পত্রিকা

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি : পর্ব ১২

রকেট-জুতো পায়ে আকাশে ওড়ার বদলে আন্কা‌ ধাক্কা খেয়ে মরার সম্ভাবনাই যে প্রবল হয়ে উঠবে, এই দুরু-দুরু ভয় অ্যান্টনির আগেও হয়েছিল। স্নেহাকে ইমপ্রেস করতে ফেমাস হবার তালে ‘লেট’ না হয়ে যায় অ্যান্টনি…

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

কলকাতার ছিবড়ে

কলকাতাকে ব্যবহার করব এবং নির্দ্বিধায় পরিত্যাগ করব। যৌনকর্মীর শরীরের মতো, জলে ভাসিয়ে দেওয়া মৃতের নাভির মতো। যার দিকে কখনও পেছনে ফিরে তাকাবো না। আর যত্নও করব না কখনও। কোনও ব্যক্তিগত লাভ ছিল না তো কখনও, ভাবটা ঠিক তেমন!

গজালা ওয়াহাব ( Ghazala Wahab)

হিজাব ও আমি

ইসলামে হিজাব চিরকালই দ্বন্দ্বের বিষয়। ফলে, বিশাল সংখ্যক মুসলিম নারী হিজাব পরতে অস্বীকার করছে। বেশিরভাগ পুরুষ মনে করে, মেয়েরা নিজেদের ঢাকার জন্য সম্পূর্ণ চেষ্টা করছে না। আর অধিকাংশ নারী মনে করে, পুরুষদের থেকে বাঁচার জন্য় কোনও আব্রুই যথেষ্ট নয়। হিজাব রাজনীতি।

খুচরো খাবার: পর্ব ১৪

‘নিমকি-তক্তি-নাড়ু তো বটেই, বিজয়া স্পেশাল হিসাবে ঢাকা বিক্রমপুরের কাঠবাঙাল আমার মাতামহী এমন একটা পদ বানাতেন যা আমি আর কাউকে করতে দেখিনি— মাছের পাটিসাপটা।’

দিনে-দিনে সব যায়

‘বিয়েটা করেছিলাম রেলপথের জন্যই। সুভাষের বেলাতেও নাকি তাই ছিল! বিয়ের পর পর তো ওর কেবিন-রোমাঞ্চ অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।’ নতুন গল্প।

ইমরান পারভেজ

জলদেশের কিংবদন্তি

এই মরশুমে চাষ হয় ফলনও হয় অসংখ্য অপমৃত্যু জমা হয়/ হিম বাড়ছে/ মাথার উপর আকাশটা ধোঁয়া আর শব্দে ঢেকে যাচ্ছে/ হলদে রুপোলি ফড়িং আঁশের ঝাপটায় নৌকাশরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে/ পাটাতন ক্রমশ খলবল করে উঠছে

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ : পর্ব ১৭

‘এক হাসপাতাল অসুখ নিয়ে আমি রোগ ছাড়া কতযুগ ধরে একটা জায়গায় নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিলাম। রোগী, নার্স, বেড, অক্সিজেনভরা ভূতের বাড়িটা হাসপাতাল সেজে রইল। কেউ আপত্তি জানাল না। মাঝে মাঝে কোমার নাম করে ব্ল্যাকআউট।’ অসুখের যাপনচিত্র।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৮২

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৯

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এমন অনেক কবিতা আছে, যা এখন তত পঠিত বা আলোচিত নয়। তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে যে অহরহ ম্যাজিক আছে, তা হয়তো এই কবিতাগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত, ঈষৎ চাপা। যদি সেই জাদু ছোঁয়া না যায়, তা হলে আমাদের ক্ষতি।

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ১

‘যে চারজন এতটা বিপদসংকুল আর দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা করে এখানে এসেছে আজ দুপুরে, তাদের মধ্যে দৃশ্যতই নেতাগোছের হলেন দু’জন।’ ডাকবাংলায় শুরু হচ্ছে রূপম ইসলামের নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস, ব্রহ্ম ঠাকুর সিরিজ়ের নতুন পর্ব, ‘শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম’।

নির্মাল্য ঘরামী

বিজ্ঞাপন

‘কিন্তু সেই অন্যদিন যে আর কখনও আসবে না, সেটা হিনা ভাল করেই জানে। জানে ওই লোকটাও। তবুও। সমাজে অপ্রয়োজনীয় অনেক কথাই বলতে হয়। রাম্বি ঝোরার উজানের দিকে হেঁটে চলেছিল দুজনে।’ অন্ধকার মনের চালচালন।

শান্তনু চক্রবর্তী

মূর্তিমান অপ্রত্যাশিত

‘তাঁর পুরু চশমার কাচের আড়ালে ঝকঝকে চোখদুটোয় একইসঙ্গে মেধা আর কৌতুকের ঝলক। দর্শকের সঙ্গে এই মেধাবী কৌতুকের খেলাটা গোদার চিরকালই খেলে গেছেন।’ গোদারের নিজস্বতা।