

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৪২
কইফি আজমি এমন একজন কবি যিনি সব সময় প্রাসঙ্গিক। আজকের এই অস্থির সময়ে অথবা চরম অসহায়তা, প্রেমের ব্যর্থতার সময়েও তাঁর লেখা আমাদের আশ্রয় হয়ে ওঠে। ‘ওয়াক্ত নে কিয়া কয়্যা হসিঁ সীতম’ কিংবা ‘কোই ইয়ে কয়সে বাতায়ে’র মতো গানও কালজয়ী হয়।
কইফি আজমি এমন একজন কবি যিনি সব সময় প্রাসঙ্গিক। আজকের এই অস্থির সময়ে অথবা চরম অসহায়তা, প্রেমের ব্যর্থতার সময়েও তাঁর লেখা আমাদের আশ্রয় হয়ে ওঠে। ‘ওয়াক্ত নে কিয়া কয়্যা হসিঁ সীতম’ কিংবা ‘কোই ইয়ে কয়সে বাতায়ে’র মতো গানও কালজয়ী হয়।
‘বদ্রুনাথ জানতেও পারল না যে, কেন তিনি আজ তার নৌকোতে উঠেছিলেন। তরঙ্গনাথের মনে পড়ল যে, দস্যু রত্নাকরের পাপের ভাগও তো কেউ নেয়নি; তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ বদ্রুনাথও বোধহয় ক্ষমা করতে পারবে না তাঁকে।’
‘ভূতেশ তার নিজের পড়ুয়া সত্তাটাকেই যেন দেখতে পায় মিতার মধ্যে। ভূতেশ বুঝতে পারে যে, মিতা তার দুই দিদি বা মায়ের মতো সুন্দরী না হলে ব্যক্তিত্বে বোধহয় সবাইকে ছাপিয়ে যাবে।’
‘ছবির নামে ‘দয়া’ কথাটা আছে বলে সর্বত্র সেটাকেই বেঁকিয়েচুরিয়ে খুঁজতে হবে তার মানে নেই, আর এতেও সন্দেহ নেই, এই স্তরের নির্দয়তা-ভর্তি ছবির এই নাম দেওয়ার মধ্যেও এক পেল্লায় মুচকি বর্তমান।’
‘আমাদেরও এ-শহরে বহুরাত্রি গেল কেটে।/ চাকরি খুঁজে, জুয়া খেলে, আপনার অপেক্ষা ক’রে।/ আসবেন কি আসবেন না, বাজি ধরল দু’প্রফেটে।/ শুনেছি সমস্ত যুদ্ধ থেমে যাচ্ছে কাল ভোরে?’ নতুন কবিতা।
‘ইন্দ্রপাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, কেমন করে যৌনসুখের জন্য লিঙ্গদৈর্ঘ্য এবং রন্ধ্র/ছিদ্রপথের দৈর্ঘ্য মেপে গড়া হবে যথাযথ জুটি। আর সেখানে ভারতচন্দ্র যৌনসুখের প্রস্তাব করতে গিয়ে সুখের পথটাকেই ছেঁটে বাতিল করলেন।’
মালয়ালম ছবির গ্ল্যামারক্ষেত্র থেকে মহারাষ্ট্রের আখের খেত, সর্বক্ষেত্রে নারীকর্মীদের বঞ্চনা অব্যাহত। হাসপাতালেও নারী-ডাক্তার সুরক্ষিত নন। রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেও সদ্য ‘কাস্টিং কাউচ’-এর অভিযোগ উঠল। তা হলে কি গণআন্দোলন করতে রোজ পথে নামতে হবে?
‘সচেতনভাবে রবীন্দ্রনাথকে ছাড়তে চাননি, রবীন্দ্রনাথকে ভাঙিয়ে খ্যাতি কি না, প্রশ্নের উত্তরে অকপটে স্বীকার করতেন, ‘উনি ছাড়া আমার খ্যাতি কী করে হবে!’ মৈত্রী-রক্ষায় তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম কিংবা খেলাঘর গড়ে তোলা, সবই যেন ওই স্বীকারোক্তিটির স্পর্ধাতেই ভাস্বর।’
এবারের ‘দূরপাল্লা’য় ফিরে যাওয়া স্মৃতির শান্তিনিকেতনে, যেবার সুনীল-সান্নিধ্যে হল বসন্ত উদযাপন। বন্ধুত্বের মায়া, প্রেম এবং হুল্লোড় চলল হাত ধরাধরি করে। আবিরের রঙে এখনও রঙিন, স্মৃতিমেদুর এই অধ্যায়।
‘একদল পুলিশের ভিড়ে তরু আর সৌরীশকে আকুল উৎকন্ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, দূর থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে থানায় চলে গেলেন তরঙ্গনাথ, নিরাপদে তাঁর বাচ্চাদের ফেরার খবরটা দিতে। তরঙ্গনাথকে শান্তভাবে থানায় ঢুকতে দেখে, নির্বাক হয়ে গেল সবাই।’
‘সকাল বিকেল কেটে গিয়ে এল রাত/
বাড়িটা ভেঙে পড়ছিল, বড় বড় আওয়াজে/
বড় বড় পাথর, পড়ছিল নীচে,/অনেক টিকটিকি ছিল,/ সেইগুলির টিক-টিক শব্দের উপর পড়ছিল পাথর, …’
‘দূর-দূর সব পাড়া থেকে অসুখ-করা মানুষজন ডাক্তারবাবুকে দেখাতে আসতেন। আর একবার আসা মানেই সারাজীবন আসা। তাঁর ওষুধে এমনই কাজ হত যে, হরেক রকম অসুখে তাঁরই কাছে আসতে বাধ্য হতেন সকলে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.