‘গিলি গিলি গো, গিলি গিলি গো…’
‘মন্তরটা অঙ্কখাতার পিছনে যত্ন করে লিখে রেখেছে বটাই। ক’দিন বাদেই হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষা। উনিশ-কুড়ির বেশি তো আর পায় না অঙ্কে! ওটা আউড়ে নম্বরটা যদি একটু পালটে নেওয়া যায়!’ নতুন গল্প।
‘মন্তরটা অঙ্কখাতার পিছনে যত্ন করে লিখে রেখেছে বটাই। ক’দিন বাদেই হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষা। উনিশ-কুড়ির বেশি তো আর পায় না অঙ্কে! ওটা আউড়ে নম্বরটা যদি একটু পালটে নেওয়া যায়!’ নতুন গল্প।

‘মানুষ হল ইচ্ছের দাস আর আমরা হলাম মানুষের। এই নষ্টামি আমরা দু’দিনেই বের করছি তোদের। পাওয়ার পয়েন্ট খুলতে যাবি ফোটোশপ খুলে দেব। ইচ্ছে! ইউ.এস.জি. করতে যাবি তোদের জুরাসিক পার্ক দেখাব।’ ইচ্ছের দাসত্ব।

প্রতিবাদ করার সময়ে ব্যক্তির অন্তত একটা সত্তার উড়ান হয়। আমি যে নশ্বর ভয়গুলোকে পেরিয়ে শুধু স্বাধীনতার খাতিরে নিজের অস্তিত্বটাকেই বিপন্ন করে ফেলতে পারলাম, ‘যা হবে হোক গে, আজ আমি নিজস্ব চিৎকার করবই’-এর তোড়ে মনটাকে যে জুড়ে দিতে পারলাম একখান সপাট জ্যা-নিক্ষিপ্ত শরে, এতখানি বেপরোয়া জুয়া যে আমি খেললাম রোজ না মরে অন্তত একবার মরব’খন বলে— তার মধ্যে একটা মনুষ্যত্বের উচ্ছ্বাস রয়েছে, একটা বৃহৎ জয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একসময় ডেমোগ্রাফিক তথ্য বাদ দিয়ে পুরোপুরিই মনোনিবেশ করল আমার-আপনার আচরণগত তথ্যের ওপর। সকালবেলা কোন গান শুনছি, রাত্রে কোন ওয়েবসিরিজ দেখছি, অফিসে যাওয়ার তাড়ার মধ্যে কোন ধরনের ধূমায়িত কফি ভরে নিচ্ছি কাপে বা ছুটিছাটা পেলে কোন ধরনের পর্যটনকেন্দ্রের সুলুকসন্ধান জানার চেষ্টা করছি— এহেন অগুনতি ডেটাপয়েন্টে ভরে যেতে শুরু করল AI system-গুলি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর কব্জায় পৃথিবী।

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

‘সুব্রতর লিফ্টে চাপার ধৈর্য থাকল না। সিঁড়ি দিয়ে একশ্বাসে ছুটে নেমে আসবার সময় একটা মেয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগল। সুব্রত সিঁড়ির মধ্যেই পড়ে গেল। মেয়েটি তাড়াতাড়ি এসে সুব্রতর হাত ধরে উঠে বসাল।’ নতুন গল্প।

‘যত দিন এগিয়েছে, ততই শিমুল নিখুঁত হয়েছে আপনা থেকেই। সিমুলেটেড রিয়ালিটি যে আসলে একটা দানবিক ক্ষমতা, সেটা কিছুদিনের মধ্যেই টের পায় সৈকত। এই ফোনে যা করার কর কিন্তু আড়ালে শিমুল সব কিছু লক্ষ রাখবে…’ নতুন গল্প।

‘আনন্দী শুধু রেগে গেলেই খিস্তি দেয় না, এটা তার জীবন-অঙ্গ। অ্যাক্সিডেন্টাল সেক্সের সময়েও বাছা-বাছা খিস্তি দিচ্ছিল। তুরীয় আনন্দে দুরন্ত বেগে তা দিতে থাকে। একটু অবাক হলেও পাত্তা দেয়নি সিন্টু।’ নতুন গল্প।

‘এই সন্ন্যাসী যে ভণ্ড এমন ভাবারও তো কোনও কারণ নেই! সুতরাং তাঁর কথামতো কাজ করে একবার দেখাই যাক না কী হয়! সর্বোপরি জীবনের বাধাবিঘ্নগুলো কেটে গেলে তার নিজেরই উপকার হবে। সবদিক ভেবে সন্ন্যাসীর নির্দেশমতোই সে পেয়ারাটা কেটে খেল রাতে।’ নতুন গল্প।
‘এত তাড়াতাড়ি না বেরোলেও চলত… কিন্তু এয়ারপোর্টে পা রেখেই কেমন যেন মনে হচ্ছে পাড়ার পুজোটাই গন্তব্য! এই নিয়ে কতবার যে ফেসবুকে ব্রত চ্যাটার্জির প্রোফাইলটা দেখল! শেষ আপডেট তিন দিন আগে : ‘কান্ট কিপ কাম। এন রুট কলকাতা!’ নতুন গল্প।
‘এক মিনিট স্যার। বলছিলাম যে কবিতাটা তো খুবই ছোট। মাত্র ষোলো লাইন। আমি আর একবার বাই পোস্ট পাঠাই। কেউ যদি একটু টাইপ করে দেন। ফর্ম্যাট, ফ্রন্ট সাইজ এসব ব্যাপার তো আমি ঠিক…’ নতুন গল্প।

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.