কয়েকটি কবিতা
১
চিনিসম বাতুলতা। এই তোমার মিষ্টতা তাবৎ।
চায়ে মিশে যাওয়া মন নড়ে ওঠে চামচ-টোকায়…
ভালবাসা কিছু নয়, একা ঘোরা সকালের স্রোত
কখনও চুমুক দিলে মুখোমুখি দেখা হয়ে যায়।
২
সে নিশ্চয়ই যাবে আরও বহু দূর। শখের ঘোড়াটি
বিশ্রাম চেয়েছে আজ। কী উপত্যকার ঢালে ঢালে
ফুল ফুটে আছে, দ্যাখো। সৈনিকের দেহে ভরা মাটি…
তুমিও নিশ্চয়ই তাকে ইতিহাস-ভরোসা পাঠালে
৩
তখনও সে মৃত নয়, তার নামে চিঠি যদি আসে
কোথাও আড্ডায় যদি নাম ওঠে, তাহলে জীবিত।
সকলের কথা জমে পৃথিবীর কোনও শেষ মাসে
সময় পিওনমাত্র, যে পুরনো চিঠি এনে দিত।
৪
পশ্চিম প্রবাদমাত্র। সূর্য ডুবে চলে আরও নীচে।
যেখানে কিশোর কোনও ঘুমের ছলনা মাতোয়ারা…
তাকে রাত্রি তুলে দেয় কী কুসুম, স্বপ্নের পিরিচে
তারই ঘুম থেকে ওঠে অবকাশ। ভোরের ফোয়ারা।
৫
বাতাস সরিয়ে নিলে গাছ নগ্ন। তুমি তার গায়ে
গত বছরের শোক পরালে কী সুন্দর। অথচ
কোটরে কোটরে তার জমা জল, দুঃখের বিদায়ে…
এখনও সময় আছে। বাতাস সরিয়ে তাকে মোছো।
৬
সময় ঘড়ির বন্ধু। অসময় তোমার সুহৃদ।
পাখি উড়ানের জন। বৃক্ষ, সে মাটির চেনা লোক।
আকাশ সবার চেয়ে বয়স্ক। সে ইতিহাসবিদ।
সব সত্যি। যতক্ষণ একা তুমি মেলে আছ চোখ।
৭
বিকেল এখানে খুব বাড়িফেরা মহিলার মন।
বেতের বাস্কেটে বাসি সূর্য নিয়ে সে রান্নাভিমুখী।
পুরুষ রাতের তারা। দেরি করে উঠেছে কখন…
দূরে জানলা। আলো জ্বলে। মনে হয় দুজনেই সুখী।
৮
অবাক করেছি আমি নিজেকে দু’ঠোঁট কেটে ফেলে।
অনিদ্রা করেছি খুব। দু’চোখের পাতা কুটিকুটি।
এখন তোমার কথা, এখন তোমার দেখা পেলে
আমি শেষ স্বপ্ন থেকে একবার শেষ জেগে উঠি…