

চা-স্পৃহ চাতক
‘লোককাহিনি অনুযায়ী এক চৈনিক পরিব্রাজক কোনও এক বনের মধ্যে দিনের শেষে বিশ্রামের সময়ে জল গরম করছিলেন, তখন গাছ থেকে কয়েকটি পাতা উড়ে এসে গরম জলে পড়ে। কিঞ্চিৎ ফোটার পর সেই জল রঙিন পানীয় চায়ে পরিণত হয়।’
‘লোককাহিনি অনুযায়ী এক চৈনিক পরিব্রাজক কোনও এক বনের মধ্যে দিনের শেষে বিশ্রামের সময়ে জল গরম করছিলেন, তখন গাছ থেকে কয়েকটি পাতা উড়ে এসে গরম জলে পড়ে। কিঞ্চিৎ ফোটার পর সেই জল রঙিন পানীয় চায়ে পরিণত হয়।’
‘অলিপাবের সঙ্গে দ্বিতীয় আলাপে সখ্য জমে। ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি। তখন ময়দানে হত কলকাতা বইমেলা। এক সন্ধেবেলা বইমেলার মাঠে খবর পেলাম, সিনিয়র সব কবিদাদারা গেছে অলিপাবে।’
‘প্রথমদিকে সুযোগ পেতাম রঞ্জনদার টেবিলের সামনে বসে আড্ডা দেওয়ার। বেশিক্ষণ বসা যেত না। প্রায়ই সংস্কৃতির পাতার লেখকেরা এসে ভিড় জমাতেন। একদিন অফিসে এলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে সেই সিঁড়িতে তুমুল আড্ডা।’
‘গল্প-লেখকদের নতুন ভাবনাচিন্তা, অজস্র কথার ছড়াছড়ি— নতুনভাবে গল্প লিখতে হবে। তৈরি হল এক ম্যানিফেস্টো। তৈরি করলেন রমানাথ রায়, এবং অন্যান্য সদস্যরা।’
‘আড্ডা মারার লোকজন যদি বেশি সংখ্যায় ভিড় করত, তাহলে ডালহৌসি ট্রামডিপোতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রামে বসে আড্ডা হত। ‘আকাশবাণী’ নাম হতে তখনও অনেক দেরি। ১৯৫৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে সরকারিভাবে ‘আকাশবাণী’ নামটি গৃহীত হয়।’
‘দোকান খোলা থাকত দুপুর বারোটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। জমে যেত শনি-রবিবার। আড্ডা-আলোচনা-তর্কবিতর্কের সঙ্গে থাকত গান।’
‘১৯৬৮-’৬৯-’৭০ সাল আমার কবিতা প্রয়াসের সূচনাকাল। আমি এসব পত্রিকায় লিখতে শুরু করি। ১৯৭০ সালে আমি যখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ি, সোমনাথদা, সোমনাথ মুখোপাধ্যায় আমাকে প্রথম কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে নিয়ে এসেছিলেন।’
‘গণেশদার হাঁটা, কথা বলার ধরন আমরা খুঁটিয়ে লক্ষ করতাম। আশ্চর্য পরিশীলতায় মোড়া ছিল তাঁর জীবনটা। সেইসময় গণেশদা সিগারেট খেতেন এবং ধোঁয়া ছাড়তেন মাথা নিচু করে নিজের বুকের দিকে।’
‘যদি কারও মনে হয়, এই আড্ডা শুধুই নেশার চক্কর— তাহলে একেবারে ভুল হবে। লেখা, মানে কবিতা প্রায় রোজই পড়া হত। সোমকের মুচমুচে, পার্থর অসামান্য গদ্য শুনেছি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.