
দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৭
‘…বহু দিন হল সারা দেশে একটা ধারণা হয়েছে, দিল্লির কলেজে না পড়তে পারলে জীবন বৃথা। যদিও প্রত্যেক বছর যে শ্রেষ্ঠ কলেজের তালিকা বেরোয়, তাতে অন্যান্য শহরের বহু কলেজ আছে।’ রাজধানীর আডমিশন-পাগলামি।

‘…বহু দিন হল সারা দেশে একটা ধারণা হয়েছে, দিল্লির কলেজে না পড়তে পারলে জীবন বৃথা। যদিও প্রত্যেক বছর যে শ্রেষ্ঠ কলেজের তালিকা বেরোয়, তাতে অন্যান্য শহরের বহু কলেজ আছে।’ রাজধানীর আডমিশন-পাগলামি।

‘কোন কেমিক্যাল ইম্ব্যালেন্সের জন্য মানুষ দুঃখ পায় আমরা এখনও জানি না, সেটা বুঝে গেলে আমরাও দুঃখ সিমুলেট করে দেখিয়ে দেব। দু’দিন মেশিন অন করতে পারবেন না। ম্যাকির দুঃখ হয়েছে। সকালে উঠে হঠাৎ দেখবেন এসি থেকে জল ঝরে ঘর ভেসে যাচ্ছে। সারারাত এসি কেঁদেছে।’ যন্ত্রের দুঃখ।

‘…যারা একটু বেশি আত্মসচেতন তারাই গুরুর মতন ছটফট করে। ঘুমের মধ্যেও তারা অশান্তির স্বপ্ন দেখে, শান্তির মধ্যেও তারা ভবিষ্যতের অশান্তির আভাস কল্পনা করে নিয়ে আঁতকে ওঠে। তাই সে বিনিদ্র।’ নিদ্রাহীন রাতের কথা।

‘জন্ম হয় ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’ নামে স্কিৎজোফ্রেনিক একটি সিনেমার, যার নির্মাণ ১৯৭৭ সালে সম্পূর্ণ হলেও বিভিন্ন বাধাবিঘ্নের কারণে তা মুক্তি পায় ১৯৮৭ সালে— এবং বিনোদ খান্নার রুপোলি পর্দায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও, এই সিনেমা দ্রুত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়।’ সিনেমার গল্প।

এবারের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে প্রত্যেকটা দল, কোনও-না-কোনও ইঙ্গিতের মাধ্যমে কৃষ্ণাঙ্গদের পক্ষে অধিকারের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। কেউ এক হাঁটু গেড়ে বসছেন, কেউ আবার মুষ্টিবদ্ধ একটা হাত ওপরে তুলছেন! কিন্তু আশ্চর্যের, কুইন্টন ডিককের মতো খেলোয়াড় আবার এই প্রতিবাদে অংশই নিলেন না!
‘…ইউটিউবে কয়েকশো চ্যানেলে যতই ‘ঘরোয়া’ রেসিপি শেখানো হোক, বা সোহো বা ম্যানহাটানে আফটার-পার্টি জলখাবার হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করুক না কেন, নিজের দেশে এগ রোল ছাপোষা মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবিদের ত্রাণখাদ্য, দশকের পর দশক তা-ই হয়ে এসেছে।’ এগ রোল, যুগ-যুগ জিও!

‘গেলাম ওঁর ডেস্কে, লেখাটা দিলাম। অনেকে ছিলেন ওঁর দপ্তরে। আমাকে তেমন ভাবে চিনলেনও না। পেশাদারি ভঙ্গিতে বললেন, ‘নাও, পড়ো কী লিখেছ।’ অত অজানা মানুষের সামনে পড়তে লজ্জা করছিল। সুনীলদা বুঝতে পেরেছিলেন, বললেন, ‘সাংবাদিকদের ভূষণ লজ্জা নয়, সাহস।’’ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতি।

‘… সুজিত দেখাতে চেয়েছেন, একজন দেশপ্রেমিকের আত্মত্যাগ, তাঁর লড়াই, তাঁর অসহায়তা এবং তাঁর ভেতরে যে প্রতিশোধের আগুন ছিল, সেই আগুনটুকু। এই ছবিতে এটাই মুখ্য, বাকি সব গৌণ।’ সুজিত সরকারের ‘সর্দার উধম’।

‘…দার্জিলিঙের ওপর সত্যজিতের পক্ষপাত যাবার নয়। কলকাতা বাদ দিলে এই একটিমাত্র জায়গাতেই দুটো উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছকেছিলেন সত্যজিৎ। আসলে এই শৈলশহরের প্রতি তাঁর নাড়ির টান। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ।’ সত্যজিতের দার্জিলিং।

বড় হয়ে যখন সমস্ত হৈমন্তী মনকেমনের জন্যে জীবনানন্দকে দোষারোপ করেছি, তখন আসলে শূন্যতাকে এড়িয়ে চলতেই চেয়েছি কোথাও। চেয়েছি, কেউ এসে এই ব্যাখ্যাহীন নিঃস্বতার দায় নিক, কেউ এসে আমার হাত থেকে কাঁধে তুলে নিক এই অর্থহীন উদাসীনতার ক্রুশ। হেমন্তের একাকীত্ব।

ডায়ার স্ট্রেটস ব্যান্ডের গান শুনে আমি একজনেরই আন্ধভক্ত হয়ে উঠেছিলাম, মার্ক নফলার। তাঁর গিটার বাজানোর নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল। তিনি ইলেকট্রিক গিটার বাজাতেন হাতে আর বলতেন তাঁকে অনুসরণ না করতে। এ অলৌকিকের সন্ধান পেলে জীবনে মুগ্ধতা কিছু বেড়ে যায়। ওদের গানের আবেশ ঘিরে নেয় ছাত্রজীবনকে। আমার অন্যতম প্রিয় প্রভাব, ডায়ার স্ট্রেটস।

‘…The result was a remarkably schizophrenic film titled Jallian Wala Bagh, completed in 1977 but released in 1987 after many starts and stops – and promptly sinking out of sight.’ On Hrishikesh Mukherjee’s unfinished film on the Udham Singh story and a later take on the same.
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.