কয়েকটি কবিতা

খাদ্য

ওই যে ফণা, বাসুকিরাজ
ইচ্ছেমতন হচ্ছে দরাজ
লতিয়ে চলে, লুটিয়ে লাজ
মিলন, বাঁকা দহে…

ফাতনা নড়ে, অধোবদন
শিকার বলে, ‘হে উন্মাদন!
যাতনা এক আমারই ধন
বুভুক্ষু বিরহে।’


ছবি

রোদ পড়েছে স্মরণসভা ঘরে
ঝিকিয়ে ওঠে তন্তুবাহী চারা
স্মৃতির শাখা বাড়ছে অগোচরে
পল্লবিত, ফলন্ত চেহারা

বাড়ছে দূরে ক্ষণস্থায়ী গ্রামে
ইজারাদার, ঊষর কৃষিজমি
স্মরণাতীত আলের ধারে থামে
রৌদ্রস্নাত, অনন্ত নবমী…


চুপ 

ক্রম ভাষণ, ক্রম নিরেট চুপ 
অর্থকরী সে-সম্ভাষণ, একা 
হেরে যাওয়ার বিলীয়মান রূপ 
অস্তগামী জলের গায়ে দেখা…

অস্তগামী জলের আলপনা 
ভেঙে আকাশ অরূপে চমকায় 
বৃত্তাকারে ছড়িয়ে পড়ে সোনা…

যায়, যতদূর নীরবতাও যায় 


উচ্চারণ

অন্ধ নামে তেলের কুপি জ্বলে
গণ্ডগ্রামে ময়ূর তুলোধুনো
বোবা মাঝির বৈঠা অনর্গলে
শোক বাইছে, বাইছে সে আগুনও

ঝরা পালক, মরা পালক বনে
স্তূপীকৃত, প্রমাদ গোনে কেকা
পুড়েছে নাম ময়ূর আহরণে
বাক্‌ ফুটেছে বিন্দু… বিন্দু… রেখা


গোরা

কালাপাহাড় ভেঙেছে সিন্দুক
তার ভিতরে নেমেছে প্রহরা
সে-পল্টনের দুরূহ টান, চোরা
কালাপাহাড় থেমেছে। নিন্দুক

হিমেল আঁখি যেই দিয়েছে মেলে
যেই পেয়েছে পূর্বাভাসী ঝড়—
নদীর ভারে পল্টন-নির্ভর
কালাপাহাড় স্থানু। মশাল জ্বেলে

একের পর এক, একের পর এক, গোরা…