

শ্রাবণের একদিন…
ঋতু চক্রের নিয়মে— প্রকৃতি তার রূপ বদলায়, বছর ঘুরে, ধরা দেয় আবারও। রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতু বর্ষার আঙিনায়, সে-উৎসব শান্তিনিকেতনের মাটিতে ধরা রয়েছে, বর্ষামঙ্গলের আয়োজনে।
ঋতু চক্রের নিয়মে— প্রকৃতি তার রূপ বদলায়, বছর ঘুরে, ধরা দেয় আবারও। রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতু বর্ষার আঙিনায়, সে-উৎসব শান্তিনিকেতনের মাটিতে ধরা রয়েছে, বর্ষামঙ্গলের আয়োজনে।
‘‘ওই ন’টা কুড়ি থেকে, সাড়ে ন’টা-ন’টা চল্লিশ অবধি আড্ডাটা চলত। বিচিত্র সেই আড্ডার বিষয়! এ-ওর পিছনে লাগা, গান-নাচ নিয়ে নানা কথা, এমন কত কী! অশেষদা, অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেই আড্ডার কর্ণধার ওরফে মধ্যমণি। মোহরদি, মঞ্জুদি, বাচ্চুদি, মাধবদা— এমন অনেকে ছিলেন এই আড্ডার অঙ্গ! তবে সংগীত ভবনের আড্ডার, প্রাণ ছিল ‘গান’।’’
‘সবচেয়ে জরুরি হল চিন্তার আধুনিকতা। বহুচর্চিত কোনও বিষয়কেও নতুনভাবে হাজির করা পাঠকের সামনে। এখানেই বর্তমান পাঠকের দূরত্ব তৈরি হয় অমিয় চক্রবর্তীদের সঙ্গে। অমিয়-র সমকালে যা ছিল নতুন, বিগত কয়েক দশকে বহুব্যবহারে অতিসাধারণ হয়ে এসেছে তা।’
কিঙ্করদা ঐখানে এসে কোনও একটা বিরূপ উক্তি করে থাকবেন। সেই ইংরেজির অধ্যাপক রেগে গিয়ে, তার হাতের লাঠিটা দিয়ে কিঙ্করদাকে দু’এক ঘা লাগিয়েছিলেন!
কতগুলো গুজব এখানে ছিল, যার কিছুটা সত্যিও— সেগুলোর মধ্যে একটা, মন্টুদার সঙ্গে সুচিত্রা মিত্রের খুব বন্ধুত্ব, সে এতটাই বন্ধুত্ব ছিল, প্রেম হিসেবে আমরা ধরে নিতাম। একদিন আড্ডায় সুচিত্রা মিত্রের প্রসঙ্গ উঠল…
আজও মনে পড়লে, গায়ে কাঁটা দেয়, যে-দিন আমাদের প্রথম শো, মাসি নিজে আমাকে সাজিয়ে দিতে-দিতে গাইছিলেন, ‘তোমার হল শুরু, আমার হল সারা’— আর আমি কাঁদতে-কাঁদতে মাসিকে বলছি, না মাসি তোমার সারা হয়নি! তুমিই তো নন্দিনী!
‘বই যখন পেলেন রবীন্দ্রনাথ, ভাল লাগল না তখন। চারুচন্দ্রকেই লিখলেন, ‘চয়নিকা পেয়েছি। ছাপা ভাল, কাগজ ভাল, বাঁধাই ভাল। কবিতা ভাল কি না তা জন্মান্তরে যখন সমালোচক হয়ে প্রকাশ পাব তখন জানাব। কিন্তু ছবি ভাল হয় নি সে কথা স্বীকার করতেই হবে।’’
‘চাষের ক্ষেত্রটিতে রবীন্দ্রনাথ যে বরাবর খুব সফল হয়েছেন, তা নয়। কিন্তু তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেমে থাকেনি। ব্যর্থতাকেও শিক্ষার অঙ্গরূপে ধরে নিয়েই তিনি এগিয়েছেন আজীবন। এখানেই তাঁর স্বাতন্ত্র্য।’
‘আমরা জানি, ‘রক্তকরবী’র শতবর্ষ চলছে, এই নিয়ে হইচই চারিদিকে। কিন্তু নাটকটির রচনা, প্রকাশকালের সময়-সারণী বলে, ১৩২৩ সালের এমনই এক বৈশাখ মাসে শিলং-এর জিৎভূম-এ ‘রক্তকরবী’ লেখা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।’
‘‘প্রবাসী’ শুরু হয়েছিল বিশেষ একটা সামগ্রিক আদর্শ নিয়ে, কিন্তু পরের দিকে, বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আশপাশে তা হয়ে উঠছিল ‘বিচিত্রবিষয়ক প্রবন্ধে পূর্ণ’ একটি পত্রিকামাত্র। তাই কি রবীন্দ্রনাথের এই সরে আসা?’
‘এই আয়োজন কি ছবির সঠিক তথ্য না-জেনেবুঝেই নিতান্ত সরলচিত্তেই করা হয়েছে? না কি এর আড়ালে ওঁত পেতে আছে জালছবির বিরাট চক্র– যা প্রদর্শনীর শেষে বিপুল বাণিজ্যের চেহারা নেবে?’
‘শতবর্ষ আগের ‘পূরবী’ তাই যতটা রবীন্দ্রনাথের, ততটাই বিজয়ারও। ভিক্তোরিয়া ওকাম্পোর কি? ওকাম্পোর সন্ধানে গত শতবর্ষ জুড়েই তো ফিরেছেন রবীন্দ্র-জিজ্ঞাসুরা, তবু ওকাম্পো আর বিজয়া কি পুরোপুরি এক?’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.