‘জীবন যখন বারেবারে জীবনবিজ্ঞান বইয়ের পাতা খুলে মনে করিয়ে দিতে চাইছে, মানুষ আসলে, কোষ-কলার সমষ্টি, তাই মানুষ মরণশীল। ঠিক তখনই, একেবারে মোক্ষম সময়ে গ্যালিয়ানো সাহেবের সেই প্রথম চুমু আর ওয়াইনের দ্বিতীয় পেয়ালা হয়ে এলেন মেসি।’
‘অগাস্ট মাসেই আরও একটা কলঙ্কিত দিন রয়েছে। ১৬ অগাস্ট, ১৯৮০। ঐতিহাসিক কলকাতা ডার্বি, ফিফার ‘ক্লাসিক রাইভালরি’-র তালিকায় নথিভুক্ত ময়দানি প্রতিদ্বন্দ্বীরা মাঠে নেমেছে। এগারো মিনিটের মাথায় বিদেশ বসুর সঙ্গে দিলীপ পালিতের ফাউল, রেফারির সিদ্ধান্তহীনতা দিয়ে শুরু হল দ্বন্দ্ব। যা গ্যালারি পেরিয়ে মাঠের বাইরে অবধি গড়াল।’
‘লিও মেসি বলে— গ্র্যান্ডমা, এই দিনটা আমার হতে পারে। স্যাঁতস্যাঁতে জুনের কলকাতার লোকাল ট্রেনে নামতে গিয়ে পিছলে পড়তে পড়তেও কোনওমতে সামলে ওঠা তরুণ লজেন্সওলা জাদুবাস্তবের মতো হাসে, হুগো লরিসের ডানদিক দিয়ে বল জালে ঢোকে, লিও মেসি হাত ছড়িয়ে কাঁদে।’
‘প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে পাল্টে যাওয়া দুনিয়ায় লিভারপুলের দায়িত্ব নিয়ে ক্লপ শুরুটা করেছিলেন খানিক বিল শ্যাঙ্কলির ঢংয়েই। সমর্থক, প্রশিক্ষক এবং ফুটবলারদের মধ্যে বিশ্বাসের সেতু গড়ে তুলে।’
‘রিকশা থামিয়ে এক তরুণ নেমে এলেন। চেনা-চেনা লাগল মুখটি। আমাদের কাছ থেকে বলটি চেয়ে নিয়ে পায়ে নাচালেন, কয়েকটি শট নিলেন। অভিভূত আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে আড়ষ্টতা বোধ করলাম। রিকশায় তাঁরা চলে যেতে, অস্ফুটে বলাবলি করলাম, হাবিব… হাবিব…।’
‘দেওয়াল অথবা টিফো— মুছে অথবা ছিঁড়ে দিলে, অস্বীকার করা হয় সময়। ইতিহাস। আর ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চায় রাষ্ট্রনায়করা।’
‘‘পল্টু দাস কাটে ঘোড়ার ঘাস’ কিংবা ‘টুটু বসু জাতীয় পশু’ বলার মতো আপাত নির্দোষ বাক্যবাণ ছাড়াও, গালিগালাজ তখন গ্যালারির ভূষণ। ইন্ধন জুটে গেল ডায়মন্ড ম্যাচের আগে, এক কোচের বাইচুং-কে ‘চুং চুং’ কিংবা সোস-কে ‘শশা’ ডাকার মধ্য দিয়ে।’
‘তুলসীদাস বলরাম এতটাই কমপ্লিট ফুটবলার যে, গোলরক্ষক থেকে সেন্টার ফরওয়ার্ড— দলের প্রয়োজনে সব পজিশনেই তাঁকে খেলতে হয়েছে। বল–স্কিল অতুলনীয়। আবার আক্রমণেও ক্ষুরধার।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.
