মানিকদার কাছ থেকে সাজেশন পাওয়ার ব্যাপারটা খুব দুর্লভ ছিল। কাউকে উনি কিন্তু কোনওদিন কিছু শেখাননি। আমিও বলতে পারব না, মানিকদা আমায় এটা শিখিয়েছেন বা ওটা শিখিয়েছেন। তবে হ্যাঁ, আমাকে উনি ভীষণভাবে গাইড করেছেন। মানিকদার এই সাজেশন দেওয়ার মধ্যে এমন একটা ব্যাপারটা ছিল যে, যার একটু ঝোঁক আছে, সে ওই সাজেশন থেকেই শিখে ফেলতে পারবে।
‘গত বছরের অন্তিম মাসে শুরুর দিকে সবার চোখে স্বপ্ন, প্রাণে আশা, রেস্তোরাঁ উপছে পড়ছে, যানজট, মেট্রোভর্তি যাত্রী, দোকানপাট খোলা, মলেও ভিড় (যদিও কেনাকাটা আগের তুলনায় কম, তার কারণ বলা বাহুল্য), রেলস্টেশনে-বিমানবন্দরে লোক উপচে পড়ছে। আর তার এক মাসের মধ্যেই নানা নিষেধাজ্ঞা, রোজ রাতে এবং শনি-রবি সারাদিন কারফিউ, আবার সবাই যে যার গর্তে সেঁধিয়ে গেছে।’
ডাম্পটি পাঁচিল থেকে পড়ে গেছিল, রাজার সেনাবাহিনী অলৌকিক আঠা দিয়ে তাকে জুড়ে দেয়, কিন্তু উল্টো করে। ফলে তাকে নিয়ে প্রকাণ্ড হাসাহাসি। তারপর কী করে সে বদলে যায় প্রতিরোধের প্রতীকে? আর গানে বলা হয়, ‘তোরা ইয়ার্কি, আমি অ্যানার্কি। সিনেমা স্যাঁতস্যাঁতে, ক্যামেরা জার্কি। প্রাইজ চেটে খেলে তোর বাবার কী?’
‘আসল যুদ্ধের মতোই খেলাতেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া যায় শত্রুর দেহ, কম্পিউটারের পর্দায় দেখা মেলে তার রক্তমাখা দেহের, যদি না শত্রু আগেই নিশানা করে ঝাঁঝরা করে দেয় আমাকে। যুদ্ধ কতটা কঠিন হবে— সহজ, মাঝারি, শক্ত, না কি খুব শক্ত— তা আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া যায় মাউসের ক্লিকে।’ যুদ্ধের খেলা এবং আমাদের হিংস্রতার সুপ্ত প্রবৃত্তি।
এক কথায় বললে, তাঁর কবিতা প্রবাদের মতন। আশ্চর্য গীতিময়তা, তার সঙ্গে কল্পনার ব্যাপ্তি— এই দুই বৈশিষ্ট্য তাঁর কবিতাকে করে তুলেছে অনন্য। কেউ-কেউ এমনও বলেছেন, তিনি কবিতায় নাকি নক্ষত্রের রহস্য ভেদ করতে পারতেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার দুনিয়ায় তাই একবার ঢুকে পড়লে, তা থেকে বেরোনো মুশকিল!
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.
