১০।
আগামীকাল থেকে টেকনিশিয়ানদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের বনধে শ্যুটিং বন্ধ থাকবে, তাই কয়েকটা সিন অতিরিক্ত শ্যুট করে নেওয়া হল ‘দ্য অ্যান্টিসোশ্যাল’ ছবির। আজকে এতটা রাত হওয়ার কথা ছিল না। যখন আজকের মতো ‘প্যাক আপ’ ঘোষণা হল, আশ্চর্য ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ঘাবড়েই গেল। অলরেডি সাড়ে আটটা বেজে গেছে। ভবাদা ভীষণ রাগ করবেন। হম্বিতম্বি করবেন হয়তো। হাজার হোক, এই ইন্ডাস্ট্রিতে ভবতোষই যে তার গডফাদার!
আশ্চর্য মেকআপ না তুলেই বেরিয়ে পড়ল। ড্রাইভার কেদারনাথ তাকে এভাবে দেখে অবাক হল। এলোমেলো চুল আর খোঁচাখোঁচা দাড়িতে প্রায় চেনাই যাচ্ছে না এমনিতে মার্জিত ভদ্র চেহারার নায়ককে।
তবে মেকআপ না তুলে বেরিয়ে পড়লেও অসুবিধে হবে না, এটা আশ্চর্য জানে। আইকনিক মেকআপ শিল্পী শ্রদ্ধেয় বাপন শিকদার যেমন ভবাদার কাজ নিয়মিত করেন, তেমনই রকস্টার বান্টি ঘোষালের মেকআপও তাঁরই করা। এ সমস্ত উল্লুর-ঝুল্লুর চুল-দাড়ি আশ্চর্যের মুখ থেকে পটাপট খুলে নিয়ে তিনি তাঁর টিনের বাক্সে রেখে দেবেন। সেই বাক্স থেকেই বার করবেন নতুন মেকআপের পসরা।
পৌঁছতে বেশ দেরি হলেও ভবতোষ লাহিড়ী অবশ্য রাগ করলেন না। ভালই করলেন রাগ না করে। ছবির শ্যুটিং-এর দুনিয়ায় এ সমস্ত দেরি হওয়াহওয়ি লেগেই থাকে। এ জিনিস নিয়ে অত গা করলে চলে না।
ছদ্মবেশ শিল্পী বাপন শিকদার একান্ত কালীভক্ত মানুষ। তাঁর টিনের বাক্স থেকে মেকআপ-কালীর ছবি বের করে সামনে রাখলেন। প্রাচীনকালে ডাকাতরা যেমন ডাকাতেকালীর পুজো না দিয়ে ডাকাতিতে বেরোত না, বাপন মেকআপে হাত দেওয়ার আগে মেকআপ-কালীর আশীর্বাদ নেন। আসলে বহুদিন আগে, তাঁর মেকআপগিরির প্রথম জীবনে তিনি একটি ফর্সা মেয়ের সারা শরীরে কালো রং লেপে তাকে কালী সাজিয়েছিলেন— একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মডেল-চিত্রগ্রাহকের ‘ভারতের দেবদেবী’ নামের ক্যালেন্ডারের জন্য। সেই ছবিগুলি নিয়ে হইচই পড়ে যায়— সেগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে সম্মানিত, সমাদৃত, পুরস্কৃত এবং ভারতে ধিকৃত, তিরস্কৃত, নিন্দিত হয়। সেই সিরিজ় থেকেই একটা ছবি বেছে পোস্টকার্ড সাইজে বাঁধিয়ে নিজের বাক্সে রেখেছেন বাপন। কাজ শুরুর আগে বের করে হাল্কা পুজো সেরে নেন। জনশ্রুতি, ওই কালী সাজানো মেয়েটির সঙ্গে এককালে তাঁর মাখামাখি ছিল। ছবিটি এখন তিনি অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহার করেন।
বাপন শিকদার পুজো সেরে নিয়ে আশ্চর্যের বান্টি-সাজ খুলে নিতেনিতে প্রশ্ন করলেন— তা এবার কীসের মেকআপ হবে, ছোট্ট করে শুনি!
ভবতোষ লাহিড়ী বললেন— এমনভাবে জিজ্ঞেস করছেন বাপনদা, যেন আপনি জানেন না। কিন্তু আপনি তো সবই জানেন! স্মৃতিভল্লুক, স্মৃতিভল্লুক।
— ওসব উল্লুক-বেল্লিক-ভল্লুক-মুল্লুক কত সাজালাম। হুঃ! ওসব সব-ওসব ঘোড়ার ডিমের লবডঙ্কা!
কাজের ঘোর এসে গেলে বাপন শিকদার আজেবাজে বকেন। অনেক সময়ই অর্থহীন শব্দ উচ্চারণ করেন তিনি।
ভবতোষ লাহিড়ী বাপনের স্বগতোক্তি শুনে রেগে উঠলেন। কড়াভাষায় বাধা দিয়ে বললেন— উলটোপালটা কথা কিন্তু বলবেন না বাপনদা। লবডঙ্কা আবার কী? আর ঘোড়াটা কোথায় যে ডিম পাড়বে? এটা কিন্তু আস্ত একটা ভল্লুক! ঘ্র্যাকাঁও!— দুই হাতে থাবা পাকিয়ে ভাল্লুকের ডাক ডেকে ভবতোষ খানিকটা অভিনয়ই করে দেখালেন বাপনকে। তারপর বললেন— বাপনদা, আপনাকে কিন্তু এটা মানতেই হবে যে ‘স্মৃতিভল্লুক’ বাংলা ছবির একটি কিংবদন্তি চরিত্র—
— ওসব কত কিংবদন্তি দেখলাম— বললাম তো! শোনো ভবা, আমার কাছে যাহা বাহান্ন তাহাই তিহান্ন, আর যাহা তিপ্পান্ন তাহাই বাপ্পান্ন! আজ সকালে কী মেকআপ করলাম মনে আছে তো? সব্বার চোখ টেরিয়ে গেসল। শোনো হে ভবাচাঁদ, আজ সকালে বাঁদর মল্লিক, রাতে আবার স্মৃতি ভল্লিক! সব সেম। আমার হাতের জাদুতে যে দাদু, সেই আবার পরের সিনে নাতি!
আশ্চর্য প্রতিবাদ না করে পারল না— আহা বাপনদা, সকালে মল্লিক কোথায়? ঘোষাল তো! আর বাঁদর না, বন্দন। বন্দন ঘোষাল ওরফে বান্টি। আর এখন ‘ভল্লিক’ নয়, ভল্লুক!
— আরে তাই তো বলছি! ভল্লুক হোক বা উল্লুক— আসল কথাটা হল— লুক! লুকটা যদি ঠিক রাখতে পারি, তবে যাহা বান্টু ঘোষাল, তাহাই খ্যাঁকশেয়াল। যাহা ভল্লিক, তাহাই মল্লিক। আমার কাছে সব সমান। ওসব সব-ওসব— আবার কখনও, আবার সবসময়। কিন্তু তা হলেও, বুঝছ না, কাজটা মৌলিক হতেই হবে। মৌলিক এবং অলৌকিক। হাঃ হাঃ!
বাপন শিকদার লাগসই গান চালিয়ে মেকআপ করেন। গানের ছন্দে নাচতে নাচতে তিনি মেকআপ-তুলির টান দেন। আজ সকালে যখন রকস্টার বান্টি ঘোষাল চরিত্রের মেকআপ করেছিলেন আশ্চর্যের মুখে, তখন বান্টির সুপার-ডুপার হিট ‘ফিনাইল কাউন্টডাউন’ (‘ইউরোপ’ ব্যান্ডের ‘ফাইনাল কাউন্টডাউন’ থেকে অনুপ্রাণিত এক অমর অরিজিনাল সৃষ্টি!) গানটি বাজিয়ে নেচেছিলেন বাপন। এখন ভবতোষ লাহিড়ীর মুখে ‘স্মৃতিভল্লুক’ নামটি শুনে খানিকটা চিন্তিত হয়ে বললেন— কী গান চালানো যায়? কী গান মানাবে? ইয়েস, পেয়েছি! পূর্ণদাস বাউলের গাওয়া গান চালাব। কী মধুর তিরিক্ষি কণ্ঠ! আহা! প্রেমরস যেন ছলকে ছলকে পড়ছে। গানটা হল— গোলেমালে গোলেমালে পিরিত কোরো না। পিরিতি কাঁঠালের আঠা। ও আঠা লাগলে পরে ছাড়বে না। বুঝলে হে মাকাল, আমার মেকআপও কাঁঠাল আঠা। মেকআপ লাগলে পরে ছাড়বে না। হু হু বাবা! যেমন বলেছিলাম— আবার মাঝেমাঝে, আবার সব সময়। হুঃ, ওসব কত শুনলাম!— কেন কে জানে, বাপন শিকদারের কণ্ঠস্বরে খানিকটা বিরক্তি, খানিকটা তাচ্ছিল্য ছলকে ছলকে উঠল।
ভবতোষ লাহিড়ী বাপন শিকদারের প্রলাপে অবশ্য বিশেষ কান দিলেন না। বললেন— বাপনদা, আগের ছবিতে কিন্তু এই স্মৃতিভল্লিক, স্যরি, স্মৃতিভৌলুক, ধুত্তেরি আসল নামটা যেন কী…
আশ্চর্য বলল— ভল্লুক, ভল্লুক, স্মৃতিভল্লুক।
— হ্যাঁ, আগের ছবিতে একে কিন্তু বেশি দেখা যায়নি। দেখা গেলেও কিন্তু মুখে ছিল একটা মুখোশ। আর এবারে কিন্তু তার একটা ট্রানসফরমেশন ঘটছে। মানে মুখটা কিন্তু বদলে বদলে যাচ্ছে…
— ওহ, এই ব্যাপার? মুখটা বদলে বদলে যাচ্ছে? মানে ওয়্যারউলফ তো? চাঁদনি রাতে একটা লোকের মধ্যে ওসব-সব-ওসব চেঞ্জফেঞ্জ হচ্ছে, লোকটার কানটা বদলে যাচ্ছে, গাল থেকে খ্যাংরা কাঠির মতো খোঁচাখোঁচা দাড়ি বেরোচ্ছে— এই সব তো? ঠিক বললাম তো ভবা?
ভবা লাহিড়ী বিরক্ত হয়ে বললেন— আরে নেকড়ে নয়, কী মুশকিল! আমারটা কিন্তু ভৌলিক, না না ভুল্লুক, আরে ধুত্তেরি…
ভবতোষের মাথাটা গেছে। আশ্চর্যকে আবার ‘ভল্লুক’ শব্দটা জুগিয়ে দিতে হল।
মেকআপ অবশ্য থেমে নেই। আজেবাজে নানারকম ফালতু কথার মধ্যে বাপন শিকদারের ওস্তাদ-হাত কাজ করে চলেছে। আয়নায় নিজের বদলে যাওয়া মুখটা দেখতে দেখতে আশ্চর্য ভাবল— দ্য জিনিয়াস অফ লেজেন্ডারি বাপন শিকদার। সাধে লোকটার একটা অটোগ্রাফের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়! অস্কারে স্পেশ্যাল মেনশন বিভাগে লোকটার নাম উঠে আসে বারবার!
বাপন বললেন— শোনো ভবা। তুমি কনসেপ্টটা ওয়্যারউলফ থেকে চুরি করেছ। সেটা মেনে নিতে প্রবলেম কোথায়? ওসব কত চুরি-জোচ্চুরি-ছিনতাই-হাতসাফাই দেখলাম। আবার কখনও, আবার সব সময়, আবার মাঝেমাঝে! সে করে দিচ্ছি’খন আমি বেল্লিক। বেল্লিকের মুখ চাই তো? সব হবে। বেড়ালের জায়গায় রুমাল পাবে, নেকড়ের জায়গায় বেল্লিক—
ভবতোষ বিরক্ত মুখে বললেন— ধুত্তেরি! উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে বসিয়ে চটকে দেবেন দেখছি বাপনদা আজ!
আশ্চর্য এই আলোচনাটা ‘হরেকরকমবা’ হয়ে যাচ্ছে দেখে প্রসঙ্গ পালটাতে বলল— বাপনদা, বাউল গানের বদলে একটা অন্য গান শুনবেন? আপনি ওয়্যারউলফের কথা বলছিলেন বলে মনে পড়ল একটা গানের কথা। এই গানটার মিউজ়িক ভিডিওতে একটা ওয়্যারউলফ আর ড্রাকুলার মিশ্রণই দেখিয়েছে— গানটার নাম হল ‘চাঁদনিতে উন্মাদ একজন’। গানটা তৈরি করা হয়েছিল আমার অভিনয় করা একটা সিনেমার জন্য। গায়কের নামটা ঠিক মনে পড়ছে না, ভদ্রলোক রক গান করেন, বান্টি ঘোষাল দ্য অ্যান্টি সোশ্যালকে হুবহু নকল করতে চেষ্টা করেন, তেমন একটা পারেন না। তবে গানটা ভাল।
গানটা চালিয়ে দেওয়া হল।
শোনো ভবা— বাপন শিকদার বললেন— এটা এক স্তরের মেকআপ নয়। মেকআপের অন্তত চারটে স্টেজ থাকবে। এখন যেটা দেখছ, এটা হল স্টেজ ওয়ান। এবার শুরু করছি স্টেজ টু-এর কাজ। এখন যেমন অনেকটা মানুষ-মানুষ লাগছে, আর দশ মিনিট পরেই দেখবে কিম্ভুত কিমাকার একটা ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ভবতোষ চারদিক থেকে চটপট কয়েকটা ছবি মোবাইলে তুলে নিয়ে বললেন— করুন করুন বাপনদা। আপনি তো বুঝেই গেছেন ব্যাপারটা…
ঠিক এরকম সময়েই আশ্চর্য তার সারা শরীরে একটা শিহরণ অনুভব করল। ঠিক যেন একটা বিদ্যুত তরঙ্গ তার দেহের মধ্যে দিয়ে ছুটে গেল। শিহরণটা সামলাতে না পেরে সে হঠাৎ উঠে দাঁড়াল। বাপনের হাতের তুলি নড়ে গেল এর ফলে। তিনি চিৎকার করে উঠলেন— করো কী! করো কী! এইভাবে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে হয়! এর’ম করলে আমি মেকআপ করব কী করে!
আশ্চর্য বুঝতে পারল না কী ঘটল হঠাৎ। সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল বাপনের দিকে।
১১।
কিশিমোতো এখনও তাঁর দুটো হাত মাথার উপর তুলে রেখেছেন। সেই অবস্থাতেই বললেন— আপনি ঠিকই বলেছেন ড: ঠাকুর। বেশ কিছু কথা আপনাকে আগেই বলতে পারতাম, কিন্তু বলিনি। আসলে একবার এগুলো জেনে ফেললে আর আপনাদের ফেরবার কোনও রাস্তা থাকবে না। অবশ্য বিলি নিজেই বলত যথাসময়ে। একটা প্রস্তাব রাখবার জন্যই ও আপনাদের এখানে ডেকেছে। তবুও যদি আমায় একটু ঠান্ডা মাথায় বলেন, আপনি কী জেনেছেন আর কতটা জেনেছেন, বাকিটা বলতে সুবিধে হবে আমার।
কথা বলবার ধরন থেকেই ব্রহ্ম ঠাকুর বুঝতে পারেন বক্তার কথার সত্যতা কতটা। এটা তাঁর বিশেষ ক্ষমতা, মনোবিজ্ঞানের একটা স্পেশ্যাল টেকনিক। কিশিমোতোর উচ্চারণে সত্যতা ছিল। ব্রহ্মের মনে হল— কিশিমোতো তাঁর বিরোধীপক্ষ নন। তিনি রিভলভারটা এবার নামিয়েই ফেললেন। কোমলস্বরে বললেন—
ঠিকই, তুমি নিজের লোক, তোমার ঘাড়ে বন্দুক না ঠেকালেও হয়তো চলত। তবে অনেক সময় নিজের লোককেও বিশ্বাস করা যায় না, তাই না? শোনো তাহলে, পুরোটাই বলি। বিলি গিলচারের আন্দামানে মিটিং করবার প্রস্তাবে আমি সায় দিইনি চট করে, দোলাচলে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ল একটা পুরনো খবরের কথা। ঠিক তিনবছর আগে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান পরমাণু বিজ্ঞানী স্যর ক্যাভি আইজ়্যাক আন্দামানে এসে নিখোঁজ হয়ে যান। মনে হল, এই নিরুদ্দিষ্ট প্রোফেসরকে খুঁজে বের করবার একটা চেষ্টা করতে পারব এখানে এলে, আগে অজ্ঞাতবাসে থাকবার কারণে সেই সুযোগ আমার মেলেনি। স্যর ক্যাভির সঙ্গে আমার একবার পরিচয় হয়েছিল, ভাল লেগেছিল কথা বলে। তিন বছর আগে তিনি হারিয়ে গেলেও তাঁর মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি, এবং আমি জানি এখানকার অধিবাসীরা ক্যানিবল নয়, তাই একটা আউটসাইড চান্স সবসময়ই ছিল যে ক্যাভি বেঁচে আছেন। আজ নৃতত্ত্ব মিউজ়িয়ামে প্রোফেসর লতিকা সুব্রহ্মণ্যমের বক্তব্য শুনে মনে হল, তাঁর হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে আন্দামানের এই লুকনো অ্যাটমিক রিঅ্যাকটরের একটা যোগ নিশ্চয়ই আছে, তাঁর ইন্টারেস্টের জায়গাই যে ওটা! সেক্ষেত্রে ধরে নিতে পারি—রিঅ্যাক্টর সম্পর্কিত গোপন কাজটা চলছে গত তিন বছর ধরে, এর ফলেই কিছু শব্দতরঙ্গ এদিক ওদিক ছিটকেছে— যার কথা বলছিলেন শ্রীমতি সুব্রহ্মণ্যম, যিনি নিজেও খুব বেশিদিন এই পোর্ট ব্লেয়ারের নৃতত্ত্ব যাদুঘরের দায়িত্ব নিয়ে আসেননি— ফলে ধরেই নিতে পারি তাঁর অবজ়ারভেশনও তিন বছরের বেশি পুরনো নয়। তাহলে কি এই তিন বছর স্যর ক্যাভিকে বন্দি করে তাঁর উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে এই কাজে যোগদানের? নাকি জোর করে নেওয়া হচ্ছে তাঁর গাইডেন্স বা অ্যাসিসটেন্স?
তীব্র আপত্তি জানিয়ে মাথা নাড়লেন কিশিমোতো। বললেন— আপনার অনুমানে একটু ভুল হচ্ছে ড: ঠাকুর। আপনি স্যর ক্যাভির কথা জানতে চান তো? শুনুন তা হলে!
(ক্রমশ)
ছবি এঁকেছেন শুভময় মিত্র