলেন। রিয়্যালিস্টিক ড্রামার মোড়ক ছাড়িয়ে একটু ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট জুড়ে দিলেন। কোনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের খেই ধরে নেই, এমনিই।’

বন্ধু প্রজাপতির জীবনচক্র

‘বাংলার বহুত্ববাদী অতীতের সুতোয় টান মেরে সংস্কৃতির ভাঙা সেতু চিনিয়ে দিলেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। এই সেতুর মেরামতি যে আমাদের মতো দেশে যে-কোনও শিল্পের আদত কর্তব্য এবং বুকে-পিঠে গজাল না ঠুকেও যে তা করে ফেলা যায় ‘দোস্তজী’ তারও বিজ্ঞাপন।’ সমন্বয়ের সংকেত।

বোড়ে দিয়ে কিস্তিমাত

‘নিজেকে জাহির না করে নিজের প্রগাঢ় নাট্যপ্রেম আর পাক-ধরতে-শুরু-করা চলচ্চিত্রবোধ দিয়ে ঘুঁটি সাজাতে পারলে রাজা-উজির নয়, বোড়ে দিয়েও যে কিস্তিমাত করা যায়, ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ তার বিজ্ঞাপন হয়ে থাকল। ফের মনে করিয়ে দিল যে বাংলা থিয়েটারের কাছে বাংলা সিনেমার ঋণ কখনই চুকবার নয়।’

আলকাজি-পদমসি খানদানের হাঁড়ির খবর

‘‘সেদিন রাতে আমরাই ছিলাম পৃথিবীর সবচাইতে নিঃসঙ্গ ছেলেমেয়ে। পাশের ঘরেই যে আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ চলছে তা আমরা জানতুম। এও জানতুম যে তাতে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। শুধু জানতুম যে, আমাদের জীবন আর আগের মতো রইল না।’ বিবাহবিচ্ছেদের এত সহজ অথচ এত সংবেদনশীল বিবরণ আমরা পড়িনি। এর পরেও তিরিশ বছর ধরে ইব্রাহিমের সব নাটকের পরিচ্ছদ পরিকল্পনা করেছেন রোশন।’ অনন্যসাধারণ নাট্য-পরিবারের কথা।

রাসের খাস খবর

‘এখানকার রাস শাক্ত রীতি-রেওয়াজ মেনে চলে। তা গোস্বামী-শাসিত নয়। বারোয়ারির দাপটে চলে। নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের উৎসাহ পেয়ে আড়াইশো বছর আগে যেটা মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে গেছিল, নবদ্বীপের মাটির ওপর শাক্ত মতাবলম্বীদের মৌরসি পাট্টা কায়েম করতে কাজে লেগেছিল, সেটা আজ কার্নিভালের চেহারা নিয়েছে।’ নবদ্বীপের রাস।

হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশের খসড়া

‘…দার্জিলিঙের ওপর সত্যজিতের পক্ষপাত যাবার নয়। কলকাতা বাদ দিলে এই একটিমাত্র জায়গাতেই দুটো উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছকেছিলেন সত্যজিৎ। আসলে এই শৈলশহরের প্রতি তাঁর নাড়ির টান। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ।’ সত্যজিতের দার্জিলিং।