বোবার বিষণ্ণ প্রেতভূমি


হিসিমাখা বালকের মনখারাপ নিয়ে
এই ভোর হঠাৎ এসেছে—
কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাবে। 


ঘুমিয়ে পড়বার পর সে স্বপ্নে দেখেছে
একদল কুকুর এসে তার
নিষ্প্রাণ শরীর
ছিঁড়ে-ছিঁড়ে খায়। 

ঘুম ভেঙে সে প্রতিদিন ভাবে
কেন একটুও রক্ত পড়ে না মাটিতে!


ঘি ও মধু মাখাবার সময় মনে হল
রক্ত-মাংস নয়, শুধু কাঠ— আরো কাঠ
কাঠের সবুজ

মৃত্যু এক সুডৌল অরণ্য।


ছাদে পেতে রাখা থালা।
আকাশ কিছুটা খাবে, বাতাস কিছুটা

যদি কোনো পাখি আসে
মুখে নেয় একটু খাবার…

বুঝে যায় মানবজীবন
কতখানি লবণাক্ত 

যাবার সময় ঠিক
হাত চেপে ধরে—
ছেড়ে দেয় হঠাৎ আবার!


যতদূর পারে
চলে যাক খেলামগ্ন পাখিদের দল
তাদের ডানায় এলোমেলো
দোল খায় নিভু সন্ধ্যাতারা

পুড়ে যাওয়া শেষ হলে
আমিও নিজেকে ফেলে, যাব—

যতদূর যাওয়া যায়
নগ্ন, দিশেহারা…


সে কেন এখনও তবে
মরা কুয়াশার মতো ডাকে?

আঘাত সনাক্ত করে
উবে যায় কুমারী শিশির

মনে হয়, ভোর হয়-হয়…
আলো আসে ডিম ফোটার মতো

আত্মহত্যা থেকে ফিরে আসা
লোকটা দেখে
তার ঘরে অন্য কেউ…
অন্য কেউ থাকে!

সে কেন এখনও তবে
মরা কুয়াশার মতো ডাকে?

ছবি: নারায়ণ সিংহ