

বাবরি, বদলা, বোমা
১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে হিন্দু উগ্রপন্থীদের হাতে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের পতনের পরের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে বঞ্চনার যে নতুন স্ফুলিঙ্গের জন্ম হয়, তা জঙ্গিদের জন্য নতুন চারণভূমি গড়ে তোলে। বিশেষ সংখ্যা ‘বোমা’…
১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে হিন্দু উগ্রপন্থীদের হাতে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের পতনের পরের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে বঞ্চনার যে নতুন স্ফুলিঙ্গের জন্ম হয়, তা জঙ্গিদের জন্য নতুন চারণভূমি গড়ে তোলে। বিশেষ সংখ্যা ‘বোমা’…
‘সারা দেশে এত লোক হাজতবাস করছে, সবার খবর রাখা কি আর সম্ভব? খিদে পেটে কারও পার্স ছিনতাই করে দৌড় দিয়ে ধরা পড়ে যাওয়া গোঁফদাড়ি না গজানো কিশোর থেকে শুরু করে সুধা ভরদ্বাজের মতো বিলেতফেরত নামকরা মহিলা— কতজনই তো জেল খাটে। শাসকদের পক্ষে কি সম্ভব, তাদের সকলের খোঁজ রাখা?’
‘৭২ বছর বেঁচে ছিলেন ত্রৈলোক্যনাথ। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত যদিও তখন অসুস্থ ও ক্লান্ত, কাজে কোনও কমতি ছিল না। যদি কোনওদিন তাঁর সম্পূর্ণ কাজের হদিশ মেলে, আর সেই কাজের যদি কোনও সটীক তুলনামূলক পঞ্জি সম্ভব হয়, তাহলে দেখতে পাব তাঁর কাজের বহর ও বৈচিত্র্য কী প্রশস্ত; আজও যা বিস্ময়ের।’
‘গত পঞ্চাশ বছরে এমারজেন্সির আলোচনা থেকে দলিত এবং সমস্ত নিম্নবর্ণের মানুষকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সংবাদ সংস্থাগুলির অধিকার খর্ব করা হয়েছে, যা-খুশি করতে দেওয়া হয়নি।’
‘কলেজে পড়াশোনার থেকেও দীনেশের তৎকালীন যাপনের প্রধান অঙ্গ হয়ে ওঠে, যে-দায়িত্ব নিয়ে তিনি ঢাকা থেকে মেদিনীপুরে এসেছেন— সেই কর্মী গড়ার কাজ। মেদিনীপুর তখন অগ্নিগর্ভ। সেই অগ্নিগর্ভ পরিবেশে দীনেশের মতন একটি দীপ্ত স্ফুলিঙ্গ এসে পড়েছিল। ফল— বিস্ফোরণ।’
‘এই রায় জানায় যে, তাঁরা রাষ্ট্রের চোখে অবৈধ নন। এই রায় LGBTQIA+ সম্প্রদায়ের মধ্যে এক নতুন আলো দেখায়— প্রথমবার তাঁরা স্বাধীনভাবে ভাবতে পারেন, ‘আমাদের অস্তিত্ব স্বীকৃত, আমাদের ভালবাসা অপরাধ নয়।’’
‘গওহর জান এক বহুকৌণিক চরিত্র— নানা বৈপরীত্যের সহবাস। খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেও নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে তিনি ‘তদ্বিদ্ধি প্রণিপাতেন’ নীতিতে বিশ্বাসী, আত্মমর্যাদা আর স্বীকৃতি আদায়ের ব্যাপারে ‘তর্কেষুকর্কশধিয়ঃ’, আর জীবনযাপনে স্বৈরিণী।’
‘ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি, বিশেষত ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন ইস্যুতে, দু-দিক বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করছে— যা অনেকেই মনে করেন দেশের দক্ষিণপন্থী, হিন্দুত্ববাদী জনতার মন পাওয়ার চেষ্টা।’
পথে, পথের প্রান্তে— সুর ছড়িয়ে থাকে। হয়তো সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই এ-কথা প্রযোজ্য। কিছু মানুষ সেই সুরে আশ্রয় করে জীবনযাপন করেন। তাঁরা হয়তো ‘well-celebrated’ নন, কিন্তু নিজের গানের কাছে, ১০০ শতাংশ সৎ। তাঁরা গানকেই বেছে নিয়েছেন দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ের আঁচল হিসেবে।
‘প্রাচীন ভারতে ‘নগরবধূ’ বা ‘গণিকা’-রা কেবল শরীরের নয়, সংস্কৃতি, সংগীত ও নৃত্যকলার ধারক ছিলেন। কামসূত্র-তে দেহ ও কামের যে সূক্ষ্ম জ্ঞান উঠে আসে, তা বোঝায় যে, প্রাচীন সমাজ যৌনতাকে অস্বীকার করত না, বরং শিল্পের স্তরে তুলে এনেছিল।’
‘তাঁর লেখা সমকালে যথেষ্ট বিতর্কিত; তবু তাঁর সময়ের সঙ্গে যত দূরত্ব বাড়ছে, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে ততই। তিনি একজন ভারতীয় গল্পলেখক। তিনি একজন পাকিস্তানি গল্পলেখকও বটে! বরং তাঁকে একজন উর্দু গল্পলেখক বললে এই দেশ-টানাটানির সমীকরণ বা তত্ত্ব কপচাতে হয় না।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.