আত্মপ্রকাশের পর কেটে গেছে গোটা এক দশক, সেই যাত্রাপথে ‘আনন্দপুর গুজব’ উপহার দিয়েছে বহু স্বাদের প্রযোজনা— নিজেদের মৌলিক নাটক ছাড়াও বাদল সরকার, মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের নাটক থেকে রবীন্দ্র-কাহিনির মঞ্চায়নের সাক্ষী থেকেছে শহর কলকাতা। ২০১৮তে তাদের আয়োজিত নাট্য উৎসব ‘শো অফ’ সাড়া ফেলেছিল দর্শকদের মধ্যে। এ বছর সেই উৎসবের দ্বিতীয় সংস্করণ ‘শো অফ ২.০’ শুরু হয়েছে গত ২১ জুন, মিনার্ভা থিয়েটারে।
প্রথম দিন মঞ্চস্থ হল ‘অশোকনগর নাট্যমুখ’–এর ‘গান্ধারী’, ‘গোত্রহীন দমদম’–এর প্রযোজনা ‘২০৮৪’ ও ‘আনন্দপুর গুজব’–এর ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। যুগে যুগে স্থান–কাল নির্বিশেষে সমকালীন রাজনীতি, সমাজ-সংস্কৃতির আয়না হয়ে থেকেছে থিয়েটারের মঞ্চ, হয়েছে প্রতিবাদের অন্যতম স্বর। এই উৎসবও তার ব্যতিক্রম নয়। মহাকাব্যের পটভূমি থেকে ডিস্টোপিয়ান ভবিষ্যৎ, অথবা বর্তমানের অসহিষ্ণু বাস্তব— নাটকগুলি আজকের ভারতের আসল রূপই শুধু তুলে ধরল না, সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে জানিয়ে গেল তাদের প্রতিবাদ। আরও একবার মনে করিয়ে দিল যে, কলম তরবারির থেকেও শক্তিশালী।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গিরিশ মঞ্চে, ‘সময় বলছে, থিয়েটার উদ্বৃত্ত’ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন অধ্যাপক আব্দুল কাফি; ছিল ‘থিয়েটার প্ল্যাটফর্ম’-এর প্রযোজনায়, দেবাশিস রচিত ও নির্দেশিত ‘আলাদা’।
উৎসবের সমাপ্তি ২৬ জুন; তৃপ্তি মিত্র সভাঘরে সন্ধে ৬টায় ‘বারাসাত কাল্পিক’-এর প্রযোজনা ‘গল্পের মতোই’, এবং ‘আনন্দপুর গুজব’-এর ‘রুহানিয়ৎ’। এই শহরে ভাল নাটক ভাল করে পরিবেশন করার প্রয়াস যে আগামী দিনেও জারি থাকবে, তার প্রমাণ রাখল ‘শো অফ ২.০’।
‘শো অফ ২.০’-এর ডিজিটাল পার্টনার ডাকবাংলা.কম এবং আজকাল.ইন।