পরশকালের শূন্যতারা

ভাতে মদে থেকো। খুব যে খাই তা তো নয়৷ রেয়ার। খেলে, ফেসবুকে আসার ইচ্ছে হয়। কারুণ্য জাগে কিছু, নিজে ও অপরে। আর দেখেছি গাল-ঠোঁটের ফাটল পেরিয়ে অক্ষরবৃত্ত কিছু উঁকি দেয়। মানে, মদ, যথার্থ সাংস্কৃতিক। তবে কেন যে সিন্ধু সোম এই সব দিনে জানতে চায় না— ব্যস্ত? এমনিতে ব্যস্তুই থাকি, ফ্যাচাং কি কম? তাও, মাঝে সাঝে মদ খেয়ে ফেলি। সেল্ফ-পিটি ভালো। নিজেকে ভালবাসতে ওইটুকু লাগে। নইলে, বাজারের চাহিদানুযায়ী প্রফিট মার্জিন এক কোয়ার্টার বাড়াতে পারেনি বলে এশিয়ান পেইন্টস-এ পতন! গাট্টু কি তাহলে— রাঙিয়ে দিয়ে যাই গো, যাই গো এবার যাওয়ার আগে বলে অপভ্রষ্ট রবীন্দ্রনাথে সেলাম ঠুকিয়ে নিমজ্জনে যাবে? হয় নাকি! শমিত বলবে, যাওয়া উচিত— তোর কাছে চাহিদা অন্য! মাইরি! কী জ্বালা! 

প্রিয়তমা জেসিন্ডা অ্যাডার্ন আজ ঘোষণা করেছে— অব্যাহতি চাই। তাকে ডেকেছি— চলে আয় দোস্ত। ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট আছে, যা আছে, দুজনের হয়ে যাবে। জেসিন্ডা হোয়াইট, তবে নিউজিল্যান্ড-এ ব্ল্যাক আছে অনেক, না রে ভাই ব্ল্যাক ক্যাপ নয়, যে-দেশের ল্যান্ড-বর্ডার কারো সঙ্গে শেয়ার করতে হয় না, সে-দেশ পৃথিবীর প্রত্যেকটা যুদ্ধে, কনফ্লিক্ট জোনে সেনা পাঠায়— দেখিস জেসিন্ডা। যাওয়ার আগে। 

সেল্ফ পিটি ছাড়া আমার আর কী। লিখে কি আর বর্মা যাব? বাহাদুর শাহ! না কিসি কা হবিব হুঁ, না কিসি কা রকিব…!

দরজা রয়েছে তাই দূরত্ব থাকে। দেয়ালের ওপারে কারা, না জানলে দূরত্বের ধারণাই থাকে না। প্রবেশের একটা উপায় রেখে দিতে হয়, অন্তত দূরে থাকার কথা ভেবে। এই পূর্ণতা। 

শেষ পর্যন্ত শরীর নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে। কলস-কুচি নিজেকে কলস বলেই জানে। 

ধর্ম শুধু ভাঙা মানুষের। ভাঙা যে-কোনও বস্তুর ধারালো এক কিনারা রয়েছে। 

সম্পূর্ণতা এক ভোঁতা অস্ত্র। ভার আছে। ধার নেই। আধার রয়েছে এক। জল তাতে টলটলে। কার প্রভাত সেখানে প্রতিফলিত? বোবা প্রভাত।

যে-নিস্তব্ধতাকে তুমি কোনওদিনই নিজের কন্ট্রোলে রাখতে পারনি— সে কর্কশ। 

এমন কর্কশ আর রুক্ষ, যে তাকে ছুঁলে চামড়া পর্যন্ত গুটিয়ে আসবে…

ত্বকের নীচের স্নেহপরত খুলে দেখাবে মেরুন পশুকে

স্পর্শ সেই, যা মাংসের গায়ে মাংস আছড়ে পড়ার এক আলগা প্রতিশ্রুতি

গন্ধ ছাড়া যে অসম্পূর্ণ

অথচ অলফ্যাকশন তো স্পর্শেরই ব্যাপার

শেষপর্যন্ত এক ট্যাকটাইল অনুভূতি…

তবে এতদিন কী করে স্বদেশ সেনের ওড়িশি পাকের মেয়ে, সদ্য চাকরিহারানো ভদ্রমরদ…?

তুমি কি শূন্যতাকে জানাতে পারবে—

আসলে মদের কাছে, শেষ পর্যন্ত

বিভ্রমই খোঁজা, এমন একটা প্রক্রিয়া যাতে

ভুলকে দাগানোর আঙুলের ডগাই ক্ষয়ে যায়…