
জটায়ুর আড়ালে
রীতিমতো রোগা, দেখতে অত্যন্ত নিরীহ, হাইট তোপসের চেয়ে অন্তত দুই ইঞ্চি কম। মানে পাঁচ ফুট সাড়ে তিন ইঞ্চির মতো। তোপসের বয়স তখন পনেরো। মাথা-ভর্তি কোঁকড়া

রীতিমতো রোগা, দেখতে অত্যন্ত নিরীহ, হাইট তোপসের চেয়ে অন্তত দুই ইঞ্চি কম। মানে পাঁচ ফুট সাড়ে তিন ইঞ্চির মতো। তোপসের বয়স তখন পনেরো। মাথা-ভর্তি কোঁকড়া

“সাধুবাবাদের ভণ্ডামি ও মুখোশ খোলার এই খেলাটা অবশ্য খুবই আগ্রহব্যঞ্জক এই কারণে, ফেলুদা যে-বছর আবির্ভূত হচ্ছে গল্পের পাতায়, সেই বছরই মুক্তি পাচ্ছে ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’, যার মধ্যে ‘মহাপুরুষ’ পরশুরামের ‘বিরিঞ্চি বাবা’-র আধারে নির্মিত। ভণ্ড সাধুর যে-চেহারা সেই ছবিতে দেখিয়েছেন সত্যজিৎ, তার একধরনের ‘সাবভার্সন’ আসে মছলিবাবা-তে।”

‘মৃণালদা-সহ অনেকেই বলেছিলেন যে, মানিকদা কেন উত্তমবাবুর মতো একজন মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির আইকনকে নিজের ছবিতে নিচ্ছেন? আমার মনে হয় আসলে, উত্তমবাবুর নামটার সঙ্গেই স্বতঃস্ফূর্ত বিশেষণ চলে আসে— ‘স্টার’। উত্তমবাবু মানেই স্টার, স্টার মানেই উত্তমবাবু।’
উত্তমকুমারের জন্ম-শতবর্ষে বিশেষ নিবন্ধ…

‘এবং সত্যিই ষোলো বছরের অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে ‘আজকাল’-এ চলে গেলাম, যে কাগজ তখনও বেরয়নি। শুধুমাত্র গৌরদা বলেছিলেন বলে, “তোকে আমার চাই। তুই যা খুশি, তাই লিখবি…”’

‘প্রশ্ন জাগে, শিশুর জন্য আদৌ বাসযোগ্য এই পৃথিবী? এ-দুঃস্বপ্নের অভিঘাত যে মহাভারতের জৃম্ভণাস্ত্রের চেয়েও বেশি জোরালো। এর কোনও অ্যান্টিডোট কি আপনি তৈরি করেছেন? যাতে প্রতিটা শিশু শান্তিতে ঘুমোতে পারে। প্রতিটা সকাল যাতে হয়ে ওঠে রঙিন।’

‘সে-যুগের সিনেমায় ছবি বিশ্বাস, অন্তত তাঁর জীবনের একটু প্রৌঢ় সময়ে ছিলেন আভিজাত্যের অমোঘ প্রতীক— এ-কথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। তিনি অভিজাত পরিবারেরই সন্তান, কিন্তু সেটা তো তখন অজস্র! বাঙালির আর্থিক সমৃদ্ধির যুগের শেষ আলোটুকু তখনও বেশ জোরালো।’

‘ভাল করে ভেবে দেখুন, জগদ্দলের ‘মানবিকীকরণ’-এর প্রচেষ্টা খুব একটা নেই ছবিতে। যখনই সেরকম মনে হচ্ছে, সেখানে বিমলের পয়েন্ট অফ ভিউ থাকে। কার্বুরেটরে জল ভরার সময়ে ঢকঢক করে জলের আওয়াজ যার মধ্যে সবচেয়ে মনে থাকে।’

‘প্রেক্ষাপটই যেন অমোঘ তুলিটানে তৈরি করে দেয় ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির চরিত্রদের মনস্তত্ত্ব। ছবির বহুমাত্রিক বিন্যাস যেন সংগীতের মতো দৃ্শ্য থেকে দৃশ্যান্তরে ছড়িয়ে যায়, উপাদানগুলি পরস্পরকে স্পর্শ করে কিংবা সংঘাতে লিপ্ত হয়।’

‘সুনীলদা! হ্যাঁ, বড় সন্দেশীদের মত আমিও ওঁকে সুনীলদা বলেই সম্বোধন করতাম। তবে ‘সন্দেশ’-এর বাইরে ‘জীবন সর্দার’-এর প্রভাবে ওঁর সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায় নামটি বোধহয় হারিয়েই গেছে।’

‘রীতিমতো ভিন্নধর্মী কিছু চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন বিকাশ রায়, ফিল্ম বাজারের বাধ্যবাধকতার ভেতরেই অন্যতর কিছু অচেনা ভূমি, না-বলা কিছু গল্প ও বাংলা সিনেমাকে কিছু নয়া ল্যান্ডস্কেপে নিয়ে যাওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল তাতে।’

‘কলকাতা হয়ে উঠেছে এক বহু-শুঁড়ওলা দৈত্য, monstre tentaculaire। পোস্টার থেকেই ছবি শুরু হয়ে গেছে। সেখানে অক্ষরের ভিড়ে জঙ্গলের ইমেজ। তার মাঝে সত্যজিতের নায়ক একা, বিপন্ন, কম্পমান। তার রক্তের ভেতর খাঁ খাঁ করে এক শূন্যতা।’

‘সোনার পাতে মোড়া অস্কার-এর এই ‘মহত্ব’-র আড়ালে, ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে দীর্ঘদিনের বৈষম্যের ইতিহাস। আছে আরোপ, অন্যায় আর গড়ে ওঠা প্রতিবাদের অধ্যায়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.