

কয়েকটি কবিতা
‘না-জানে তোমার মুখ, এমনই তো গান/প্রতিটি বিচ্ছেদ জেনো প্রেমের সমান/ছেড়ে যেতে ফের ঘুরে ডাকে,/আমাদের অবসাদে ফুটে থাকা ফুল/জাহাজের মৃতদেহ। জলের মাসুল।/
ছোঁব, তবু পাব না তোমাকে।’
‘না-জানে তোমার মুখ, এমনই তো গান/প্রতিটি বিচ্ছেদ জেনো প্রেমের সমান/ছেড়ে যেতে ফের ঘুরে ডাকে,/আমাদের অবসাদে ফুটে থাকা ফুল/জাহাজের মৃতদেহ। জলের মাসুল।/
ছোঁব, তবু পাব না তোমাকে।’
‘প্রথমে অবশ্য তলস্তয় ভেবেছিলেন, তিনি সমাজসেবা করবেন। ইশকুল বানিয়ে বিনে পয়সায় চাষির ছেলেদের পড়াবেন। রুশোর লেখা পড়েই তলস্তয় এসব ভেবেছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হল। বাবুদের কৃপণ অনুগ্রহে গতর-খাটানো মজুর ভুলবে কেন? একদিনে নয়, কিন্তু ধীরে-ধীরে তলস্তয় বুঝলেন, হিতসাধনেরও অধিকার অর্জন করতে হয়।’
‘আমার উপন্যাস বা গল্পগুলো আগেই পড়া হয়ে যেত। তখন অনেক সময়ে ওকে বলেছি, এই জায়গাটা আমার ভাল লাগছে না, এটা অন্যভাবে লিখতে পারতে। তবে আমার কথা শুনে যে বদলে দিত তা নয়। কখনও আবার মজা করে বলত, তুমি আমার কঠোর সমালোচক হয়ে যাচ্ছ দিনে-দিনে।’
সাক্ষাৎকার। স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়
‘পুলিশের নজর এড়িয়ে বাংলার বিপ্লবীরা অবশ্য নাম-না-জানা প্রেস থেকে ‘পথের দাবী’ প্রকাশ করতে থাকেন এবং গোপনে তা বিক্রিও হতে থাকে।’
‘পথের দাবী’-র শতবর্ষে বিশেষ নিবন্ধ…
‘প্রসঙ্গ হল, লেখকের ‘শ্রম’ কি ‘শ্রম’ নয়? তাঁকেও তো দু-চারটে বই পড়ে নিজের সময় ব্যয় করে লেখাটা লিখতে হয়েছে, উদ্দেশ্য? ছাপার হরফে নিজের নামটুকু দেখবেন। সাম্মানিক কপি দূরস্থান, তাঁকেই সে-লেখা অর্থের বিনিময়ে কিনতে হবে?’
‘চোখ-কান খোলা’ পর্ব । ১১…
‘তারাপদ রায়ের কবিতার ভাষা যে চোখে পড়ার মতো সরল এবং চাকচিক্যহীন, নিশ্চিত। তবে, বেশ কিছু অদ্ভুত কবিতা লিখেছিলেন তিনি, সে-যুগের কবিতার পাশাপাশি রেখে সেগুলো পড়লে চমকে তো উঠতেই হয়, উদ্ভট রসের কবিতার এমন উদাহরণ আর দ্বিতীয়টি মেলে না।’
তারাপদ রায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ…
“স্কুলের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ১৯৭৮ এর ১ সেপ্টেম্বর আমি ইত্যাদি প্রকাশনীর ‘পরিবর্তন’ পত্রিকাটিতে যোগ দিই। ওই দিনই ‘পরিবর্তন’ নামের সংবাদ সাপ্তাহিকটির প্রথম সংখ্যা বের হয়।”
সংবাদ মূলত কাব্য। পর্ব ১৭…
“এবার এল সাতের দশকের অভিঘাত। এল বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ। ‘অনুষ্টুপ’-এর নতুন সাপ্তাহিক আড্ডাস্থল হল পাইকপাড়া… ‘অনুষ্টুপ’-এর নিজস্ব কার্যালয় হল ’৮০-’৮১ সালে। ২-ই নবীন কুণ্ডু লেন। সেখানে বসত নিয়মিত আড্ডা। গল্পকার ও কবিরা নিয়মিত আড্ডা বসাতেন।”
‘কবিতা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলেই, তা ‘দুর্নীতি’। কিন্তু জয় যেভাবে তাঁর অস্বস্তির কথা, মিথ্যাচারের কথা, প্রতারণার কথা উগড়ে দিচ্ছেন লেখায়— অন্য কবিরা সবাই কি তা করে থাকেন? যদি না করেন, পাঠক বুঝবেন কী উপায়ে, কোনটা নীতিবিরুদ্ধ আলোচনা আর কোনটাই-বা আন্তরিক?’
‘অবনীন্দ্রনাথের অনুবাদে বিদেশি রচনাগুলো তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় থেকে বিচ্যুত হয়ে বাংলার গ্রামীণ জীবনের আখ্যান হয়ে ওঠে— লোককথার আদর্শে যে আখ্যানের কেন্দ্রে থাকে মানুষ ও মনুষ্যেতর প্রাণী।’
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ…
‘‘স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে যেমন বাংলার সামাজিক ইতিহাসের একটা প্রবণতাকে চিনিয়ে দিয়েছিলেন, এখানে ধরিয়ে দিলেন তাঁর চৈতন্য নির্মাণে এবং হয়ে ওঠায় কৃষ্ণনগর ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তিনি কি শুধুই ‘কৃষ্ণনাগরিক’?’’
প্রমথ চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ…
‘নয়ের দশকের লিটল ম্যাগাজিনগুলিতে ছাপা হওয়া গদ্যে লাতিন আমেরিকার জাদুবাস্তবতার যে একধরনের ছায়া ও ছাপ দেখা যায়, সে নিয়ে আমরা কোনও আলোচনা করি না বটে, কিন্তু আজ মনে হয়, সেই ছাপ তৈরি হয়েছিল মানববাবুর অনুবাদে এই বিরাট লাতিন আমেরিকার সাহিত্য-সম্ভার বাংলা ভাষায় আমাদের কাছে আসার গতিতে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.