

আগুনের বর্ণমালা
‘মানুষ আর লেখক হিসেবে সম্পূর্ণ স্বাধীনচেতা ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। একেবারে শুরু থেকেই। পাঠক কী ভাববে, পছন্দ করবে কী করবে না, তা নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কোন লেখা কীভাবে লিখলে অমরত্বের সন্ধান পাওয়া যাবে, তা নিয়ে ভাবতেন না।’
‘মানুষ আর লেখক হিসেবে সম্পূর্ণ স্বাধীনচেতা ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। একেবারে শুরু থেকেই। পাঠক কী ভাববে, পছন্দ করবে কী করবে না, তা নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কোন লেখা কীভাবে লিখলে অমরত্বের সন্ধান পাওয়া যাবে, তা নিয়ে ভাবতেন না।’
‘তিনি সাঁতরে গেলেন আজীবন। আলোর দিকে ঘুরে ঘুরে উঠে এলেন একের পর এক ‘নূতন সিন্ধুপারে’। ঠিক কঙ্কাবতীর মতোই। নবনীতার জীবন কি রূপকথাই নয়? যে রূপকথায় তিনিই দক্ষিণারঞ্জন। তিনিই লালকমল। আর তিনিই নীলকমল?’
‘‘কবিতা মায়া, বিভ্রম, আলো ও ছায়া— জীবন ও জীবনাতীতের মিশ্রণ।‘— লিখেছিলেন দেবারতি। মায়া, বিভ্রমের পথে হেঁটে আলো ও ছায়ায় পৌঁছোতে সম্পাদনার ভূমিকা অনস্বীকার্য।‘
‘এ-বইয়ের প্রকাশক এবং অনুচ্চারিত সম্পাদক আরও একটা ভ্যালু যোগ করেছেন এতে, নির্দেশিকা। স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনীর নির্দেশিকা তৈরি করাটা একটা সময়ের ইতিহাসের স্বার্থেই ভীষণ জরুরি সেটা মনে রেখেছেন তাঁরা, এটা বিশেষ ভাবে বলতেই হয়।’
‘অমিত্রাক্ষরে মধুসূদন ‘মেঘনাদবধ’-এর আগেই ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ (১৮৬১) লিখলেও, একই বছর, আজকের দিনে প্রকাশিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-ই সম্ভবত আজও মধুসূদনের প্রধান কাব্যগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।‘
‘এই যে আমরা কামুকে বেছেছিলাম, তার কারণ কী? তাঁর আন্তর্জাতিক খ্যাতি? না, মোটেই না। বরং, কামু আমাদের কাছে মফসসলের ছেলে, তিনি বনেদি ফরাসি নন। খানিকটা হাইব্রিড, আলজেরিয়ার ছেলে।’
‘গল্পগুলো প্রথম পড়ে, এই লোকটার টানে, আমি একবারই ঢাকায় গিয়েছিলাম। গিয়ে অনেকক্ষণ ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। মনে হয়েছিল, কতদিনের চেনা! আর কী আশ্চর্য সুদর্শন ছিল!’
‘এই যে দু-দশক বাদে নিজের লেখা সংশোধন করা তা বোধহয় অনেক লেখক ভাবতেও পারেন না। এখানেই মতি নন্দী অনন্য। নিজের লেখার সুপার এডিটর। অবিশ্যি তাঁর প্রেরণা আরেক লেখক-সম্পাদক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।’
‘দুরন্ত মেধার সঙ্গে কৌতুক মিশে গেলে যা হয়, অচিরেই তিনি প্রিয় হয়ে ওঠেন সকলের। নিজেকে দেখিয়ে বলতেন, ‘আমি ফরসা নই- অ্যালবিনোস, যাকে সবাই সাদা খরগোশ বলে।’
‘অনেক সময়ে সম্পাদক রমাপদ চৌধুরী অপ্রিয় হয়েছেন তাঁর অনুজ সাহিত্যিকদের কাছে। ক্ষুরধার মেধাসম্পন্ন মানুষটি তবুও লেখার ভাল-মন্দ বিচার করতে কোনওদিন কারও সঙ্গে অন্যায় সমঝোতা করেননি।’
তুমুল গ্রীষ্মের খররোদে পুড়তে থাকা একটি দিনের প্রেক্ষিতে লেখা এই কবিতায় বড়দিনের কোনও আঁচ নেই; তবু যিশু এলেন অনিবার্যভাবে এবং তাঁর আসাটাই এই বর্ণনার নির্ঝরকে কবিতায় উত্তীর্ণ করল।
‘আজকে পেনিসিলিন কি পাড়ার পাঁচু আবিষ্কার করছে? না! চাঁদে কী করে রকেট পাঠাতে হবে বা নদীতে বাঁধ কী করে দিতে হবে সেটা দেখার লোক কিন্তু সাধারণ বুদ্ধির কেউ নয়। অতএব আমরা কীভাবে বেঁচে থাকব তাই নিয়ে বুদ্ধিমান মানুষরাই বক্তব্য রাখবে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.