ওঙ্গে চৌধুরির অবশ্য কিশিমোতো জুনিয়রকে চেনাচেনা লাগবারই কথা। কিশিমোতোদের বাবা-ছেলের চেহারায়, শারীরিক গঠনে বেশ মিল আছে। এমনকী মিহি কণ্ঠস্বরটাও একই রকম। ইংরেজি বলবার ধরনটাও। এক ঝলকেই ওঙ্গে চৌধুরির অনেক কথা মনে পড়ে গেল। তিনি দরজা থেকে সরে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে একটা হাত ভেতরদিকে নির্দেশ করায় ড. কিশিমোতো ঢুকে এলেন ছোট্ট ফ্ল্যাটটার বৈঠকখানায়।
ওঙ্গে চৌধুরির গায়ের রঙ কালো। তিনি বেশ লম্বা, তার চেয়েও বেশি রোগা। এক মাথা ঝাঁকড়া সাদা চুল, মুখ লম্বাটে, সারা মুখে খোঁচাখোঁচা সাদা দাড়ি। অবশ্যই তাঁর আসল নাম ‘ওঙ্গে চৌধুরি’ নয়, নামটা হল ওম বিলাস চৌধুরি। এখানকার অনেকে তাঁকে স্থানীয় অধিবাসী ভাবলেও আসলে তিনি বহুদিন আগে পুলিশের চাকরি নিয়ে এসেছিলেন রাঁচি থেকে। ইংরেজি প্রথমে বলতে পারতেন না, এখন শিখে নিয়েছেন। তাঁর ইংরেজিতে বেশ একটা বিহারি টান আছে।
আন্দামানে আসবার পর ওম বিলাস চৌধুরিকে ‘বুশ পুলিশ’এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বুশ পুলিশ হল এমন এক পুলিশ বাহিনী, যারা আন্দামানের আদিম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আদানপ্রদান, সুসম্পর্ক এমনকী বন্ধুত্ব তৈরির চেষ্টা করে। আন্দামানের বিভিন্ন অগম্য দ্বীপে এদের উপস্থিতি থাকে নগন্য সংখ্যায়, অনেক সময় কোনও জঙ্গলে একলাও থাকতে হয়। ওম বিলাস এরকমই নানা পোস্টিং-এ বেশ সফল হন। দেখা যায় আদিবাসীদের সঙ্গে সহজেই সখ্যতা তৈরির একটা স্বাভাবিক ক্ষমতা তাঁর আছে। ওঙ্গে উপজাতি এক সময়ে সভ্যতার ধার ধারত না। হিংস্র জারোয়ারাদের মতোই একান্তে থাকত তারা। জারোয়ারা অবশ্য আস্তেআস্তে সহজ হয়ে আসছে। এখনও যারা প্রচণ্ড আক্রমণাত্বক এবং আলাদা রয়ে গেছে, তারা হল সেন্টিনেলিজ়। কিন্তু এক সময়ে ওঙ্গেরাও এমন ছিল। ওঙ্গেদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা গেছিল ধীরেধীরে। আর সেই কাজে ওম বিলাস চৌধুরির ভূমিকা বড় কম নয়। আস্তে আস্তে ‘ওম বিলাস চৌধুরি’ নামটা সবাই ভুলে গেল। ওঙ্গে স্পেশ্যালিস্ট ওম বিলাস লোকমুখে, জনশ্রুতিতে পরিণত হলেন ‘ওঙ্গে চৌধুরি’-তে।
ড. কিশিমোতোকে একটা চেয়ারে বসতে বললেন ওঙ্গে। বসেই কিশিমোতো বলতে শুরু করলেন তাঁর আসার উদ্দেশ্য, সময় নষ্ট না করে। বললেন— আপনার কাছে আমি এসেছি ড: ব্রহ্ম ঠাকুরের নির্দেশে। তিনি সম্ভাব্য অভিযানের জন্য আপনাকে এবং আমায় তৈরি থাকতে বলেছেন। আপনার গাইডেন্স আমাদের বিশেষ প্রয়োজন হবে। আর একটা কথা, আপনি চেনেন কি না জানি না, আমাদের এক বিশিষ্ট বন্ধু এরিক দত্ত নিরুদ্দেশ হয়েছেন। তাঁকে খুঁজে বের করতেই হবে। ব্রহ্ম ঠাকুর সুযোগ পেলেই এখানে আমাদের বার্তা পাঠাবেন। আমি যেখান থেকে এলাম— সেই আমাদের ক্যাম্প তাঁর বার্তা পাঠানোর জন্য নিরাপদ ছিল না। তাই তিনি আমায় এখানে অপেক্ষা করতে বলেছেন। সেই বার্তা এসে পৌঁছলেই এরিক দত্তের সন্ধান শুরু করব আমরা।
২৬।
বিলি এরিক সংবাদ ২
সেলুলার জেলের ভূগর্ভস্থ গোপন উইং-এর একটি কারাকক্ষের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন এরিক দত্ত এবং বিলি গিলচার। গিলচার কিছু ‘রাজনৈতিক শত্রু’কে সেখানে বন্দি করে রাখবার প্রস্তাব দিলে এরিক দত্তের অবিশ্বাস্য লাগল বিলি গিলচারের সদ্য বলা কথাগুলো। তিনি বললেন—
এটা কি তুমি সিরিয়াসলি বলছ বিলি? নাকি মজা করছ—
— তা তুমি মজাই ভাবো না বন্ধু। বাধা কে দিচ্ছে! মজা ভাবো, ইয়ার্কি ভাবো, ফচকেমি ভাবো, বন্ধুদের মধ্যে এসব তো চলেই। ব্রামহো টেগোর যে রকম বেরসিক মজা করে মাঝেমাঝে, আমিও না হয় করলাম একটু! কি? করতে পারি না? আচ্ছা ছাড়ো সেসব কথা। কাজের কথায় ফিরে আসি। আচ্ছা, এই যে আমাদের মহাকাশ গবেষণায় ভিনগ্রহীদের যোগাযোগের ওয়র্মহোল সম্ভাবনার দ্বিতীয় প্রমাণ এখানে মানে এই অঞ্চলেই পাওয়া যাচ্ছে, এই বিষয়টা তোমার কেমন লাগছে?
— ওয়ান্ডারফুল! এক্সিলেন্ট! তবে এ ব্যাপারে আমরা একদম প্রস্তাবনা পর্বে আছি বলেই মনে হয়…
— ধরা যাক, তুমি এখন হঠাৎ শুনতে পেলে যে ওই কাজটা একেবারে প্রাথমিক ভাবনার জায়গাতে আর নেই, কাজ এগিয়ে গেছে অনেকটাই, তখন তোমার প্রতিক্রিয়া কী হবে? দারুণ উত্তেজিত আর খুশি হয়ে উঠবে তুমি, কী বলো?
— আমি চমকে উঠব তেমন কথা শুনলে বিলি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, আই উইল বি প্লেজ়েন্টলি সারপ্রাইজ়ড। তারপর মনে হচ্ছে, তা ঠিক না। আমার ভাবনা হবে। নতুন একটি ওয়র্মহোল গবেষণা কেন্দ্র বসানোর বিপুল অর্থের যোগান কোথা থেকেই বা আসবে? এই মুহূর্তে আরেকটা বড় গবেষণা শুরু করবার মতো পুঁজি আদৌ আমাদের যে নেই, সেটা যেমন তুমিও জানো, আমিও ভাল করেই তা জানি।
— আছে। পুঁজি আছে আমার হাতের মুঠোয়। যদি কল্পনাশক্তি থাকে, পুঁজি তৈরি করা এ যুগে আর অসম্ভব নয়। পারমাণবিক গবেষণাকে যদি আমরা একইসঙ্গে দুই কাজে ব্যবহার করি? অর্থাৎ রথও দেখি, আর কলাও বেচি?শোনো এরিক, আধুনিক রাজনৈতিক মতামত হল— নিরস্ত্রীকরণ আদৌ আর কোনও বুদ্ধিদীপ্ত সমাধান নয়। ওতে যুদ্ধ তো আটকায়ই না, বরং ওটা অন্য শক্তিধর রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র অধিকার করে নেওয়ার লোভ বাড়ানোরই কাজ করে। তাই অস্ত্রধারণ করাটা আজকের সময়ে জরুরি। আমরা যদি মহাকাশ গবেষণার স্বার্থে এরকম কয়েকটি দুর্বল রাষ্ট্রের অস্ত্র পাওয়ার পথে খানিকটা সহায়ক হই, ক্ষতিটা কোথায় বলতে পারো?
এরিক দত্ত কোনও কথা বললেন না। চুপ করে তিনি বিলি গিলচারের দিকে তাকিয়ে রইলেন। খানিকক্ষণ দু’জনই চুপ। দু’জনের নিশ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ পরিবেশটাকে অস্বস্তিকর করে তুলছিল। শেষে এরিক বললেন— বিলি, আশা করব তুমি তোমার এই আইডিয়ার বাস্তবায়ন আমাদের সঙ্গে কথা না বলে শুরু করবে না। আর দ্বিতীয় কথা, ড: ব্রহ্ম ঠাকুর বলেও একজন প্রবলভাবে আছেন প্রোজেক্ট বিটিটু-র নেতৃত্বে। তিনি কি এই প্রস্তাব অনুমোদন করবেন? তোমার কি মনে হয় বিলি? আমি আবার প্রশ্নটা তোমায় করছি— ব্রহ্ম ঠাকুর কি পরমাণু অস্ত্র বানানোর এই প্রস্তাব মহাকাশ গবেষণার স্বার্থে কোনওদিনও অনুমোদন করবেন?
বিলি গিলচার হঠাৎ খুব রুক্ষ হয়ে উঠলেন। রাগতস্বরে খানিকটা গলা উঁচিয়েই বললেন— সবার ভোট নিতে হবে? ভাল কাজের জন্য, উন্নত ভবিষ্যতের জন্য বিতর্কসভা বসাতে হবে? গণতন্ত্রের জাঁতাকলে আবার অকারণে সবকিছু পিষতে হবে? কেন, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না? সবাই ভোট দেবে? হাঃ হাঃ হাঃ! হাসালে! —তোমরা কে হে? কতটুকু পড়াশুনো করো তোমরা বিশ্বরাজনীতি নিয়ে? আমি যদি বলি তোমরা সেকেলে আইডিয়া পোষণ করে মহান হওয়ার অভিনয় করে চলেছ প্রতিনিয়ত? তোমরা এসকেপিস্ট, প্রতিনিয়ত ডিনায়েলে বসবাস করছ। কে ব্রহ্ম ঠাকুর? ওই দু’পয়সার জ্যোতিষী, যে এফবিআই-এর বড় অফিসারদের হাসির খোরাক হয়েই কাটিয়েছে দীর্ঘদিন? যোগ্যতায় কি লোকটা কোনওদিন আমার সমান হতে পারবে? এরিক, এ কথাগুলো নিজের মুখে বলতে আমার খারাপই লাগছে। কিন্তু তোমরা আবেগ নিয়ে চলো। আবেগ নিয়েই বাঁচো। প্রকৃত যুক্তিবাদী হলে তোমরা যেকোনও মূল্যে মহাকাশ গবেষণার প্রশ্নে থতমত খেতে না। কোনও দেশ এসব ব্যাপারে পিছু হঠে না। আমেরিকা, জার্মানি, নতুন ভারত— কে করে তোমাদের মতো সতীপনা? কেউ না! তোমরা ইউটোপিয়ায় বসবাস করতে চাও। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। তোমরা প্রকৃত যুক্তিবাদী হলে নিজের থেকেই আমার মতো যোগ্য লোকের হাতে তোমাদের নেতৃত্ব তুলে দিতে—
বিলি গিলচারের কথা শেষ হল না। এরিক দত্ত অনেকক্ষণ ধরে এসব কথা সহ্য করছিলেন। হঠাৎ লাফিয়ে উঠে একটা জবরদস্ত লাথি কষালেন বিলির চোয়াল লক্ষ্য করে। কিন্তু এরিকের হিসেবে সামান্য ভুল হল। স্যাঁতসেতে ঘরটার জমি খানিকটা পিছল হয়েছিল। ফলে তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেন। লাথিটা বিলির কোথাও লাগল না, লাগল গিয়ে বেকায়দায় কারাকক্ষের দরজার ঠিক পাশটায়। তবে লাথিটা এড়াতে ডান দিকে হেলে গিয়ে ব্যালেন্স হারিয়ে বিলি ছিটকে গিয়ে পড়লেন বন্দীশালার দরজার বাইরে, কারণ সেলের গেটটা খোলাই ছিল। পড়ে গিয়ে বিলি গিলচারের চোট লাগল ডান উরুর পেশিতে। বেশ জোরেই লাগল। আঘাতটা পেয়ে তিনি আর্তনাদ করে উঠলেন। তবুও মনের জোরে তাড়াতাড়ি উঠে পড়লেন বিলি। টর্চটা পড়ে গিয়েও নেভেনি বলে সেটা কুড়িয়ে নিতে তাঁর সময় লাগল না। কারাকক্ষে আলো ফেলে দেখলেন, লাথি মারতে গিয়ে এরিক দত্তের ডান পায়েও বেকায়দায় চোট লেগেছে। এরিক সেই চোট সামলাতে না পেরে পড়ে গেছেন মাটিতে।
বিলি গিলচার উঠে পড়েই নিমেষের মধ্যে হ্যাঁচকা টানে বাইরে থেকে বন্ধ করে দিলেন সেলের দরজাটা। টর্চটা বাঁহাতে চালান করে দিয়ে ডানপকেট থেকে একটা পিস্তল বের করে তাগ করে রাখলেন এরিকের দিকে। ঠান্ডা গলায় চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন— বেশ তো ভালই আলোচনা চলছিল। মারামারির কী দরকার ছিল? তিব্বতি ‘মন্ত্রগুপ্তি’-র কৌণিক সমরকৌশলের ট্রেনিং তোমার ছিল জানি, ওসব পারতেও তুমি যুবক বয়েসে। কিন্তু এখন তো তোমার বয়স হয়েছে, খেয়াল থাকে না বুঝি সে কথা? সো স্যাড। তার উপর আমার শরীরে আঘাত করতে চেষ্টা করে, যে চেষ্টা তোমার হাঃ হাঃ, সফল হল না এমনিতেও, চালে বড় একটা ভুল করে ফেললে হে এরিক দত্ত। তবুও বিটিটু প্রোজেক্টে তোমাকেও আমার দরকার। তুমি এরপরেও আমার সহকারী হিসেবে এখানে স্বাগত। তবে তোমার বন্ধু, অকর্মণ্য ওই জ্যোতিষ সম্রাট আর যোগগুরু ব্রামহো টেগোরের স্মৃতি মাথা থেকে যত তাড়াতাড়ি তুমি মুছে ফেলতে পারবে, ততই তোমার জন্য ভাল। ওর কোনও প্রয়োজনীয়তা আমার নেতৃত্বের প্রোজেক্ট ‘বিটি টু পয়েন্ট ও’-তে আর নেই। ওর যাবতীয় জারিজুরি এবার শেষ। আমি ইচ্ছে করেই বিটিটু প্রকল্পের মাথা হিসেবে ওর নামটা ফাঁশ করেছিলাম, বলেছিলাম ‘বিটিটু মানে হল ব্রহ্ম ঠাকুর প্লাস টু’— এটা রাষ্ট্র করে দিতে, ভাবিনি ‘ব্যালেন্স’ এরপরেও ওকে ধরতে পারবে না। ইউজ়লেস বাগারস। তবে এটা ভেব না যেন, আমিই প্রথম ব্রহ্মের সঙ্গে শত্রুতা করলাম। শত্রুতার শুরুটা ওই শয়তান বুড়োটাই করেছিল। স্টিফেন হকিংকে পাঠানো ওর একটা ইমেইল ফাঁশ হয়ে গেছিল, যাতে—
— বিলি, বিলি, বিলি, মাথা ঠান্ডা করো। ওই ইমেইলটা করতে আমি ডাক্তারকে মানে ড: ব্রহ্ম ঠাকুরকে মানা করেছিলাম, কিন্তু ও শোনেনি। কোথা থেকে যেন জানতে পেরেছিল তোমার দাদু কুখ্যাত সেই ডেভিড ব্যারি— যার নৃশংস অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ডাক্তারের ঠাকুরদা আত্মহত্যা করেন এই সেলুলার জেলের কালকুঠুরিতে। কে বলতে পারে, হয়তো এই সেলটাতেই তিনি মারা যান। স্বাভাবিকভাবেই ও ডেভিড ব্যারির নাতির সঙ্গে একই সংগঠনে কাজ করতে চায়নি। ওর সেন্টিমেন্টটাও বুঝতে চেষ্টা করো। তারপর তো আমি ওকে বোঝাই! ও ওর গোঁড়ামি থেকে সরেও আসে—
— টু হেল উইথ হিজ় ড্যাম’ড গ্র্যান্ডফাদার অ্যান্ড হিজ় ব্লাডি রটেন সেন্টিমেন্টস। ওর নেটিভ ঠাকুরদা অপরাধ করেছিল, তার সাজা পেয়েছিল। তাছাড়া আত্মহত্যা করবার পরামর্শ নিশ্চয়ই তাকে আমার দাদু দেননি! যাই হোক, আর কথা বাড়াব না। এরিক, আজ রাতের মতো তোমাকে আমার ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হয়েই থাকতে হবে, কারণ তুমি আমার গায়ে হাত তুলেছ। আমি আমার মাতামহের স্মৃতিবিজড়িত জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, এখানে এ অপরাধের জন্য তোমায় ক্ষমা করলে মহামহান ডেভিড ব্যারির আত্মার কষ্ট হবে। এই কুয়োর উপরে যে বুড়ো অশ্বত্থ গাছ আছে, তার কষ্ট হবে। এমনকী ওর জুড়িদার যে অন্য গাছটা সেলুলার জেলের প্রথম আর সপ্তম উইং-এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে, তারও অপমান হবে। অতএব তোমার একারই না হয় একটু কষ্ট হোক আজ রাতে, এতে অনেকের কষ্ট বাঁচবে। আর হ্যাঁ, এই টর্চটাও আমি তোমার জন্য মোটেই রেখে যাচ্ছি না। তবে বেশি চিন্তা তোমায় করতে হবে না। তোমার এই শাস্তি মাত্র এক রাতের জন্যই। আমি কাল দুপুরের মধ্যে চলে আসব। কিছু সুস্বাদু খাবারও নিয়ে আসব তোমার জন্য, বলে দাও কী কী খেতে চাও! এসে খাওয়া দাওয়া হবে, তারপর তোমায় একটা শেষ সুযোগ দেব। আমার কাছে সম্পূর্ণ বশ্যতা স্বীকার করলে তোমায় নিয়ে কাজও করব আমি, কথা দিচ্ছি। তবে ব্রহ্মকে নিয়ে কী করা যায় বলো দিকি? না থাক, তুমি আর কী বলবে? আরেকটু সময় দাও— আমিই বরং ভেবে দেখি!
(ক্রমশ)
ছবি এঁকেছন শুভময় মিত্র