ক্লান্ত ফুসফুসের কবিতা
দিন বা সময়, বলো, না কেটে কোথায় যাবে?
এই যে এসেছ, সঙ্কাশে, জবাকুসুম হাতে হাতে
শান্তচরণে
একে অন্যের আয়নায় ছবি এঁকে রেখেছি সারা রবিবার
ক্লান্তির দেবদূত এসেছেন কাল পরশু
প্রতিদিন
আর খুব কড়া ঘুমের ওষুধের মতন
এসে গেছে প্রেম
এসো দেবদূত, ডানা মুড়ে চিলছাদে বসো
মাথার ওপর উড়িয়ে রাখো অসুখের রাংতা নিকোটিন প্যাচ
শহরপ্রান্তে বসে ঈশ্বরী কি আঁচলে গিঁট দেয়?
ধরতে চায় পালাতে থাকা আরতির আঁচ?
বড় বেশি দেরি হলো, তবু,
আবার আবার সেই আশরীর তুমি—
স্বার্থপর জানালা—
কলারে আদর ঢেকে—
সামনের বাসের নীল দেখতে-দেখতে ঝিমিয়ে পড়েছ
করুণাধারায়
ডালপালার প্রান্তে-প্রান্তে, ইনহেলার
দুর্বল স্নায়ু নুয়ে ছিল শিশিরের মতো
বিকেল হয়েছে বুঝি, বড্ড বিকেল?
তারপর?
বিকেলে যা হয় আর কি
বিষাদ অথবা আলো, কনে-দেখা
সন্ধেবেলা নিরপেক্ষ শব্দ আর সুর আমরা খুঁজতে বেরিয়েছি
পুরুষ ও প্রকৃতি, শর্ত মেনে
রেখেছি সমর্পণ, অক্ষয়-মুদ্রা
আলেয়া আর স্বপ্রকাশের ভেতর
(ভেইল অফ ভেরোনিকা— কাঁটার মুকুট জেগে উঠলে!)
তোমাদের মুখচ্ছবি আঁকা হচ্ছে আমাদের লজ্জাবস্ত্রে
রাজসমারোহে
নববর্ষের হাওয়ায় তোমার পাখনার শব্দ
শব্দ এবং ট্রাফিক সিগনাল
সিগনাল থেকে অশেষ পথ
কোনদিকে যাবে দিদিমণি? রিকশাগুলো ছাড়া
ঈশ্বরীর বাজারহাট অচল
এত বছর হাজারটা আঙুল শরীরে বাজতে চেয়েছে—
এত-এত করপরশ, হৃদয়হীন
দিনের পরে দিন— অথচ স্বপ্নে শুধু
আরাধনা সঙ্গীত
আর ক্লান্তিময় তোমার দুটো ঠোঁট
ক্লান্ত ফুসফুসের দেবতা, তোমার সমস্ত দেহকোষে বায়ু
আদরের হাত রেখে যাক
ঈশ্বরী, তোমার এই নতুন এডিশন কেমন লাগছে?