প্রবাদ ও বৃষ্টির ডাইরি
১.
আমার চোখে ঝুলে রয়েছে গাছপাকা দীঘল চাঁদ। এক পা দুপা করে এগিয়ে সে উঁকি দিচ্ছে মেঠো মসজিদের জানালায়। তিনজন বাচ্চা বই খুলে হাসতে হাসতে মিলিয়ে যাচ্ছে জ্যোৎস্নাবাতাসে। হরিণচক্ষু, তুমি ফিরে যাও নিশুতি হাওয়াপ্রান্তরে।
২.
উনিশ-বিশ-একুশ একই প্রলাপের রুবিকস্ কিউব। নতুন কী বললাম? কী বলব স্ফটিক কিউপিডে? আমার কানে বাজছে ভিক্ষুনির আর্তনাদ। দীপ ধুপ মালা নিয়ে প্রতি সন্ধ্যায় সে উজ্জয়িনীর পথে পথে হেঁটে চলে। নাবিকের দল ফিরে যায়। ভোররাতের দাগ লেগে থাকে নগর জুড়ে।
৩.
একটা আস্ত জিওল মাছ আমার পোশাকের ভিতর খলবল করছে। এক সেন্টর আঁকাবাঁকা দৌড়ে চলেছে আমার শৈশব পেরোনো নদীর দিকে।
৪.
আবর্জনাস্তূপ নগর পেরিয়ে গ্রাস করছে আমায়। মাত্রাহীন দেওয়াল ঘড়ির ভিতর থেকে সাইরেন বাজিয়ে নেমে আসছে রেললাইন। একত্র এবং একক খামার জুড়ে আমাদের আমরা ফেরি করে চলেছি। গতানুগতিক তুমি জেগে থাকা রাতে পুরনো শিকড় বেয়ে নেমে এসো খাপছাড়া। দ্যাখো, এখনও আমরা জলছাপ লাগিয়ে চলেছি শরীরজুড়ে। দ্যাখো, আমাদের ফেলে আসা আর আগামী অতীতকে।