মৃদুল দাশগুপ্ত কবি, গদ্যকার। এছাড়া লিখেছেন ছোটগল্প, ছড়া। দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ’ কবিতা-বইয়ের জন্য পেয়েছেন বাংলা আকাদেমির সুনীল বসু-অনীতা বসু পুরস্কার (২০০০)। ২০১২ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার। সেলিম পারভেজ নামে একাধিক গ্রন্থের প্রচ্ছদও করেছেন নানান সময়ে। ‘শত জলঝর্ণার ধ্বনি’ আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি।
দেব রায় ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, চলচ্চিত্র-সমালোচক। সহ-লেখক হিসেবে ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ ও ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ ফিল্মে তাঁর লেখা সংলাপ জনপ্রিয় হয়েছে। সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন নানান সময়ে। ‘তরুলতার ভূত’ কাহিনিচিত্রটির নির্মাতা।
দীর্ঘদিন যুক্ত ‘সন্দেশ’ পত্রিকার সম্পাদকীয় দপ্তরের সঙ্গে। স্বনামে গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ এবং পত্রিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন ছদ্মনামে (বল বয়, থার্ড আম্পায়ার, প্রবাল সেন, গ্রন্থবিমুখ গোস্বামী ইত্যাদি) লেখেন খেলার খবর, গ্রন্থ সমালোচনা, টুকরো খবর ইত্যাদি। সন্দীপ রায় ও প্রসাদরঞ্জন রায়ের সঙ্গে সম্পাদিত গ্রন্থ ‘সন্দেশের সত্যজিৎ’, ‘সন্দেশ কমিক্স সমগ্র’, ‘সন্দেশ-এর সেরা ভূতের গল্প’ ইত্যাদি।
সুস্নাত চৌধুরী পেশাগত ভাবে রেস্ট নিতে ভালবাসেন। কখনও ক্লান্ত লাগলে গণমাধ্যমে কাজকর্ম খোঁজেন। ফিচার লেখার জন্য মাঝে মাঝে হাত চুলকোয়। ‘বোধশব্দ’ পত্রিকার প্রুফ দেখেন ও প্রেসে কাগজ পৌঁছে দেন। বিশেষ আগ্রহ ছাপাছাপি ও বাংলা হরফে। মুদ্রণ বিষয়ক প্রকল্পের জন্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ফর দি আর্টস-এর গ্রান্টি।
প্রাবন্ধিক, গবেষক। দীর্ঘ সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। চলচ্চিত্র ও বিনোদনের নানা শাখায় গতায়াত। বর্তমানে দর্শন বিষয়ক চর্চায় নিয়োজিত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘সোম’।
শ্রীজাত কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার। ২০০৪ সালে ‘উড়ন্ত সব জোকার’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার এবং কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০১৪-তে ‘কর্কটকান্তির দেশ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা আকাদেমি সম্মান। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০০৬ সালে। ‘এবং সমুদ্র’, ‘ভাষানগর’ ও ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে।
অনুপম রায় গায়ক, সুরকার, গীতিকার। ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে তাঁর গলায় গাওয়া গান ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ এবং ‘বেঁচে থাকার গান’ তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ এবং ছবিটির আবহসঙ্গীতের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ২০১৬ সালে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা ও ছোটগল্পও লেখেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর, সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, ক্যালকাটা থেকে পিএইচডি। গবেষণার ক্ষেত্র: সমাজতাত্ত্বিক ও নারীবাদী তত্ত্ব, জাত-ব্যবস্থায় লিঙ্গভেদ, মেয়েদের লেখা, সাহিত্য ও সিনেমা।