

মশগুল : পর্ব ৭
‘গল্প-লেখকদের নতুন ভাবনাচিন্তা, অজস্র কথার ছড়াছড়ি— নতুনভাবে গল্প লিখতে হবে। তৈরি হল এক ম্যানিফেস্টো। তৈরি করলেন রমানাথ রায়, এবং অন্যান্য সদস্যরা।’
‘গল্প-লেখকদের নতুন ভাবনাচিন্তা, অজস্র কথার ছড়াছড়ি— নতুনভাবে গল্প লিখতে হবে। তৈরি হল এক ম্যানিফেস্টো। তৈরি করলেন রমানাথ রায়, এবং অন্যান্য সদস্যরা।’
‘লীলা মজুমদার বহুকাল আগেই আমার জীবনে ঢুকে পড়েছেন। ওঁর লেখা গল্পগুলো, মানুষগুলো, জায়গাগুলো, ম্যাজিকগুলো, সবগুলো আমার দৈনন্দিন রুটিনে উঁকি দেয়। এ এক খেলাচ্ছল!’
‘আল মাহমুদকে আমি দেখি সিউড়িতে, মাস্টারমশাই কবিরুল ইসলামের বাড়িতে। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। ব্যাকব্রাশ চুল। ছিমছাম চেহারা। তার ক-বছর পরই যেন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় মিনিবুক সিরিজে প্রকাশ করেন আল মাহমুদের ‘সোনালি কাবিন’ আর হইহই পড়ে যায় কলকাতায়।’
‘‘সাতগাঁর হাওয়াতাঁতিরা’ এক আশ্চর্য উপন্যাস, যাকে সময় বা ভূখণ্ড দিয়ে বোঝাতে পারা মুশকিল। অজস্র চরিত্র, কমপক্ষে সত্তর-আশিটি তো বটেই, যার মধ্যে বাড়ির পোষা সেই কাকাতুয়া ও ঘোড়াটি, এমনকী, লঝঝরে হার্লে-ডেভিডসনটিও, গুরুত্বে কিছু কম নয়।’
‘মিথ্যে ইতিহাস শিখে ফেললে জাতির মেরুদণ্ড বেঁকে যাবে বলেই উত্তর ভারত জুড়ে ইতিহাসের বইয়ে কাঁচি চলছে দেদার— কর্তনের সেলিব্রেশনই বলা যায় একরকম। ছেলেপিলেদের মোগল সাম্রাজ্যের পতন, নিউট্রন, ইলেকট্রন কিছুই আর পড়তে হবে না। কোনও মোগল সাম্রাজ্যই ছিল না।‘
‘গত দুশো বছর ধরে পৃথিবীর হেন জায়গা নেই, যেখানে তিনি যাননি, হেন ঘটনা ঘটেনি, যার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। সেই ঘনাদার গল্প। গল্প না গুল্প, সেটা বিচার করার কোনও তাগিদ নেই আমাদের।’
‘আজ, কর্পোরেট-অর্থনীতি ও বিনোদনশিল্পের প্রাবল্যে মহাশ্বেতা দেবী কর্তৃপক্ষের নজরের বাইরে; কিন্তু করুণা-র কাউন্টারে আজও ‘অরণ্যের অধিকার’ বা ‘হাজার চুরাশির মা’-এর চাহিদা একদা জনমোহিনী লেখকদের তুলনায় বেশিই…’
‘মানুষ আর লেখক হিসেবে সম্পূর্ণ স্বাধীনচেতা ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। একেবারে শুরু থেকেই। পাঠক কী ভাববে, পছন্দ করবে কী করবে না, তা নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কোন লেখা কীভাবে লিখলে অমরত্বের সন্ধান পাওয়া যাবে, তা নিয়ে ভাবতেন না।’
‘তিনি সাঁতরে গেলেন আজীবন। আলোর দিকে ঘুরে ঘুরে উঠে এলেন একের পর এক ‘নূতন সিন্ধুপারে’। ঠিক কঙ্কাবতীর মতোই। নবনীতার জীবন কি রূপকথাই নয়? যে রূপকথায় তিনিই দক্ষিণারঞ্জন। তিনিই লালকমল। আর তিনিই নীলকমল?’
‘‘কবিতা মায়া, বিভ্রম, আলো ও ছায়া— জীবন ও জীবনাতীতের মিশ্রণ।‘— লিখেছিলেন দেবারতি। মায়া, বিভ্রমের পথে হেঁটে আলো ও ছায়ায় পৌঁছোতে সম্পাদনার ভূমিকা অনস্বীকার্য।‘
‘এ-বইয়ের প্রকাশক এবং অনুচ্চারিত সম্পাদক আরও একটা ভ্যালু যোগ করেছেন এতে, নির্দেশিকা। স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনীর নির্দেশিকা তৈরি করাটা একটা সময়ের ইতিহাসের স্বার্থেই ভীষণ জরুরি সেটা মনে রেখেছেন তাঁরা, এটা বিশেষ ভাবে বলতেই হয়।’
‘অমিত্রাক্ষরে মধুসূদন ‘মেঘনাদবধ’-এর আগেই ‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ (১৮৬১) লিখলেও, একই বছর, আজকের দিনে প্রকাশিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-ই সম্ভবত আজও মধুসূদনের প্রধান কাব্যগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।‘
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.