গত ৩০ এপ্রিল ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইন্সস্টিটিউট হল-এ অনুষ্ঠিত হল ডাকবাংলা.কম আয়োজিত ‘ডাকবৈশাখ-১৪২৯’। আগের বছরের অনুষ্ঠান ছিল মূলত কথোপকথন-ভিত্তিক। এ বছরে, প্রথমে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প ‘মশা’র নাট্যপাঠ করলেন। বিভিন্ন চরিত্রের সংলাপে গলা বদলে বদলে তাঁর অভিনয় প্রথম থেকেই দর্শকদের টেনে নেয়। অনির্বাণ আবার মাঝেমাঝে গাইলেন গান। অসামান্য সুরে গাইতে গাইতে তাঁর গলা যখন অনায়াসে মশার ভনভনানিতে বদলে যাচ্ছিল (যে-মশা জ্বালিয়ে মারছে গল্পের নায়ককে), সেই দক্ষতায় পরিচয়ও দর্শকদের মুগ্ধ করে।
পরবর্তী পর্যায়ে অভিনীত হল চাকদহ নাট্যজন প্রযোজিত ‘বিল্বমঙ্গল কাব্য’। গিরিশ ঘোষ অনুপ্রাণিত এই নাটকের নতুন পাঠ ও নির্দেশনা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের। মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করলেন অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার। তাঁর সঙ্গে অন্যরাও সঙ্গত করলেন চমৎকার, গানে ও অভিনয়ের সাবলীলতায় যেন একখণ্ড গিরিশ-যুগই নেমে এসেছিল কলেজ স্ট্রিটের এই প্রেক্ষাগৃহে, আর তার সঙ্গে মাঝেমাঝে সংলাপে গিরিশ ঘোষের উল্লেখ ও তাঁর মূল নাটকের কিছু পরিবর্তন মিলিয়ে, এটি হয়ে উঠেছিল অতীত ও বর্তমানের এক দুরন্ত মেলবন্ধন। একটি লিখিত গল্পের নাট্য-বয়ান, আর একটি পুরনো নাটকের নতুন পাঠের বয়ান– দুটি মিলিয়ে, ডাকবাংলার অনুষ্ঠানটি, এই পত্রিকার মতোই, হয়ে উঠেছিল ধ্রুপদী ও সাহসী।
ডাকবৈশাখ ১৪২৯ অনুষ্ঠানের ছবি তুলেছেন শুভময় মিত্র এবং সুমিত পাঁজা। রইল কিছু মুহুর্ত।