৪০০ একর জমি। হ্যাঁ, ৪০০ একর। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রাক্তনী এবং শহরের পরিবেশপ্রেমীদের নিয়ে তৈরি সংগঠন ‘সেভ সিটি ফরেস্ট’-এর সমীক্ষা বলছে, এই ৪০০ একরে আছে প্রায় ৭০০-র ওপর সপুষ্পক উদ্ভিদের প্রজাতি। স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ ও পাখির প্রজাতি যথাক্রমে ১০, ১৫ ও ২২০। অন্যদিকে গবেষক অরুণ ভেসিরেড্ডির তথ্য অনুযায়ী, মোট পাখির প্রজাতির সংখ্যা ২৩৭, যা মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরের কাসু ব্রম্ভানন্দ রেড্ডি ন্যাশনাল পার্কের (১৫০) প্রজাতি সংখ্যার দ্বিগুণের কাছাকাছি। উল্লেখযোগ্য পাখি বলতে ইন্ডিয়ান হুপু, ওরিয়েন্টাল স্কাইলার্ক, তেলেঙ্গানার স্টেট বার্ড ইন্ডিয়ান রোলার। এবং অন্য প্রাণী? চিতল বা স্পটেড ডিয়ার, বুনো শুয়োর, ইন্ডিয়ান স্টার টর্টয়েস, ইন্ডিয়ান রক পাইথন, বেঙ্গল মনিটর লিজার্ড, হায়দরাবাদ ট্রি-ট্রাঙ্ক স্পাইডার, গ্রাস ইয়েলো ও ডার্ট বাটারফ্লাই এবং ২০১০ সালে খুঁজে পাওয়া গোটা গ্রহের অনন্য এক মাকড়সা মুরিসিয়া হায়দরাবাদেনসিস— যাদের ভেতর ৮টি প্রজাতি ১৯৭২-এর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের শিডিউল্ড লিস্টের আওতাভুক্ত।
কোথাকার কথা বলছি? কাঞ্চা গাছিবৌলি ফরেস্ট। তেলেঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়-লাগোয়া। হরিণ, ময়ূর-সহ বীভৎস ভাইরাল ওই ছবিটা এআই না এআই না— এইল সবের বাইরে গিয়ে সংকটাপন্ন একটা গ্রহের সামান্য একটা মাইক্রোস্পট। এবং পরিবেশ হত্যার লেগ্যাসি।
ক্রোনোলজিতে আসি। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া ২,৩০০ একরের জমির ভেতর ছিল এই ৪০০ একর, যদিও তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের হাতে ছিল জমির একচ্ছত্র মালিকানা। সার্ভে নম্বর ২৫-এর তথ্য থেকে, ২০০৪-এর ১৩ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আইএমজি অ্যাকাডেমিস ভারত প্রাইভেট লিমিটেড-কে স্পোর্টস ডেভেলপমেন্টের জন্য লিখিতভাবে জমি দেওয়া হল। দু’বছর ধরে প্রোজেক্ট কিছুই এগলো না দেখে ২০০৬-এর ২১ নভেম্বর সরকার চুক্তি তুলে জমির ভার নিজের হাতে নিল, যার বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টে চলেছিল আইএমজি-র স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি)।
আরও পড়ুন : একুশ শতকের গণআন্দোলনের ভাষা কি ক্রমশ রঙিন হয়ে উঠছে? লিখছেন অর্ক ভাদুড়ী?
বহু বছর টালবাহানার পর কোর্ট থেকে সরকারের পক্ষে গিয়েছিল কাঞ্চা গাছিবৌলির মালিকানা। ২০২৪-এ সরকার থেকে তেলেঙ্গানা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কর্পোরেশন (টিজিআইআইসি)-কে স্ট্যাম্প ডিউটির টাকা মাফ করে অগ্রিম জমি মালিকানা দিয়ে ছেড়ে দিল নিশ্চিন্ত দায়িত্বভার। উদ্দেশ্য? কাঞ্চা গাছিবৌলিতে ‘আইটি পার্ক এবং মিক্সড ইউজ ডেভেলপমেন্ট’ ঘটানো। ২০২৫-এর মার্চে টিজিআইআইসি-র পক্ষ থেকে জমি নিলামে তোলা হল। বলা হল, এই জমি ফরেস্ট অর্থাৎ অরণ্য হিসেবে চিহ্নিত নয়, বরং রেভেন্যু ল্যান্ড। প্রস্তাব পুরোপুরি ফলপ্রসূ হলে ৫০,০০০ কোটি টাকার সরকারি ইনভেস্টমেন্টে (একর প্রতি ৭৫ কোটি) চাকরি হতে পারে নাকি পাঁচ লক্ষ স্থানীয় মানুষের। এবং এই আশ্বাসের জন্য, অর্থাৎ, সরকার-স্বীকৃত কোম্পানি যা খুশি করতে পারে, তাতে দু-তিনটে এন্ডেমিক বেঙ্গল মনিটার লিজার্ড, স্পটেড ডিয়ার মরলে মরুক, ময়ূর কাঁদলে কাঁদুক।
ধংসের সাম্প্রতিক ইতিহাস এবং তরজাগুলো কেমন?
৩০ মার্চ রোববার টানা ছুটির সময় ঠিক রাত থেকে কাটা শুরু হল গাছের পর গাছ। অন্তত ৫০টি আর্থমুভার এনে গাছে কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট ক্যাম্পাসে ব্যারিকেড করা হল, যাতে ছাত্র প্রতিরোধ হতে না পারে। রাতের অন্ধকারের হাজার ভোল্টের আলো, ময়ূরের কান্না, গাছের পর গাছ লোপাট এবং এক ডিস্টোপিক দৃশ্যরচনা। যতক্ষণে স্থানীয়রা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রতিরোধ করা হয়েছে, ততক্ষণে কেটে নেওয়া হয়েছে ১০,০০০-এর ওপর গাছ। এবং ঠিক কোন সময়? যখন অধিকাংশ প্রজাতির নেস্টিং পিরিয়ড।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাধা এলে সরকার থেকে যুক্তি দেওয়া হল, এই ফরেস্ট থেকে রেভেনিউ আসার তত্ত্বটি, অর্থাৎ, সরকারকে ওরফে সরকার-চিহ্নিত কোম্পানিকে দেওয়া রেভেনিউ ল্যান্ডে খুল্লমখুল্লা পরিবেশঘাত চললে কারও কিছু বলার নেই। এও বলা হল, ‘কাঞ্চা’ শব্দের অর্থ ওয়েস্টল্যান্ড, অর্থাৎ, নামেই তো লুকিয়ে আছে ছাড়পত্র। কোম্পানি বলছে, ২০২৪-এর জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বিশদ সার্ভে করে গিয়েছেন কোম্পানির আধিকারিকরা, যেখানে ৪০০ একরে কোম্পানির যে কোনওরকম কাজে সম্মতি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হচ্ছে, বিষয়টি পুরোটাই টিজিআইআইসি-র মনগড়া, সামান্য কিছু প্রাথমিক সমীক্ষার বাইরে জুলাই মাসে আর তেমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি, সম্মতি তো দূর অস্ত।
সরকারের চেনা পরিবেশঘাতক দিকটি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতিও যথেষ্ট। জীববৈচিত্রের দিক থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এই অঞ্চল কেন এক কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পারবে না, যথেষ্ট কাগজপত্র থাকবে না, বক্তব্যে থেকে যাবে অসংগতির পর অসংগতি, তার ব্যাখ্যা নেই।
প্রতিরোধের ছবি এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অবস্থান এখানে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। এ-বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি হলেই সেই সুযোগে চলেছে গাছ কাটার তোড়জোড়। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই গাছিবৌলিতে আর্থমুভার এবং বুলডোজারের আধিক্য দেখে ১৩ মার্চ থেকে হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট’স ইউনিয়নের তরফ থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। পাশে এসেছিল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, নন-টিচিং স্টাফ ইউনিয়ন এবং শ্রমিক ইউনিয়ন— তৈরি হল জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আইআইআইটি হায়দরাবাদ এবং টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স (টিআইএসএস) মিলে তৈরি হয়েছিল প্ল্যাটফর্ম ‘সেভ কাঞ্চা গাছিবৌলি’। সরকারের ‘রেভেনিউ ল্যান্ড’ তত্ত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারীদের পক্ষ থেকে তোলা হল ১৯৯৬-এর দৃষ্টান্তকারী টি এন গোদাবর্মণ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলার প্রসঙ্গ। সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার বলেছিল, সরকারিভাবে ‘ফরেস্ট’ নথিভুক্ত না হলেও যেকোনও ফরেস্ট কভার অঞ্চলই ‘ফরেস্ট ল্যান্ড’ আওতাভুক্ত হবে। মার্চের শেষের মাত্রাতিরিক্ত বৃক্ষচ্ছেদনের পর প্রতিরোধকারী ৫৩ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর শারীরিক হেনস্থা এবং গ্রেপ্তারির পর বিষয়টি জাতীয় স্তরে পরিবেশ আন্দোলনের রূপরেখা পেল। তেলেঙ্গানা হাই কোর্টে ছাত্র ইউনিয়ন ও এনজিও বাটা ফাউন্ডেশনের দু’টি পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনে কোর্ট থেকে অবিলম্বে জমি অধিগ্রহণের কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও এর পরেও চলেছে বিক্ষিপ্ত গাছ-লোপাট চক্রের কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে রাস্তায় নেমে দাবি করা হল, অঞ্চলটিকে বায়ো-হেরিটেজ রিজার্ভ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য।
ঠিক এই সময় (৩ এপ্রিল) সুয়ো মোতো কগনিজ্যান্স-এর মাধ্যমে বিষয়টি নিজের হাতে নিয়ে নিল সুপ্রিম কোর্ট। তেলেঙ্গানা হাই কোর্টের জুডিসিয়াল রেজিস্ট্রারের থেকে বিশদে রিপোর্ট এল, এবং খুব স্বাভাবিক, সেই রিপোর্টে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক দিকটি উল্লিখিত ছিল। পরিণতিতে বিচারপতি বি আর গাভেল ও এ জি মাসি-র নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ থেকে ইমিডিয়েট স্টে অর্ডার। সুস্পষ্টভাবে বলা হল, এই বৃক্ষচ্ছেদন ‘অ্যালার্মিং’। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা বলছে, ‘Until further order, no activity of any sort, except protection of trees already existing, shall be undertaken by the state.’ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে উন্নয়ন এবং গাছ কাটার এত তাড়াহুড়োর কারণ দেখাতে বলা হল। পরবর্তী শুনানি ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যত মুখবন্ধ উন্নয়ন-চক্রের।
এবং এখানেই তরজা ও পাল্টা তরজা এবং কিছু প্রশ্ন। সরকারের চেনা পরিবেশঘাতক দিকটি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতিও যথেষ্ট। জীববৈচিত্রের দিক থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এই অঞ্চল কেন এক কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধরে রাখতে পারবে না, যথেষ্ট কাগজপত্র থাকবে না, বক্তব্যে থেকে যাবে অসংগতির পর অসংগতি, তার ব্যাখ্যা নেই। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আইটি পার্ক প্রস্তাবনার সময় কোনও এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) বা এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (ইএমপি)-এর ইয়ত্তা নেই। মানা হয়নি ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট এবং তেলেঙ্গানা ওয়াটার, ল্যান্ড অ্যান্ড ট্রিজ অ্যাক্ট-এর অধিকাংশ নিয়ম। স্থানীয়দের সম্মতি বা পাবলিক কনসাল্টেশন নেই। ৪০০ একরের কোনও নির্দিষ্ট মানচিত্র জনসমক্ষে দেওয়া নেই। কোনও মাস্টার প্ল্যান নেই। এবং এত কিছু নেইয়ের ভেতর তাড়াহুড়ো, বড় ছুটির সুযোগ নিয়ে (সুপ্রিম কোর্টের ভাষায়) দেদার বৃক্ষচ্ছেদন এবং রেভেনিউ ল্যান্ড ইত্যাদির কথা বলে ধামাচাপা।
জীববৈচিত্র ছাড়াও আরেকটি দিক থেকে যায়। পিকক লেক ও বাফেলো লেকের কথা, গোটা অরণ্যের জলের উৎস এবং অধিকাংশ প্রজাতির নেস্টিং গ্রাউন্ড— এই দুই জলাশয় বৃক্ষচ্ছেদিত আওতাভুক্ত। আছে মাশরুম রক-এর মতো ভূতাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশও। কোম্পানি-বিশ্ববিদ্যালয় তরজায় রোষের মুখে এরাও।
এই লেখা যখন লিখছি, তখনই কিছু সাম্প্রতিক ডেভেলপমেন্টের দিকে নজর গেল। ইউ-টার্নের মতো বদলে গেল তেলেঙ্গানা সরকার। কোর্টের ধমকে? তুমুল প্রতিরোধে? ভাইরাল ছবির সৌজন্যে?
যে কারণেই হোক, সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, বৃক্ষচ্ছেদন হবে না। আইটি পার্ক বদলে ২,০০০ একর জুড়ে করা হবে বিশ্বের বৃহত্তম ইকো পার্ক, যা কাঞ্চা গাছিবৌলি এবং হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির ওপরেই হবে। এবং এর জন্য শহরতলি-লাগোয়া ‘ফিউচার সিটি’-তে সরানো হবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাবে ১০০ একর জমি এবং পাশাপাশি নতুন ক্যাম্পাস তৈরির জন্য ১,০০০ কোটি টাকা।
যদিও এসবের মাঝেই প্রশ্ন থেকেই যায়, এই কল্পিত ইকো পার্কের ভেতর বাটারফ্লাই গার্ডেন, ওয়াইল্ডলাইফ জোন, টার্টল পার্ক, ওয়াকিং ট্রেল, অবজারভেটরি ইত্যাদির বাইরেও থাকছে ‘ওপেন-এয়ার জিম’-এর মতো হিউম্যানসেন্ট্রিক ভাবনা। কোথাও ঘুরিয়ে জীববৈচিত্র ও কাঞ্চা গাছিবৌলির প্রাকৃতিক সারল্যের পরিপন্থী হবে না তো এই ইকো পার্ক? পরিবেশকেন্দ্রিক উন্নয়ন আদৌ পরিবেশকেন্দ্রিক না কি আমোদকেন্দ্রিক? এবং প্রতিরোধের ঢেউ একটু কমে গেলেই এই স্থানান্তরণের মাঝের সময়টুকু ছুটির দিনগুলো বৃক্ষচ্ছেদন হবে না— এই আশ্বাস দিচ্ছে তো সরকার? বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ১,৬০০ একর বর্তমান জমির বদলে ১০০ একর এবং ১,০০০ কোটি অর্থের টোপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-অধ্যাপকদের কাছেও ধোঁয়াশা রেখে যাচ্ছে। যা আছে, তাকে সেভাবেই রেখে দিতে কী সমস্যা? সামান্য দূরেই কেবিআর ন্যাশনাল পার্কের মতো একটা আশ্বাস, আশ্রয় কেন পাবে না কাঞ্চা গাছিবৌলির মাশরুম রক, বিপন্ন মাকড়সারা?
প্রশ্ন চলবেই, উত্তর ক্রমশ আসুক…
ঋণ স্বীকার:
‘400 acre Kancha Gachibowli land was not shown as Forest in Revenue or Forest records’, April 3, 2025. The Hindu.
Chandra, Amal. A city aginst its forest: Kancha Gachibowli and the crisis of urban planning. April 4, 2025. Down to Earth.
Expect ecological crisis if Kancha Gachibowli forest is razed down, says report. April 2, 2025. Siasat Daily.
Minhaz, Ayesha. Kancha Gachibowli and the battle for Hyderabad’s last green haven. April 3, 2025. Frontline Magazine.
Pisharody, Rahul V. Kancha Gachibowli land issue: All you need to know about the protests in Hyderabd. April 6, 2025. Indian Express.
Rajani, Amisha. Telangana deforestation: One of world’s biggest eco parks’ planned at Kancha Gachibowli but University of Hyderabad students cry foul. April 5, 2025. The Times of India.
These animals will be affected by destruction of Kancha Gachibowli forest. April 3, 2025. India Today.