

গল্পপাঠ
বাঙালি মধ্যবিত্তের যে অবয়ব সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিজনের রক্তমাংস’ গল্পে দেখা যায়, পাঠকমহলে আজ তা কাল্ট স্টেটাস লাভ করেছে। কেসিসি বৈঠকখানা-য় অনির্বাণ ভট্টাচার্য পাঠ করলেন সেই বহুচর্চিত গল্প।
বাঙালি মধ্যবিত্তের যে অবয়ব সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিজনের রক্তমাংস’ গল্পে দেখা যায়, পাঠকমহলে আজ তা কাল্ট স্টেটাস লাভ করেছে। কেসিসি বৈঠকখানা-য় অনির্বাণ ভট্টাচার্য পাঠ করলেন সেই বহুচর্চিত গল্প।
‘নিজের ইংরেজি জ্ঞানের ওপর ভাল দখল থাকার কারণেই এমন একটা ইচ্ছে তার হয়েছিল। হরশঙ্কর ব্যাকুল হয়ে উঠল মাকে একখানা চিঠি লিখে সব ব্যাপারটা খোলসা করে দেবার। বুঝিয়ে বলা যে, উদ্বেগের কারণ নেই। শান্তিতে জীবন কাটানোর জন্যই সে একটা বিকল্প পথ খুঁজছে।’
আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক বদল এমনভাবে ঘটে চলেছে, একদিন দুটো শ্রেণিই শুধু পড়ে থাকবে। বড়লোক এবং গরিব। মাঝে যারা পড়ে রইল, তারা কি আদৌ নিরাপদ? এই নিয়েই অনুপম রায়ের গান ‘মধ্যবিত্ত ট্র্যাপ’।
‘উৎপলের পরিকল্প থেকে এক ধরনের ডিপারচার বা সরণ ঘটে। কোনও সন্দেহ নেই, এ-যুগের অন্তহীন ইমেজ নির্মাণের বেলায়, অবসন্ন দর্শককে কোনও শিল্পিত দৃশ্যরূপই ততদূর আক্রান্ত বা উজ্জীবিত করতে পারে না। ফলে সুমনের ধাক্কাটা হয়তো প্রয়োজনই ছিল।’
‘দু-একবার তো ভূতেশের সঙ্গে তার মাকে বিছানাতে দেখেও ফেলেছে সে; তাদেরই অসতর্কতার কারণে! ওই অন্ধকার ঘরে, আচম্বিতে নিত্যর উপস্থিতি টের পেয়েও বড়বউ তো কই ভূতেশকে ছেড়ে, বিছানা থেকে সরে যায়নি! ভূতেশও অবশ্য সংকোচ বা ভয়ে ছাড়িয়ে নেয়নি নিজেকেও।’
সুনীল গাভাসকর আইপিএল-এ বিরাট কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। ফলস্বরূপ কোহলির সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় গাভাসকরের নামে যাচ্ছেতাই লিখে চলেছেন। যা প্রত্যাশিত এবং স্বভাবিক। কিন্তু স্বয়ং বিরাট কোহলি জবাবে কী বললেন?
তাঁর খ্যাতি মূলত কবি, ঔপন্যাসিক হিসেবেই; অথচ অনবদ্য সব ছড়া লিখে গেছেন যা পাঠক, অনুরাগীদের দরবারে আবারও নতুন করে চেনাবে তাঁকে। ‘কবির সঙ্গে দেখা’র এই পর্বে ছড়াকার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
‘ভোটের প্রার্থীরা ভিখারির মতো ঘুরছেন ট্রেনে-বাসে, খেতে-খামারে, চায়ের দোকানে, পাড়ার আড্ডায়, এমনকী গেরস্থের রান্নাঘরেও তাঁরা ঢুকে পড়ছেন। মুখভরা হাসি আর গালভরা প্রতিশ্রুতিতে প্রমাণের আপ্রাণ প্রচেষ্টা, ‘আমি তোমাদেরই লোক’।’
‘চাঁদনি থেকে এসপ্ল্যানেডের দিকে চলেছে মেট্রোটা। পরের স্টপেই নামতে হবে নীলাকে। দরদর করে ঘামছে। এই ভিড় থেকে বেরতে পারলে বাঁচে। স্টেশনে নেমে ঊর্ধ্বশ্বাসে হাঁটতে থাকে। কলকাতার এই ধাক্কাধাক্কিতে এখন অবশ্য সম্পূর্ণ অভ্যস্ত নীলা।’
মধ্যবিত্ত মানেই কি ছিঁচকাঁদুনে, ঘ্যানঘ্যানে একটা শ্রেণি? নাকি এর বাইরেও তার আলাদা কোনও দর্শন আছে? এই আলোচনায় সেসব প্রসঙ্গই বিশ্লেষণ করলেন লেখক-সাংবাদিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, লেখক প্রচেত গুপ্ত এবং অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। সঞ্চালনায় শিশির রায়।
আমাদের ধারণায় যে মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে, তার সঙ্গে এখনকার মধ্যবিত্তের পার্থক্য কী? বাইরের জীবনযাপনে ফারাক তৈরি হলেও, মানসিকতায় কি কোনও বদল এসেছে? মধ্যবিত্ত-মননের সেই সব খুঁটিনাটি নিয়েই এই বক্তৃতা ‘শ্লেষ্মা পিত্ত মধ্যবিত্ত’।
‘সুহাস তখন নিছক একটা ডেডবডি। পুলিশ মেরেছে, পুলিশই তুলবে। পুলিশ মেরে চলে যেত, বা পুলিশের হয়ে অন্য কেউ। রটে যেত অন্য কোনও গল্প। পাড়া থমথম করত। দু-চারদিন সব চুপচাপ। ফিসফাস। আবার সব স্বাভাবিক। যেন কোথাও হয়নি কিছু।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.