

জেম্মা
‘হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ির নীচে তেইশের এক প্রেম-তরুণীকে দাঁড় করিয়ে রেখে সটকে পড়েছে জলজ্যান্ত প্রেমিকটি। আর, অধীর আগ্রহে, অকথ্য বিশ্বাসে ভর করে সেই তরুণী সময় গোনে। গুনেই চলে। কেউ আসে না।’
‘হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ির নীচে তেইশের এক প্রেম-তরুণীকে দাঁড় করিয়ে রেখে সটকে পড়েছে জলজ্যান্ত প্রেমিকটি। আর, অধীর আগ্রহে, অকথ্য বিশ্বাসে ভর করে সেই তরুণী সময় গোনে। গুনেই চলে। কেউ আসে না।’
‘এই ফ্ল্যাটের প্রতিটা জিনিস কীভাবে ওরা কিনেছে, সাজিয়েছে— সব মনে পড়ে যায়। এক মুহূর্তে সব বৃথা হয়ে যাবে? কোনও কি উপায় নেই? উপায় নেই বলেই তো আজকের এই দিনটা, তাই না?’
‘এক মাস আগে দেবুর জ্বর হয়। রক্ত পরীক্ষায় দেবুর শরীরে এক মারাত্মক রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তার দেবু-কে জানিয়ে দেয়, খুব বেশি হলে আর দু-মাস। এই কিছুদিন আগেও ওরা সিকিম থেকে ঘুরে এলো, একদম সুস্থ। হঠাৎ কী হয়ে গেল?’
‘তপেশের কথায় যেন হালকা রসিকতা। সদ্য মাতৃবিয়োগ হয়েছে, অথচ ওর চালচলনে শোকের বদলে যেন ভারমুক্তির স্বস্তি। শেষের দিকে বিনু কি খুব ভুগছিল? কই, তেমনটা তো শোনেননি! নিশিকান্ত মনে-মনে ক্ষুণ্ণ হলেন।’
দাসপাড়াতে গোলাপি রঙের কুয়াশা ভেসে বেড়ায়। অলিগলি দিয়ে মা হারা বাছুরের মতো কেঁদে বেড়ায়। বছর কুড়ি আগে এখানে প্রচুর পুকুর ছিল। সেগুলো বুজিয়ে ফেলে তৈরি হয়েছে মানুষের বাসস্থান, কুৎসিত দেখতে ফ্ল্যাটবাড়ি। তারপর থেকে বিকেল থাকতেই কুয়াশা।
‘ইনি, ছন্দের কবিতা লেখেন, ইনি অ-ছন্দের কবিতা লেখেন, ইনি গোল গল্প লেখেন, ইনি চৌকা গল্প লেখেন। আচ্ছা প্রেমের জন্য এমন কেউ স্পেশালিস্ট থাকতে পারেন না? যেমন ইনি বেঁটে স্পেশালিস্ট, ইনি লম্বা স্পেশালিস্ট। ইনি মেয়ের মেয়ে নয়, মেয়ের মা স্পেশালিস্ট।’
‘রুমকি টেবিলের তলা দিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল, সত্যি তো, বড়দির হারমোনিয়াম আর তবলা-ঢাকা কাপড়টার ওপর পুরু ধুলো জমেছে। তার ওপর মুড়ি আর বিস্কুটের কৌটো রাখা। রুমকির খুব ইচ্ছে করে রিডগুলো একবার বাজিয়ে দিতে।’ নতুন গল্প।
‘হঠাৎ খবর এল, হিজলার বড়ভাইকে বাঘে নিয়ে গেছে। তখন সে আমাদের বাড়িতে এসে আস্তানা গেড়েছে। ওর ভাই মউলিদের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়েছিল মধু ভাঙতে। সঙ্গীরা তাকে বাঁচাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দক্ষিণরায়ের সঙ্গে পেরে ওঠে, সাধ্য কার!’
‘তোমার মতো লাখো মেল রোজ আসে, বিশেষ দেখি না। তবে যেটুকু চোখে পড়ে, তাতে ব্যাকুলতার আড়ালে হিংস্র অভিযোগ থাকে। মনে হয় নিজের মতো থাকাটা যেন অন্যায়। আমার বডি আমি আড়ালে রাখব না সামনে, সেটা তো সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার।’ নতুন গল্প।
‘পাহাড়ের আড়াল থেকে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা দিতেই, কুকুর বাবাজি মাথা উঁচিয়ে, ভয়ঙ্কর এক চিৎকার ছাড়লেন। সঙ্গে-সঙ্গে আশেপাশের এবং জঙ্গলের যত কুকুর-শেয়াল-নেকড়ে ইত্যাদি ছিল সবাই গলা মেলাল!’ বেড়াল, মাছ আর একটা কুকুরের গল্প।
‘বুড়ো পাঁঠা চিবোতে গিয়ে চোয়াল খুলে যাওয়ার জোগাড়। আর বোঁটকা গন্ধ। তবু তা-ই বা দেয় কে? জুত করে আলু-ঝোল দিয়ে ভাত খাচ্ছিল সুবল। একটু মেটুলিও রেখেছিল শেষপাতে খাবে বলে। তিনকড়ির অবস্থা দেখে খাওয়া মাথায় উঠল।’ নতুন গল্প।
‘অপর্ণার গানের গলা ভাল। পাশের সেক্টরগুলোতেও অনুষ্ঠানে ট্র্যাক বাজিয়ে গান গায়। নিজের ইউটিউব চ্যানেলও আছে। যাকে বলে, ‘লোকাল সেলেব্রিটি’। সেই সূত্রেও কিছু অবাঙালি বন্ধুও এসেছে। রজত দরজার দিকে তাকিয়ে ছিল।’ নতুন গল্প।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.