পত্রিকা

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৪৭

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৪৬

‘গুরু আমার কথায় অবাক হয়ে গেল। সে যেন আমার কথায় নিজেকে খুঁজে পেল। আমি বললাম— আপনি কি বেশিদিন কাউকে ভালোবাসতে পারেন? আপনার যে সবাইকেই কিছুদিন পরে একঘেয়ে লাগে।’ মহাবলীপুরম্‌-এ গুরুর সান্নিধ্য।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ১১

‘…আমার কাছে যেটা লক্ষণীয়, তা হল কীভাবে এই প্রবাদ নদীমাতৃক একদল মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, কীভাবে তাঁদের দিনের এবং কথার ছন্দ নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে বয়ে চলে— নদী প্রত্যহ কিছু নিয়ে ভেসে যায়, ফেলে রেখে যায় জীবন।’ তিস্তা-জীবন আখ্যান।

শিল্পসত্তায় পরিশীলিত রুচির পরিচয়

‘সত্যজিৎ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে বেঠোফেন ওঁর প্রথম ‘মিউজিকাল হিরো’ ছিলেন, কিন্তু আমি ওঁর সঙ্গীতরচনায়, বিশেষত আবহসঙ্গীতে, চাইকভস্কির প্রভাব দেখতে পাই। বেঠোফেনকে উনি নিশ্চয়ই খুবই পছন্দ করতেন, কিন্তু ওঁর সঙ্গীতে, ‘শাখা প্রশাখা’-র একটি দৃশ্য ব্যতিরেকে, বেঠোফেনকে উনি কখনই ব্যবহার করেননি।’ সত্যজিতের চলচ্চিত্র এবং পাশ্চাত্য শাস্ত্রীয়সঙ্গীত।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২২

এ-গ্রহের অতি নির্বোধ লোকও মালুম পেয়েছে, কোভিড ধাঁ করে উবে যাবে না, একে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে, একটু হাঁচো-কাশো, তারপর সাতদিন ঘরে কাটিয়ে ফের নাচো-হাসো, পরবর্তী সংক্রমণে ধুত্তোর বলে পুনরায় ঘরে ঢুকে পড়ো— এই প্যাটার্নই আগামীর থিম।

মৃদুল দাশগুপ্ত

কয়েকটি কবিতা

‘এ হল টুকরো কথা, কাহিনি না, অগাধ বাস্তব/ একার গাইড বুক, ভ্রমণের, তাতেও ছাপার কত/ রয়ে গেছে ভুল/ সযতনে তাও পড়ো, শুনো তো আড়ালে নিয়ে/ একেলার এই কলরব/ ধিকি ধিকি ধিকি ধিকি, ছিটকে বেরোবে তবে/ বিবিধ মৃদুল’ নতুন কবিতা।

দেবশঙ্কর হালদার

স্পটলাইট: পর্ব ২

নাটক মানে ধরেই নেওয়া হয় একটা মিথ্যের উপস্থাপনা। সেই মিথ্যে কে যে যত মুন্সিয়ানার সঙ্গে দর্শক-মনে গেঁথে দিতে পারে, ,সে-ই দর অভিনেতা। কিন্তু আদতে নাটকের চেয়ে সত্যি কিছু হয় না, সেই মুহূর্তে যা অভিনীত হচ্ছে তাকে আত্মা দিয়ে, সত্তা দিয়ে সত্যি করে তুলতে হয়। নাটকের সত্য।

আলকাজি-পদমসি খানদানের হাঁড়ির খবর

‘‘সেদিন রাতে আমরাই ছিলাম পৃথিবীর সবচাইতে নিঃসঙ্গ ছেলেমেয়ে। পাশের ঘরেই যে আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ চলছে তা আমরা জানতুম। এও জানতুম যে তাতে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। শুধু জানতুম যে, আমাদের জীবন আর আগের মতো রইল না।’ বিবাহবিচ্ছেদের এত সহজ অথচ এত সংবেদনশীল বিবরণ আমরা পড়িনি। এর পরেও তিরিশ বছর ধরে ইব্রাহিমের সব নাটকের পরিচ্ছদ পরিকল্পনা করেছেন রোশন।’ অনন্যসাধারণ নাট্য-পরিবারের কথা।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১১

‘হতে যে নিকট চাই, সে তুমি দূরের থেকে বোঝো।/ গলার রুশতী মালা খুলে রাখো হাটের বন্দরে/ এখানে পণ্যের দাম বাতাসিয়া। বিরহ সহজও।/ কলমগাছের নীচে চিঠি লেখানোর কথা ঝরে…’ নতুন কবিতা।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ১১

‘কিছুতেই কারও মন নেই। শুধু ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলে। একটু ফেসবুকটা দেখি, একটু ইনস্টাগ্রামটা চেক করি। ক’টা লাইক পড়ল, ক’টা কমেন্ট। আরে! প্রবলেম কেয়া হ্যায় ভাই? মানুষগুলোর এমন অবস্থা হয়েছে, টানা পাঁচ মিনিট গানও শুনতে পারে না আজকাল।’ ধৈর্যের অভাব।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

Uttarbanga Diary: Part 11

‘Using an adage from Rajbangshi, the language of a people that the Bangla establishment is committed to proving as a dialect, Debesh Roy is doing two things very subtly: giving an oral tradition space in the written (proverbs are largely oral in origin), and showing where his political commitment lies.’ Of writing against the flow.

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১০

‘ক্রিসমাসের রাতে ওকে দেখতে পেলাম সেন্ট পলসের পাশের অন্ধকার রাস্তাটায়। দৌড়ে গিয়ে বললাম, ‘এই তো, কোথায় ছিলেন এতদিন?’ লোকটা বলল, ‘জানুয়ারির ফার্স্ট উইকে যাচ্ছি। যাবেন?’ হ্যাঁ বলে দিলাম। পাহাড়ের ব্যাপারটা তখনই শুনলাম। তারপর এই রাতের ট্রেন।’ উদ্ভট অ্যাডভেঞ্চারের পূর্বাভাস।