বিবাগী রুবায়েত
১.
সান্ধ্য তুষারে শব্দরা নেমে আসে একফালি চাঁদের সাথে গুটিকতক বেঁচে থাকা ডালপালা বেয়ে।
পারদ ম্যানিকুইন কাচ বেয়ে গড়াতে থাকে। এই সময়ে মনে পড়ে মহানগর একা হয়ে যাচ্ছে ফেলে আসা স্পর্শগুলোর মতো। এই নগর চুঁইয়ে এক গ্রামে আমার ঘুমভর্তি বাক্স শুয়ে আছে।
২.
এই মুসলমানপাড়া জীর্ণ আর ঘিঞ্জি অপরিষ্কার। এর শ্যাওলা প্লাস্টারে আমার অতীত আটকে আছে এই কানাভাঙা পুকুরের জলে। পুরনো শাড়ি নতুন বোরখা চাষির ঈদের আনকোরা লুঙ্গিতে আমার কুলুঙ্গি ভরে আছে। আবর্জনা আর খাবারের গন্ধের স্তরে স্তরে আমার আতর সুরমার দাগ লুকিয়ে আছে।
৩.
ঠিক কতদূর প্রসারিত ছিল আমার গতকাল? কয়েকটা অবয়ব, কেনাবেচা, সরষেজমি এই পর্যন্তই দেখতে পাচ্ছি কেবল। তাঁতঘর আর ক্ষেতের ফাঁকে আকাশ ছড়িয়ে আছে। সবুজের ফাঁকে আমার ক্ষয়িষ্ণু হাড় জড়িয়ে আছে।
৪.
রৌদ্রে ভেসে গেছে বসন্তসেনা এবং সমগ্র উজ্জয়িনী। বিদেহী রাতে জ্যোৎস্নাদেহ ভেসে যায় পর্যটক ভিড়ে। কতকগুলো শরীর আমায় বিবশ করে। আর আশ্চর্য এক আতসকাচ নিয়ে আমি নদীর ধারে-ধারে পরশপাথর খুঁজে বেড়াই।