সংখ্যা ৭৫ : শ্রাবণ ১৪২৯/ জুলাই ২২ ২০২২

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৮

ক্রিয়েটিভ আইডিয়া এক্সচেঞ্জ? এমনটাও হয় নাকি? অ্যান্টনি গেল ঘাবড়ে! ওদিকে টম-এর উৎসাহের শেষ নেই। সে যাবেই। যে-মেয়েটি তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সে আবার নাকি অ্যান্টনির প্রতি দুর্বল! অবশেষে ওরা গেল রঞ্জন-রিঙ্কুর বাড়ি। কিন্তু কী এক্সচেঞ্জ হল সেখানে?

‘ডেথ অফ আ ফাদার’

মৃত্যু আর সংস্কার। শোক, আর তার সমসময়ে বয়ে চলা দৈনন্দিন জীবন। স্মৃতি আর বর্তমানের দায়িত্ব। সোমনাথ পালের ‘ডেথ অফ আ ফাদার’ তুলে ধরে পিতা ও পুত্রের নিবিড় সম্পর্ক এবং মৃত্যু-পরবর্তী শূন্যতায় সাধারণ জীবনের এক অসাধারণ ছবি।

একরাম আলি

পিঞ্জরে বসিয়া

‘এক-এক করে এরকম আট/দশটি প্রমাণ মাপের কক্ষ দেখে এবং গৃহকর্ত্রীর টানা হা-হুতাশ শুনে একটা ঘরে আমরা থিতু হই। তাঁর হা-হুতাশ— এত-এত বই কী যে অযত্নে পড়ে আছে! আর আমার কৌতূহল— নীচের কোনও বই দরকার পড়লে টেনে বের করেন কী করে!’ ব্যক্তিগত স্মৃতি।

হেঁসেলের হিস্সা: পর্ব ১৮

যত আমরা চালানের মাধ্যমে আমদানি করা খাবার খাব, তত আমাদের খাওয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর আবহমণ্ডলে কার্বন ছড়াবে বেশি, তার থেকে তৈরি গ্রিনহাউস গ্যাস আটকে থাকবে ভূমণ্ডলে। বাংলাদেশ থেকে আমদানি পদ্মার ইলিশ খাবেন? জানবেন, সেই ইলিশের ‘কার্বন ফুটপ্রিন্টে’ মিশে থাকবে সমুদ্রগামী ইলিশ-ট্রলারের সঙ্গে চাঁদপুর থেকে কলকাতার সড়কপথে ট্রাকের ব্যবহৃত ডিজেল, কাজেই সেই ইলিশের পেটিটি কিয়ৎ আপরাধবোধ ছাড়া মুখে তোলা যাবে না।

মনোজ মিত্র

সাজানো বাগান: পর্ব ২

দেশের একজন সেরা নাট্যকার, সেরা অভিনেতা। সুন্দরম নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকদের পছন্দের অভিনেতা। অত্যন্ত অল্পবয়সে বাঞ্ছারামের মতো একজন বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। মনোজ মিত্রের নাট্যজীবন এবং জীবনচর্যার সন্ধানে সৌমিত্র বসু।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল: পর্ব ১৭

সেসব দিনকালে ছোট ছোট পাড়াগুলোয় সন্ধের পর শব্দ-আওয়াজ তেমন হতো না। কয়েক বাড়িতে টিভির আওয়াজ, কোথাও রেডিও নাটক চলছে, আবার কিছু বাড়ির জানলায় নিয়মমাফিক গলা সাধা। সেসব আমাদের কানে আসত রোজই, মন্দ লাগত যে, এমনও নয়। কানে আসত আরও একটা স্বর। বিশেষত, সন্ধের পর বা রাতের দিকে লোডশেডিং হলেই শুনতে পেতাম, দিলীপ জেঠুদের বাড়ির জানলায় বেহালা বাজছে। স্মৃতির সুর বেয়ে।

অর্পিতা কুণ্ডু

কয়েকটি কবিতা

‘ওই যে ফণা, বাসুকিরাজ/ ইচ্ছেমতন হচ্ছে দরাজ/ লতিয়ে চলে, লুটিয়ে লাজ/ মিলন, বাঁকা দহে…/ ফাতনা নড়ে, অধোবদন/ শিকার বলে, ‘হে উন্মাদন!/ যাতনা এক আমারই ধন/ বুভুক্ষু বিরহে।’ নতুন কবিতা।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১৫

‘আস্ত একটা ইলেকট্রিফায়েড, দুম্বো গাড়ি যাত্রী-সহ ঝলসে উঠলে সিনেমার মতো হবে। মরা লোক দোষ দিতে পারবে না উপদেশদাতাকে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে মাঠে এক-আধটা গরু-ছাগল বজ্রাহত হয়। তার সঙ্গে এর কোনও তুলনা হয় না কি? অনেকেই ফোন বের করে তৈরি আছে, ভিডিও করবে।’ অদ্ভুত হুজুগ।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৭২

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।