সংখ্যা ৭৩ : আষাঢ় ১৪২৯/ জুলাই ৮ ২০২২

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

সহোদরা: পর্ব ২

‘ওবেলা চমন আবিষ্কার করে ছোট্ট একটা বাদশাহী ছুরি বিঁধে আছে জানালার কপাটে, বাঁটে কোফত্‌গার কী সুন্দর সোনার পাতের কাজ করেছে, চুনি-মরকত বসানো একটা ময়ূরকণ্ঠ। বাইরের কেউ কি চিঠি-সহ ছুরিটা ছুঁড়ে মেরেছে বেগমদের? পালাবার বন্দোবস্ত? ছুরি নিয়ে আহ্লাদিত চমন যায় মর্দান বেগকে জানাতে।’ আশঙ্কার সূত্রপাত।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

তখন প্রবাসে রবীন্দ্রনাথ: পর্ব ৩

‘রবীন্দ্রনাথ দেখলেন, অনেক ইঙ্গবঙ্গ, সুন্দরী বাড়িওয়ালির ঘর ভাড়া করেন। তাতে তাদের যথেষ্ট সুবিধা হয়। বাড়িতে পা দিয়েই তারা বাড়িওয়ালির যুবতী কন্যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে নেয়। দু-তিনদিনের মধ্যে তার একটা আদরের নামকরণ করা হয়, আর সপ্তাহ গেলে হয়তো তার নামেই একটা কবিতা লিখে তাকে উপহার দেওয়া হয়।’ রবীন্দ্রনাথের চোখে ‘ইঙ্গবঙ্গ’রা।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

পিটার ব্রুক ও দ্রৌপদী

কিংবদন্তী নাট্য-পরিচালক পিটার ব্রুক-এর মহাভারত আশির দশকে বেশ শোরগোল ফেলেছিল সারা বিশ্বে। ভারত থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন দ্রৌপদী। অভিনয় করেছিলেন নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মল্লিকা সারাভাই। পিটার ব্রুক-এর স্মরণে সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন মালবিকা ব্যানার্জির সঙ্গে।

খুচরো খাবার: পর্ব ১০

‘বিশ্বাস হয়নি; লোহগড় দুর্গ, ভাজা কেভ্‌স, মালাভলি স্টেশন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন, দাদার স্টেশন, ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস, বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া রাতভর ট্রেকের শেষে পাহাড়ে সুর্যোদয়— এ-সব পেরিয়ে ওয়াড়া-পাও, ‘ওয়াড়াপ্পাও’, কলকাতায়, বালিগঞ্জে, ভবানীপুরে, আমার পাড়ায়? তারপর শুনলাম, শুধু বালিগঞ্জ কেন, সল্টলেক, তিলজলা, কলেজ স্ট্রিট, হাতিবাগান, কসবা, বড়বাজার – ওয়াড়া-পাও নাকি কলকাতা ছেয়ে ফেলেছে।’

অরুণ লাল

সৌরভকেই খেলানো উচিত

একটা মানুষ আস্তে আস্তে যেমন বড় হয়, সৌরভও তেমনই জীবনের নানা সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। পরিণত হয়েছে, বুদ্ধির পরিপক্কতা এসেছে। কিন্তু ওর সাহস আর শার্পনেসটা সেই ছোটবেলা থেকেই ওর মধ্যে ছিল। খানিকটা দুঃসাহসও বলা যেতে পারে। ভাইয়ের জন্মদিনে দাদা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৯

সৌরভ গাঙ্গুলি, এমন একজন খেলোয়াড়, যাঁর সম্পর্কে কথা বলতে গেলে কেউ তাঁর বিশেষ শট বা ফিল্ডিং সাজানোর কথা বলে না। বলে তাঁর অ্যাটিটিউড-এর কথা, তাঁর সাহসের কথা, তাঁর জেদের কথা, তাঁর কামব্যাকের কথা। এখানেই সৌরভের জয়। ক্রিকেট তাঁকে নিজস্ব গণ্ডিতে বেঁধে রাখতে পারেনি। সৌরভ কেবল ক্রিকেটের একটা পার্ট হয়ে থেকে যাননি, বরং ক্রিকেট তাঁর জীবনের একটা অঙ্গ হিসেবে রয়ে গেছে।

একটা লোক— যে নিউ ইন্ডিয়া গড়ে তুলেছিল

‘আমার সবসময়ে মনে হয়, এই নতুন ভারতবর্ষ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যাঁরা অগ্রণী, তাঁদের মধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলি অন্যতম। সমাজতন্ত্রের বেড়ি, ভয়, কৈফিয়ত, নতুন উদ্যোগ নেওয়ার মানসিকতার অভাব — সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে যেন গ্লোবাল পাওয়ারহাউজ হয়ে ওঠেন সৌরভ। তারপর থেকে যা যা হল— ধোনির হিসেবি দৈত্যসুলভ দক্ষতা, কোহলির এনার্জি — এইসব শুরু হয়েছিল গাঙ্গুলিকে দিয়ে।’

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৭

নচিকেতা প্রাণ ভরে গান গাইলেন, মীর মজার কথা বলে লোক হাসালেন। দর্শক দেদার হাসল। আর অ্যান্টনি? হাসির বদলে তাকে চেপে ধরল হাঁচি। বিড়ম্বনার শেষ নেই! কিন্তু কে সেই মেয়ে, যে তাকে প্রথমে অ্যান্টি অ্যালার্জিক দিয়ে শেষে আলাপ জমিয়ে ফেলল?

অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়

আমার ‘ক্যাপ্টেন’

‘বাবা-মা’কে নিয়ে লন্ডন বেড়াতে গেছি। মা প্রবল অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। ক’দিন লন্ডনে থাকতে হবে বুঝতে পারছি না। সৌরভ তাঁর লন্ডনপ্রবাসী কাকাকে দিয়ে নিজের ফ্ল্যাটের চাবি পাঠিয়ে দিলেন। দু’সপ্তাহের বেশি সেবার লন্ডন থাকতে হয়েছিল। মা’কে সুস্থ করেই কলকাতা ফেরাতে পেরেছিলাম।’ ব্যক্তিগত স্মৃতি।

The Man Who Built New India

I’ve always felt Sourav Ganguly was part of that pioneering generation that built this new India. Helping break the shackles of socialism, fear, apologies, and lack of entrepreneurial spirit, into what became/ has become a fierce global powerhouse. Whatever followed from there, the calculating genius of Dhoni, the energy of Kohli, it all began with Ganguly.

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৭০

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।