

সংবাদ মূলত কাব্য : পর্ব ১৪
‘জরুরি অবস্থা যখন এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে সমাজদেহে জাগছিল মুক্তিব্যাকুল উসখুস। বিশেষত ছটফট করছিল সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পজগতের মানুষজন। নাটকের দলগুলি নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছিল।’
‘জরুরি অবস্থা যখন এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে সমাজদেহে জাগছিল মুক্তিব্যাকুল উসখুস। বিশেষত ছটফট করছিল সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পজগতের মানুষজন। নাটকের দলগুলি নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছিল।’
‘এদিকে ফোনে চার্জ কমতে-কমতে প্রায় শূন্য আবিষ্কারের দোরগোড়ায়। বাস যাবে আরও পঁয়তাল্লিশ মিনিট। তারপর হয়তো আরও দশ মিনিট হাঁটতে হবে। এই সময়টা বাড়ির ফোন আসবে না ভেবে আপনি নিশ্চিন্ত হবেন, না কি, যাকে বলে ‘প্যানিক’, তা গ্রাস করবে আপনাকে?’
‘চিকিৎসকের সেই শিরশিরে অস্বস্তি, সেই উৎকণ্ঠা… প্রতিটি শব্দ নিক্তিতে মেপে উচ্চারণ করা, অথচ শব্দগুলো এমনভাবে বলতে হয় যেন একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত! মৃত্যুপথযাত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে রোজ এই একই অভিনয় চালিয়ে যাওয়া, এ-ও কি একপ্রকার ‘জরুরি অবস্থা’ নয়?’
‘গত পঞ্চাশ বছরে এমারজেন্সির আলোচনা থেকে দলিত এবং সমস্ত নিম্নবর্ণের মানুষকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সংবাদ সংস্থাগুলির অধিকার খর্ব করা হয়েছে, যা-খুশি করতে দেওয়া হয়নি।’
‘‘এমারজেন্সি তুলে নেওয়ার পর কারাঞ্জিয়া নিজেই ‘ফিল্মফেয়ার’-এ লেখেন যে, চলচ্চিত্র বাণিজ্যের এতটাই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে যে, তার মেরামত প্রায় অসম্ভব। এই সময়েই বলিউডে ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’-এর আবির্ভাব, যা অনেকটাই ‘জরুরি অবস্থা’-র ফসল।’’
‘আজকের সঙ্গিন অবস্থার কিন্তু এক যুগ হতে চলল। তীব্রতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার বলেই মনে হয়। আরও বেশি সাংবাদিক মার খাবেন, পুলিসের হাতে বিবস্ত্র হবেন, হাজতবাস করবেন, খুন হবেন— এটাই অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় সাংবাদিকদের অনিবার্য পরিণতি।’
“আমি তাকিয়ে দেখলাম, একটা ঢ্যাঙা মতো লোক নির্জন রিভারসাইড রোডে আমাদের পিছু পিছু হেঁটে আসছে। গম্ভীর মুখ করে শম্ভুদা বলল, পুলিশ হতে পারে। আমার আঁতকে ওঠা ভাব লক্ষ করে শম্ভুদা ফিসফিসিয়ে বলল, একা আছে, আমরা দু’জন। কিচ্ছুটি করতে পারবে না আমাদের।”
‘ পশ্চিমবঙ্গে নকশালপন্থী আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বিহারে ছড়িয়ে গিয়েছিল সে-ঢেউ। তৎকালে, উত্তর বিহারের ঢেউখেলানো ভূমির ওপর দিয়েই দুলতে-দুলতে গিয়েছিল আমাদের ওই টয়ট্রেন।’
‘বিকেলের দিকে ওই এমার্জেন্সিতে সেদিনের জন্য রাউন্ড দিতে গেছি। হঠাৎই দেখি, মহিলাদের ওই ওয়ার্ডের দরজায় পর্দা সরিয়ে এক মাঝবয়সি লোক ওই মহিলার শয্যার দিকে তাকিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে। আমি ওই লোকের চোখের দৃষ্টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না-হতেই দেখি লোকটি গায়েব।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.