ডাকবাংলা

এক ডাকে গোটা বিশ্ব

 
 
  

"For those who want to rediscover the sweetness of Bengali writing, Daakbangla.com is a homecoming. The range of articles is diverse, spanning European football on the one end and classical music on the other! There is curated content from some of the stalwarts of Bangla literature, but there is also content from other languages as well."

DaakBangla logo designed by Jogen Chowdhury

Website designed by Pinaki De

Icon illustrated by Partha Dasgupta

Footer illustration by Rupak Neogy

Mobile apps: Rebin Infotech

Web development: Pixel Poetics


This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.

© and ® by Daak Bangla, 2020-2025

 
 
  • কলকাতা কোলাজ: জুলাই ২০২২

    ডাকবাংলা.কম (July 16, 2022)
     

    জুলাই মাসের খামখেয়ালি আকাশের সঙ্গে যেন সুর মিলিয়ে শহরে চলছে ভিজুয়াল আর্টের একটা ক্যালেইডোস্কোপ । দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের আলোকচিত্র-শিল্পী, সাংবাদিক, ও সমাজকর্মী শহিদুল আলমের মনকাড়া মানবজীবন গাথা; রয়েছে সোমনাথ হোড়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ রেট্রোস্পেক্টিভ; তাছাড়াও থাকছে গোন্ড জনজাতির বৃক্ষ পূজা করার আচার-অনুষ্ঠানের নিদর্শন স্বরূপ নানা রঙের অপরিসীম উচ্ছ্বাস।

    সিঞ্জড বাট নট বার্ন্ট
    শহিদুল আলমের আলোকচিত্র
    বাছাই ও উপস্থাপনা ইনা পুরি

    ইমামি আর্ট, ১৮ জুন থেকে ২০ অগাস্ট, ২০২২

    কিউরেটর ইনা পুরি লিখেছেন, ‘যে-সময়ে সারা দুনিয়াতে বাক-স্বাধীনতায় ও মতপ্রকাশের অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে, বিশেষত সেই সময়েই শহিদুল আলমের শিল্পকর্ম প্রাসঙ্গিকভাবে আশার আলো বয়ে আনে।’ বাংলাদেশের সবথেকে সুপরিচিত আলোকচিত্র-শিল্পী ও সাংবাদিক শহিদুল আলম দৃক পিকচার লাইব্রেরি ও পাঠশালা মিডিয়া ইন্সটিটিউটের প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠাতা। এই দুটোই ঢাকা শহরে অবস্থিত। গত চার দশক ধরে আলোকচিত্রের কাজে নিবেদিত তাঁর লেন্স প্রান্তিক জীবনের ওপরে নির্নিমেষ ফোকাস রেখেছে, যা ‘এমন ছবি তুলে ধরেছে, যেগুলো একাধারে প্রতিবাদ, প্রতিবেদন, ও শিল্পকর্ম’ হয়ে ওঠে।

    দ্য ডার্ক এজ অফ গ্রিন
    অরুণিমা চৌধুরীর শিল্পকর্ম, ১৯৯৫ থেকে ২০২২
    বাছাই ও উপস্থাপনা ন্যান্সি আদজানিয়া

    ইমামি আর্ট (গ্রাউন্ড ফ্লোর), ১৮ জুন থেকে ২০ অগাস্ট, ২০২২

    দ্য ডার্ক এজ অফ গ্রিন-এ ১৯৯৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত, তিন দশক ব্যাপী, শিল্পী অরুণিমা চৌধুরীর কাজ ধরা পড়েছে। বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে তাঁর অবিরাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই সুবিশাল প্রদর্শনীতে চমৎকারভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তাঁর কাজের মাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে জলরং, অ্যাক্রিলিক, এনামেল পেইন্টিং, সেরামিক, আর কটন ও রাইস পেপারের ওপরে করা ইকো-প্রিন্ট। তিনি কলকাতার পাঠ ভবন হাই স্কুলে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ‘অরুণিমাদি’ নামেই বেশি জনপ্রিয়। তাঁর দীর্ঘদিনের অনুশীলন অবশেষে স্বীকৃতি পেল, যা হয়ত আরও আগেই পাওয়া উচিৎ ছিল।

    সোমনাথ হোড়: শতবর্ষে একটি প্রদর্শনী
    বাছাই ও উপস্থাপনা কে.এস. রাধাকৃষ্ণন
    ইমামি আর্ট (ফোর্থ ফ্লোর), ১৯ জুন থেকে ২৪ জুলাই, ২০২২

    অর্থশিলা শান্তিনিকেতনের উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে থাকছে সোমনাথ হোড়: শতবর্ষে একটি প্রদর্শনী। এটি বাছাই ও উপস্থাপন করেছেন কে.এস. রাধাকৃষ্ণন। এখানে শিল্পীর বিভিন্ন কাজের বহুমুখী নিদর্শন ধরা হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে রাখা থাকছে সোমনাথ হোড়ের নানা সময়ের শিল্পকর্ম। প্রথমদিকে শান্তিনিকেতনে দৈনন্দিন জীবনের ড্রয়িং, ছয়ের দশক থেকে শুরু করা ইন্ট্যাগ্লিও প্রিন্ট, আবার নানা সময়ে নানা পদ্ধতিতে করা এচিং স্যান্ড পেইন্টিং — এই সবকিছু থাকছে এখানে।

    বন কথা
    আকৃতি আর্ট গ্যালারি

    ৩০ জুলাই থেকে ২০ অগাস্ট, ২০২২

    বন কথা-র মুখ্য বিষয় হল আসান (সাজা) গাছ পুজো করা ও নতুন ফসল তোলার উৎসব পালন করার জন্য গোন্ড জনজাতির বাৎসরিক আচার-অনুষ্ঠান। আকৃতি আর্ট গ্যালারিতে ঐতিহ্যময় গোন্ড পেইন্টিং-এর প্রদর্শনী করা হবে।

    কল্লোল দত্ত | ভলিউম ৩ ইস্যু ২
    এক্সপেরিমেন্টার, হিন্দুস্তান রোড

    ১৫ জুলাই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর

    এক্সপেরিমেন্টার-এ কল্লোল দত্তের দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী হবে, যার নাম ভলিউম ৩ ইস্যু ২। এখানে বর্তমানে এই ডিজাইনারের দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, এই উপমহাদেশ, ও কোরিয়ান পেনিনসুলায় দেশীয় স্টাইলের পোশাক-আশাকের রীতি অনুসন্ধান করার প্রদর্শনী হবে।

    ভলিউম ৩ ইস্যু ২-এর জন্য কল্লোল দত্ত বস্ত্রশিল্পে নির্মিত ভাস্কর্য সংক্রান্ত আকার-আকৃতি অন্বেষণ করেছেন। এজন্য তিনি ১৯৪৫ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া জাপানে সোয়া-র শাসনকালের শেষদিকের দেশীয় পরিধান ও পুরনো ভারতীয় শাড়ি অনুসন্ধান করেছেন। কাপড়ের উপাদান ও সেটার আপাত টেকসই ক্ষমতা সম্বন্ধে সন্ধান করে তিনি তাঁর অনুশীলন আরও গভীরে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তিনি শুধুমাত্র তাঁর সংগ্রহ করা ফেব্রিকের সঙ্গে নতুন নতুন ভাস্কর্য সেলাই করেননি, বরং হাতে-বোনা নানা বিরল টেক্সটাইল পাশাপাশি রেখে সাংস্কৃতিক সহনীয়তার ধারণার গভীরে পৌঁছতে চেয়েছেন।

    Read in English

     
      পূর্ববর্তী লেখা পরবর্তী লেখা  
     

     

     



 

Rate us on Google Rate us on FaceBook