শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ৮
‘তাঁবুর মধ্যে এক পা রাখতেই ঘাড়ের বাঁদিকে একটা ধাতব শীতল স্পর্শ অনুভব করলেন কিশিমোতো। বুঝলেন একটা রিভলভারের নলের ডগা তাঁর ঘাড়ে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
‘তাঁবুর মধ্যে এক পা রাখতেই ঘাড়ের বাঁদিকে একটা ধাতব শীতল স্পর্শ অনুভব করলেন কিশিমোতো। বুঝলেন একটা রিভলভারের নলের ডগা তাঁর ঘাড়ে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
‘দু-হাত দিয়ে কপালে পড়া চুলগুলো সরাচ্ছে আর অচেনা সৌরভে ভরে যাচ্ছে চারপাশ। ফ্ল্যাট দেখানোর সময় এরকম মহিলা প্রচুর দেখেছে, কিন্তু এভাবে শুধু চোখ দিয়ে হাসতে কি কাউকে দেখেছে তপন? অনেক ভেবেও মনে করতে পারে না।’ নতুন গল্প।
‘আশ্চর্য ঠোঁট কামড়াল। আজ সারাদিন ড: ব্রহ্ম ঠাকুরের বাড়ির ওদিকটায় যাওয়া হয়নি। ব্রহ্মদা তাকে একটা দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। তিনি এবং এরিক দত্ত জরুরি মিশনে আন্দামান গেছেন। তাঁর অবর্তমানে বাড়িটার দিকে অন্তত একদিন অন্তর নজর রাখতে হবে।’
‘কিছুক্ষণ পর সুদীপ হাঁপিয়ে যায়। গোটা শরীর কাঁপতে থাকে। রক্তচাপ বাড়ে। শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুতগামী হয়। মাথার শিরা ফুলে ওঠে। কিন্তু এত দৌড়ঝাঁপ করেও প্রজাপতির নাগাল সে পায় না। তখন সে বিছানার ওপর ধপ করে বসে।’ বিফল চেষ্টা।
‘লতিকাদেবীর হাতে ধরা আলোকচিত্রের উপর দৃষ্টিনিবদ্ধ উপস্থিত সবার। বেশ পুরনো একটা সাদা কালো ফটোগ্রাফ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে— তিনকোণা উলটো ত্রিভুজের মতো গাছের ডালে বাঁধা তিনজোড়া ডাবের অদ্ভুত এক ফর্মেশন।’
‘তৃণা যে অপয়া তা সুদীপ বুঝেছিল বিয়ের দিনই। পানপাতা দু’দিকে সরিয়ে যখন শুভদৃষ্টি সম্পন্ন হল তখন তার দুটো চোখ কটকট করছিল খালি। প্রথমে সে ভেবেছিল তৃণার রূপ তার অনভিজ্ঞ বালক চোখে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
একজন মানুষের আদর্শের মৃত্যু হলে কি মানুষটি আর বেঁচে থাকে? বেঁচে থাকলেও, সে বাঁচা কেমন বাঁচা? তার সঙ্গে যারা ছিল, তারাও কি বেঁচে থাকে তখন, একই রকম সত্তা নিয়ে? না কি তারাও মরে গিয়ে অন্য মানুষ হয়ে যায়? আদর্শ অতি বিষম বস্তু। নতুন গল্প।
বাংলা ছবির ট্রেন্ডসেটিং পরিচালক ভবতোষ লাহিড়ী পরে আছেন একটা হাঁ করা হিংস্র ভাল্লুকের মুখোশ। এর আগে নিজেরই পরিচালিত ‘পলাতক’ ছবিতে তিনি অতিথি-অভিনেতা হিসেবে ভাল্লুকের মুখোশ পরেছিলেন।
এমন খবর পাবার পর আমরা কি আর বসে থাকতে পারি? সতীর্থের এমন দুঃসময় চাক্ষুষ করতে আমি-তৌফিক-সানোয়ার-বেলায়েত পাঁচবিবি চললাম। শ্রীপ্রমথনাথ বিশী নাকি লিখেছিলেন, ‘অন্বেষণেই তো মৃগয়ার আনন্দ।’ চললাম মৃগয়ায়।
‘ব্রহ্ম ঠাকুর হাতে কফির মাগ নিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে একটু রুক্ষস্বরেই বললেন— লতিকাদেবী, আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছি, লিডিয়ো কিপ্রিয়ানি সঠিক লেখেননি। ওঙ্গে এবং জারোয়ারা মানুষখেকো নয়।’
‘অম্লান আসলে কে? আমি, না কি আপনারা সবাই? না কি কেউ না, ওই আয়নাটা কিছু জানে, বোঝে? আমি নাচলে নাচে, কাঁদলে কাঁদে। কিন্তু বাকি কিছু? অম্লান মানে আমি, মানে আপনারা, এভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।’
‘লতিকা এক-এক করে সবার দিকে তাকালেন। তারপর নিজের চশমাটা একবার মুছে নিয়ে তীক্ষ্ণস্বরে বললেন— আমার করা প্রশ্নগুলো বোধহয় আমার নতুন বন্ধুদের কাছে একটু কঠিনই হয়ে গেছে!’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.