শেষ চিঠিতে বান্ধবী, লেখিকা রোজামুন্ড কার-কে ডায়ান ফসে লিখেছিলেন, ‘Oh Rose, I need a friend so much, so many people are against me…’ লুই লিকি’স এঞ্জেলস— তিন পরি, যাঁদের বলা হত ‘দ্য ট্রাইমেটস’! এই ইতিহাস ‘গ্রেট এপ সংরক্ষণ ও গবেষণা’-র জন্য পাশ্চাত্য থেকে তথাকথিত অন্ধকার পৃথিবীতে আসা তিন তরুণীর— জেন গুডল, ডায়ান ফসে এবং বিরুটে গ্যাল্ডিকাস। তিনজনেরই গুরু কিংবদন্তি প্রাইমেটোলজিস্ট লুই লিকি। কেন তিনজনই মহিলা? লুই বলছেন, ‘they are better observer than men…’ ষাটের দশকের শেষে লস অ্যাঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ায় গ্র্যাজুয়েশনের সময়ে লুই লিকির অনুরোধ, ১৯৭১-এ ইন্দোনেশিয়ান বোর্নিওর তাঞ্জুং পুটিং রিজার্ভে পা রাখা এবং টানা ৫৩ বছরের গবেষণা— এই হল বিরুটে গ্যাল্ডিকাসের কেরিয়ার। অবশ্য এই উত্তরাধিকারের ভিত তৈরি করেছিল বেশ কিছুটা আগের আরও দুটি অভিযান। ডায়ান ফসে— ১৯৬৩-র সাত মাসের আফ্রিকান ট্যুরের পরে দেশে ফিরে আসা, কয়েক বছর পরেই লুই লিকির আহ্বান। অবিবাহিত, দৃঢ়চিত্ত ডায়ানকে ভয়ংকর ঝুঁকিপূর্ণ গোরিলা গবেষণায় উপযুক্ত মনে হয়েছিল লুই লিকির। শিক্ষকের থেকে অবশ্য আশ্চর্য এক শর্ত পেলেন ডায়ান। লিকি বললেন বাধ্যতামূলক অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের কথা। উত্তেজনায় সেখানেও কার্পণ্য করেননি ডায়ান; পরে জেনেছিলেন ছাত্রীর মনের দৃঢ়তা পরীক্ষা করতে স্রেফ মজা করেছিলেন স্যার লিকি। ১৯৬৬-তে কঙ্গোয় এসে মাস ছয়েকের মধ্যে জর্জ স্যালার-খ্যাত কাবারা গ্রাসল্যান্ডে আস্তানা। স্থানীয় বিদ্রোহের আওতায় পড়ে রুমাঙ্গাবোয় কঙ্গোর বিদ্রোহীদের কাছে আটক, তারপর কোনওক্রমে বেঁচে ফিরে শেষমেশ ভিরুঙ্গার রুয়ান্ডার দিকে ঠিকানা। মাউন্ট কারিসিম্বা এবং মাউন্ট বিসোকো পাহাড়ের মাঝে, দুই পাহাড়ের নাম মিলিয়ে ১৯৬৭-র ২৪ আগস্ট নিজের গোরিলা গবেষণা কেন্দ্রের নাম রাখলেন কারিসোকে রিসার্চ সেন্টার। ডায়ান ফসের লেগ্যাসির শুরু সেখানে। আর জেন গুডল— স্যার লিকির প্রথম পরি! ১৯৬০-এর ১৪ জুলাই তানজানিয়ার গোম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে প্রথম গ্রেট এপ গবেষণায় এলেন জেন গুডল, সঙ্গে মা মার্গারেট। সেই জেন এই বছর ৩ এপ্রিল নব্বই ছুঁলেন; বলছেন, ‘Change happens by listening and then starting a dialogue with the people who are doing something you don’t believe is right.’
জেন গুডলের তানজানিয়ার গোম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কের স্মৃতি। সেইসব মুহূর্ত! শিম্পাঞ্জিদের নম্বর দিয়ে শনাক্ত করার সনাতন প্রথায় বিশ্বাস করেননি জেন; নাম দিতেন ওদের। ডেভিড গ্রেবার্ড, ফ্লো, ফ্রোডো, গলিয়াথ, মাইক, হামফ্রে। ১৯৬০-এর ১ অক্টোবরের মুহূর্ত। একদিন গলিয়াথের সঙ্গে ডেভিড গ্রেবার্ডকে দেখলেন জেন, সরু ধারালো ঘাস নিয়ে এক উইঢিপির দিকে আসছে, ঘাস নিজের ইচ্ছেমতো বাঁকিয়ে করে নিচ্ছে এক চকচকে ছুরি; আহ্, অলৌকিক। তাঁর বই Through a Window-তে জেন লিখছেন, ‘Not only was he using the grass as a tool— he was, by modifying it to suit a special purpose, actually showing the crude beginnings of tool-making. What excited telegrams I had sent off to Louis Leakey… Humans were not, after all, the only tool-making animals.’ স্যার লিকি, যিনি জেনের নিজের ভাষায় ‘ফার-সাইটেড জিনিয়াস’, জেনকে লিখছেন, ‘Now we must redefine tool, redefine Man, or accept chimpanzees as humans’ ঠিক এমনই এক যন্ত্র-তৈরির মুহূর্ত অনেক, অনেকটা পরে, বিরুটে গ্যাল্ডিকাসের লেখায়, স্মৃতিতে। এক পূর্ণবয়স্ক ওরাংওটাং এক আয়রনউড গাছের ডালে বসে অন্য একটা ডাল ছিঁড়ে, বাঁকিয়ে পিঠ চুলকানোর কাজ করছিল। একটি শিশু ওরাংওটাং অন্য একটি ডালের ভাঙা অংশ নিয়ে মৌমাছি তাড়াতে কাজে লাগাত। বিরুটের কথায়, ‘Orangutans never cease to astonish me. After 43 years, I still find them fascinating.’
এবং ক্যানিবালিজম ও শিম্পাঞ্জিদের শাকাশী ধারণার চিরাচরিত প্রথার লোপ। জেন নিজে দেখেছেন ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ অবধি চলা গ্রেট শিম্পাঞ্জি ওয়ার, কলোবাস মাঙ্কিদের ফাঁদ পেতে শিকার, এমনকী নিজেদের প্রজাতির শিশুমাংস খাওয়ার মতো ঘটনা— এসবের মাঝেও শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে জেনের অনন্ত বন্ধুত্ব। প্রিয়তম শিম্পাঞ্জি ফ্লো-র মৃত্যুদৃশ্য নিয়ে লিখছেন, ‘It was a bright, clear morning when I received news of her death. Her body had been found, lying face down in the Kakombe Stream. Although I had long known that the end was close, this did nothing to mitigate the grief that filled me as I stood looking down at Flo’s remains. I had known her for eleven years and I had loved her.’
ডায়ানের গল্পে আলোর সুযোগ শুরু থেকেই কম। গোরিলা সংরক্ষণ আন্দোলনে বন্ধু বলতে কয়েকজন আফ্রিকান ট্র্যাকার, ১৯৭২ পর্যন্ত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এর ফোটোগ্রাফার বব ক্যাম্পবেল, লেখিকা-হিউম্যানিটারিয়ান রোজামুন্ড কার বা বেলজিয়ান মহিলা অ্যালিয়েট ডিমাঙ্ক-এর মতো হাতেগোনা কিছু মানুষ। গোরিলা শিকার আটকাতে ভিরুঙ্গা ঘুরে ঘুরে অ্যান্টিলোপ ফাঁদ ধ্বংস করছেন ডায়ান এবং তাঁর গোরিলা ট্র্যাকার দল। ১৯৬৭-তে রুয়ান্ডায় ২০টি দলে ঘুরে বেড়ানো ২৪০টি মাউন্টেন গোরিলার এক-একটা দলকে নেতৃত্ব দিত বিশালাকার সিলভারব্যাক গোরিলা। ১৯৭৭-এর শেষে ডায়ানের প্রিয়তম সিলভারব্যাক বারো বছরের ডিজিটের মাথা ও দু-হাত কাটা শরীর আবিষ্কার করেন ডায়ানের সহকর্মী ইয়ান রেডমন্ড। ওয়াল্টার কঙ্ক্রাইটের সি বি এস ইভনিং নিউজ রিপোর্টেও ১৯৭৭-এর ৩১ ডিসেম্বর ডিজিটের মৃত্যুর খবর। গোরিলা সংরক্ষণে হঠাৎ নড়েচড়ে বসে বাইরের পৃথিবী। ১৯৭৮-এ চোরাশিকারি এবং ভিরুঙ্গা পার্কের অফিসিয়ালদের একটি দল শিশু গোরিলা কোয়েলিকে নিয়ে যেতে এলে সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হয় ডিজিটের গ্রুপ ফোর-এর আরেক সিলভারব্যাক আঙ্কল বার্ট, সঙ্গে ওই আক্রমণেই মারা যায় কোয়েলির মা ম্যাকো। কোনওক্রমে কোয়েলি বেঁচে গেলেও চোরাশিকারিদের বুলেটে আঘাত পেয়ে তিন মাসের মধ্যে গ্যাংগ্রিনে চলে যায় সেও। গোরিলা-গবেষণা থেকে সরে গিয়ে ক্রমশ ডিপ্রেসিভ, সঙ্গীহারা ডায়ান ফসে চোরাশিকার-বিরোধিতাকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে বেছে নিলেন। ডিজিট চলে যাওয়ার পর তৈরি হওয়া ডিজিট ফান্ড-এ (বর্তমানে ডায়ান ফসে গোরিলাজ ফান্ড) আসা অর্থ দিয়ে ১৯৭৯ সালের চার মাসে মাত্র চারজন স্টাফ নিয়ে মোট ৯৮৭টি অ্যান্টিলোপ ফাঁদ নষ্ট করেন ডায়ান। আশ্চর্য, ঠিক ওই সময়ে চব্বিশজন স্টাফের ভিরুঙ্গা পার্কের টিম একটিও ফাঁদের নাগাল পায়নি। ডিজিট-হত্যা প্রসঙ্গে স্মৃতিকথা Gorillas in the Mist-এ ডায়ান লিখছেন, ‘From that moment on, I came to live within an insulated part of myself…’
এবারে তাকানো যাক লিঙ্গ পক্ষপাতের দিকে। মহিলা গবেষক জেনকে ঠিক কী ভাবে দেখেছিল ইউরোপীয় বিজ্ঞান-বৃত্ত? স্যার লুই লিকি-র বান্ধবী প্রত্নগবেষক বারবারা আইজ্যাকের কথায়, ‘People questioned his mental health.’ তথাকথিত উন্নত, সংস্কারবিহীন ইউরোপীয় বিজ্ঞান-বৃত্ত থেকে কানাঘুষো। সেইসব গুজব, মেল শভিনিজমকে কী ভাবে দেখতেন জেন? তাঁর নিজের কথায়, ‘She’s only getting this credit because she’s a National Geographic cover girl and she’s got lovely legs…’ অবিশ্বাস্য! এবং এর ঠিক উলটোদিকেই আদিবাসী অংশ। দক্ষিণ আফ্রিকার এক আদিবাসী নেতা জেনকে বলেছিলেন, ‘আমরা আদিবাসীরা নিজেদের ঈগল বলে মনে করি। একটা ডানা পুরুষ, একটা স্ত্রী। যখন দুটো ডানা সমান হয়, তখনই আমরা উঁচুতে উড়তে পারি।’ বিরুটে গ্যাল্ডিকাসের ইন্দোনেশিয়া। জাভা সমুদ্রের পাশে ক্যাম্প লিকি রিসার্চ সেন্টার— সবচেয়ে কম আলোচিত গ্রেট এপ ওরাংওটাংয়ের হটস্পট। ৫৩ বছরের রিসার্চ, সঙ্গী দ্বিতীয় স্বামী ডায়াক আদিবাসী, নেতা-পরিবেশকর্মী পাক বোহাপের সঙ্গে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরলস গবেষণা। টাপানুলি ওরাংওটাংয়ের একমাত্র বাসস্থান, বাটাং টোরু অরণ্যে মারতাবে গোল্ড মাইনিংয়ের জন্য ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ১০০ হেক্টর অরণ্যনিধন, আরও ১০০ হেক্টরের দিকে বহুজাতিকের চকচকে নজর। সঙ্গে ৬৬ হেক্টর রিজার্ভার নিয়ে শুরু হওয়া ৫১০ মেগাওয়াটের বাটাং টোরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভাবনা। গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে চলা পাম অয়েল মনোকালচারের বীভৎসতা। টাপানুলি ওরাংওটাংয়ের সংখ্যা কমতে-কমতে এসেছে ৭৬৭-তে। হতাশ, ক্ষুব্ধ বিরুটে বলছেন, ‘our world would be greatly diminished if orangutans and other living things, especially the great and small apes, were to disappear from the Earth. We humans would feel lonely as we would have no living relatives to call our evolutionary brothers and sisters.’
জেন-বিরুটে-ডায়ান— সম্পর্ক কেমন ছিল? যোগাযোগ? এক সাক্ষাৎকারে বিরুটেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার সায়েন্টিফিক আইডল কে? শুরুতে জর্জ ওয়াশিংটন কারভারের নাম বললেও, একটু ভেবে বিরুটের উত্তর ছিল— জেন গুডল। ‘Our relationship has always been sibling-like. We both had the same mentor, who was the late Louis Leakey.’ অথবা ডায়ান-জেন? দুজনের মধ্যে দেখা? কথা? এক সাক্ষাৎকারে জেন স্মৃতিতে আনছেন ডায়ানের সঙ্গে সেইসব স্মৃতি। বার বার ডায়ানকে বোঝাচ্ছেন, স্থানীয় মানুষদের ডায়ান যেন নিজের গবেষণায়, কাজে যুক্ত করেন। ডায়ান সন্দেহ করছেন। বলছেন, স্থানীয় মানুষদের গোরিলাদের কাছাকাছি আনলে, গোরিলারা চোরাশিকারিদের আরও বেশি করে কাছাকাছি চলে যাবে। জেন মানতে পারেননি; ‘and I would say to her, our chimps know the difference between my filed-staff and strangers. I’m sure your gorillas would.’ কাজের পদ্ধতির নিরিখে এই মতান্তরের মেঘ কাটেনি। স্থানীয় এক চোরাশিকারির ছেলেকে অপহরণ, গোরিলার মল জোর করে খাইয়ে চোরাশিকারিদের সেপটিসিমিয়ায় আক্রান্ত করার চেষ্টা, কালো-জাদুর মতো সংস্কারাচ্ছন্ন বিষয়ে ঝুঁকে পড়া— এ-সমস্তই কথিত হয়ে আছে শেষ কয়েক বছরের ডায়ানের সঙ্গে। এই সত্য কিংবা অতিকথনের মধ্যে দিয়ে, ডায়ান ফসে পালটে যাচ্ছেন ক্রমশ।
বন্ধুহীন, শৈশব-কৈশোরবিহীন ডায়ান, কাদামাটির রুয়ান্ডা পাহাড়ে ওঠা, এমফাসিমা আক্রান্ত, ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়া ডায়ান কারণে-অকারণে স্থানীয় আফ্রিকানদের ওপর বিরক্ত হয়ে পড়ছিলেন। ক্রিসমাসে উপহার দিয়ে ঠিক পরমুহূর্তেই তাদের ছোট-ছোট ভুলে চিৎকার করে উঠছেন— পরোক্ষভাবে হয়তো ঔপনিবেশিক, বর্ণবিদ্বেষী মানসিকতার প্রকাশভঙ্গি এসে যাচ্ছে তাঁর ব্যবহারে। শখের পর্যটক তকমায় এঁটে দিয়ে, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে, সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করলেন কারিসোকে রিসার্চ সেন্টারে আসা তরুণ গবেষকদের। পাশাপাশি রুয়ান্ডা সরকার এবং ভিরুঙ্গা পার্ক সংস্থা ও.আর.টি.পি. এন.–এর পর্যটন-প্রচারকে গোরিলা-বিরোধী বলে সরাসরি বিরোধে নামলেন। মনুষ্যজনিত অসুখ গোরিলায় সংক্রামিত হয়ে যাওয়ার ভয় পেলেন, পাশাপাশি পড়শি দেশ জাইরে-র গোরিলাদের আচরণ দেখতে উল্লাস করে ভিড় করা পর্যটকদের ডায়ান চিনে নিয়েছিলেন আগেই। একবারের জন্যেও অ্যান্টিলোপ ফাঁদে হাত না দেওয়া অভিজাত মার্কিন-ইউরোপীয় শৌখিন সংরক্ষণবাদীদের আঘাত করতে থাকলেন। ১৯৮৫-র ২৭ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ছ’টায়, পরিচারক এবং এক সহকর্মী-ছাত্র, প্রায় তছনছ হয়ে যাওয়া নিজস্ব কেবিনের অন্দরে, মাথায় কোনাকুনি একটা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শেষ হয়ে যাওয়া, বছর চুয়ান্ন ছুঁতে যাওয়া ডায়ান ফসে-র নিস্পন্দ শরীর খুঁজে পান। ডায়ানের একসময়ের পরিচিত, পরে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়া গবেষক বিল ওয়েবার বলেছেন, ‘she got killed because she was behaving like Dian Fossey.’
এই বীভৎসতা, উত্তরাধিকার, আবেগের মধ্যে দিয়ে ‘লিকি’স এঞ্জেলস’ কিংবদন্তি হয়ে আছেন। স্মৃতিতে ডায়ানকে রেখেই গ্রেট এপ সংরক্ষণ আরও তীব্র হোক। সাতাত্তর থেকে ক্রমশ আশি ছুঁয়ে তথাকথিত উন্নয়নের সঙ্গে সমঝোতা করা ইন্দোনেশিয়ান বোর্নিওর এক ঝকঝকে সূর্য দেখুক বিরুটে গ্যাল্ডিকাসের কেবিন। নব্বই ছোঁয়া জেন গুডলের ডায়েরি থেকে অক্ষত হোক সেই সমস্ত কথা,
‘The will to fight, to fight to the bitter end, flared up. The chimpanzees need help now more than ever before, and we can only help if we each do our bit, no matter how small it may seem. If we don’t, we are betraying not only the chimpanzee but also our own humanity. And we must never forget that, insurmountable as the environmental problems facing the world may seem, if we all put together, we have a good chance of bringing about change. We must. It is simple as that!’
ছবি: সংগৃহীত
ঋণস্বীকার:
১. Butler, Rhett A. Jane Goodall on 90: On fame, hope and empathy. April 3, 2024. Mongabay.
২. Cudmore, Becca. 10 questions for Birute Mary Galdikas, orangutan expert. August 19, 2014. Science Friday.
৩. Fossey, Dian. Gorillas in the Mist. May 3, 2001. W&N.
৪. Fowler, John. A Forest in the clouds. My year among the mountain gorillas in the remote enclave of Dian Fossey. February 6, 2018. Pegasus Books.
৫. Goodall, Jane. Through a Window. January 23, 2020. W&N.
৬. Goodall, Jane & Bharadwaj, Gitika. Jane Goodall on a life as a woman defending the wild. November 8, 2021. Chatham House.
৭. Montgomery, Sy. Walking with the Great Apes: Jane Goodall, Dian Fossey, Birute Galdikas. August 25, 2009. Chelsea Green Publishing.
৮. Shoumatoff, Alex. The fatal obsession of Dian Fossey. September, 1986. Vanity Fair.
৯. Terrados, Pedro Pozas. Birute Mary Galdikas: The great forgotten one. December 16, 2023. Pressenza.
১০. Thompson, Claire Elise. Jane Goodall’s legacy of empathy, curiosity and courage. August 3, 2024. Grist.