
ডেটলাইন: পর্ব ৩৬
“দাদা বললেন, ‘আমরা বিদেশি হওয়ায় বেঁচে গেলাম। দালালের কাছ থেকে টিকিট কিনে যদি কোনও আমেরিকান ধরা পড়ত, নির্ঘাত পুলিশে দিত।’ সকাল থেকে ঠা ঠা রোদে এই ঝকমারির দুঃখ ভুলে হাঁফ ছাড়লাম, যাক বাবা, বিদেশে জেল তো খাটতে হল না!”

“দাদা বললেন, ‘আমরা বিদেশি হওয়ায় বেঁচে গেলাম। দালালের কাছ থেকে টিকিট কিনে যদি কোনও আমেরিকান ধরা পড়ত, নির্ঘাত পুলিশে দিত।’ সকাল থেকে ঠা ঠা রোদে এই ঝকমারির দুঃখ ভুলে হাঁফ ছাড়লাম, যাক বাবা, বিদেশে জেল তো খাটতে হল না!”

“নাসা চত্বরে আরও দুর্ধর্ষ সব দেখার জিনিস রয়েছে। এয়ারপোর্টে যেমন প্লেনের হ্যাঙার থাকে, এখানেও তেমন আছে। সেখানে স্পেস শাটল থেকে রকেট সব দেখতে পাবেন। যত ইচ্ছে ছবি তুলুন, নিজেকে মহাকাশচারী কল্পনা করে পোজ দিন। এমনকী একসময়ে সত্যি মহাকাশযাত্রা করেছে, ‘অ্যাপোলো’ ১৭-র মতো যানও রাখা আছে।”

‘লন্ডনের রাস্তায় প্রাচীন লোহার ঢাকনার কাছে কান পাতলে, আমি শুনতে পাই টেমসের জলস্রোতের শব্দ। আমেরিকার অনেক শহরে একটুকরো শিল্পকর্ম খোদাই করা থাকে ওই ঢাকনার ওপর। বহু জায়গায় লেখা থাকে মেড ইন ইন্ডিয়া। হিউস্টনেও ফুটপাথে নজর করে দেখলাম, ভারতে তৈরি এই লোহার ঢাকনা।’

‘…শুনলাম, কোন ম্যাজিকে বালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এত উঁচু বাড়ি। অনেকটা নীচে কংক্রিট পাইল করে, ওপরের জমিতে পাথর আর কংক্রিট দিয়ে বেঁধে তবে দাঁড় করাতে হয়েছে স্থাপত্যের এই বিস্ময়কে। শুনে নতুন করে আর অবাক হলাম না যে, এই হোটেলে আছে আন্ডারওয়াটার রেস্তরা।’
‘ডেটলাইন’ পর্ব ৩১…

চাঁদের পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছলেন বাঙালি যুবক! তাও আবার সাইকেল করে! কেমন ছিল সেই অভিযান?
জ্যোতিষ্ক বিশ্বাসের চাঁদের পাহাড় অভিযান নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ…

“ঘোস্ট ট্যুরিজম মানে কি শুধুই ভানগড়ের ধ্বংসস্তূপ ঘুরে বেড়ানো? কাশ্মীরের গুলমার্গের পরিত্যক্ত হোটেল কিংবা কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভূতুড়ে করিডোর? আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও তো প্রতিনিয়ত আমরা ‘ভয়ের সফর’-এর মধ্যে দিয়ে যাই।” ঘোস্ট ট্যুরিজম নিয়ে বিশেষ নিবন্ধ…

‘চাঁদের বুকে থাকা মানুষটিও অসীম আগ্রহে তাকিয়েছেন পৃথিবীর দিকে। যুগ-যুগ ধরে যে মুহূর্তের জন্য মানুষ অপেক্ষা করেছে সেই মুহূর্তকে যখন তিনি বাস্তব করছেন তখন কি তারও ইচ্ছে হয়নি একবার পিছনে ফিরে তাকাতে?’

‘আমাকে একা রাস্তা পেরোতে দেখে গাড়ি তো দাঁড়িয়ে পড়লই, এমনকী একটা গাড়ির চালক নেমে এসে মাথা ঝুঁকিয়ে বাও করে হাত প্রসারিত করলেন, যেন আমি রাস্তা পেরিয়ে ওঁকে ধন্য করলাম! তত বাড়াবাড়ি না হলেও, থিম্পুতে বেশ লজ্জা লাগছিল এরকম রাজকীয় চালে রাস্তা পেরোতে।’

“কিছুটা হাঁটার পর নদী পড়ল। আমি তো অবাক! পেরোব কী করে? নেপালি ভদ্রলোককে মোটেই বিচলিত দেখাল না। ওদের ভাষায় বলল, ‘আমার পিঠে উঠে পড়ুন ডাক্তার! চিন্তা নেই কোনও।’”

‘পাহাড়ি পথের দু’ধারের গাছে লাগানো রংবেরঙয়ের প্রেয়ার ফ্ল্যাগ। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, এগুলো সৌভাগ্যের প্রতীক, অশুভ শক্তি থেকে বাঁচায়। কিন্তু শুধুই কি এরকম দুর্গম জায়গায় বলে এত বিখ্যাত ভুটানের আইকন এই মনেস্ট্রি?’

‘দ্য লুম্বিনী মাস্টার প্ল্যান’ কিন্তু, বৌদ্ধ সংস্কৃতির অঙ্গ, জ্যামিতিক নকশা মেনে তৈরি, নির্বাণলাভের পথরেখা। তবে সত্যিই কি আর নির্বাণের রোড ম্যাপ হয়? ঐ আমার-আপনার মতো ভোগীদের সাময়িক আলোর পথযাত্রী করে তোলার একটা প্রয়াস আর কী!

‘পরিবারের জন্য জীবনবিমার বিকল্প হিসেবে অটোগ্রাফ দেওয়া খাম রেখে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফলত, ঝুঁকির সম্ভাবনা সহজেই আন্দাজ করা যায়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.