

উপত্যকাহিমপর্ব
‘ঘুড়ি আটকে আছে পেঁচিয়ে একটা ঝাঁকড়া গাছের ডালে/ আলতো হাওয়ায় জট বাড়ে/ অনুভূমিক অনেক দূরে কত হিজিবিজি লেপটে আছে/ অনেকগুলো ঈশ্বর আর দূতেরা উল্লম্ব দুলছে’ নতুন কবিতা।
‘ঘুড়ি আটকে আছে পেঁচিয়ে একটা ঝাঁকড়া গাছের ডালে/ আলতো হাওয়ায় জট বাড়ে/ অনুভূমিক অনেক দূরে কত হিজিবিজি লেপটে আছে/ অনেকগুলো ঈশ্বর আর দূতেরা উল্লম্ব দুলছে’ নতুন কবিতা।
‘ওই যে ফণা, বাসুকিরাজ/ ইচ্ছেমতন হচ্ছে দরাজ/ লতিয়ে চলে, লুটিয়ে লাজ/ মিলন, বাঁকা দহে…/ ফাতনা নড়ে, অধোবদন/ শিকার বলে, ‘হে উন্মাদন!/ যাতনা এক আমারই ধন/ বুভুক্ষু বিরহে।’ নতুন কবিতা।
‘মিছিল তোমায় চেনাল এই দেশে/ ওই ভেসে যায় তরণীবক্তৃতা—/ দ্যাখেইনি যে, কী করে আঁকবে সে/ নদীর উপর জ্বলন্ত সেই চিতা?/ বরং তাকে বিচার করা ভাল/ যে-বালিকা প্রবঞ্চনায় ধীর…/ তোমার প্রিয় তরুণ পরিচালক—/ আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।’ নতুন কবিতা।
‘এলিয়টও কী ভেবেছিলেন রবীন্দ্রনাথের মতো— শতবর্ষ পরে তাঁর কবিতা কীভাবে পৌঁছবে পাঠকের কাছে? গত এক শতাব্দী জুড়ে ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ পড়া ও আলোচনা হয়েছে মূলত প্রথম মহাযুদ্ধের পটভূমিতে। আমাদের প্রজন্ম মহাযুদ্ধ দেখেনি। কিন্তু টানা দু’বছর ভয়াবহ অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করেছি আমরা। গত এপ্রিল বা তার আগের মার্চের মৃত্যুমিছিল দেখতে দেখতে, কিংবা ঘরে ফেরার টানে বান্দ্রা স্টেশনের বাইরে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের ছবি দেখে মনে পড়েছে এলিয়টের পংক্তি, ‘Unreal city!… I had not thought death had undone so many…’।’
‘যে আছে সে দূরে আছে, কাছের পাড়ার খুঁটিনাটি/ টানে না তোমাকে আর। গোপন ডানায় বেঁধে কাঁধ/ তুমি তাই উড়ে চলো বেশহর, বন্দরের ঘাঁটি/ মরমে মরে না প্রেম, অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ।’ নতুন কবিতা।
‘মগজগুলো ফেটে ছড়িয়ে যায় ছত্রভঙ্গ রাস্তার মোড়ে/ সমুদ্রগন্ধ আর বুনো তামাক জড়িয়ে থাকে পেন্টব্রাশে/ আমার প্রপিতামহ অবয়ব পাশে বসে থাকে/ ফ্লাইওভারে দৌড়ে ঝুলে থাকে একতাল সুতো ঘুড়ি স্ফটিককম্পাস’ নতুন কবিতা।
‘নরম পোকা তার নাক দিয়ে মুখ দিয়ে ঢুকে গিয়েছে
পেটে, কমলিনীর কফিশপ থেকে অর্ডারিত কফি তার পেটে গিয়ে উষ্ণতা হারিয়ে ফেলেছে পোকাগুলিকে মারতে মারতে
পটিতে পোকার দেহগুচ্ছ দেখে সে বেশ মজাই পেয়েছে পর দিন প্রাতে’। নতুন কবিতা
‘আমি ব্যঞ্জনের অধীন, ভুখাপেটে কলম নুয়ে পড়ে।/ রোদে কষ্ট পাই তার চেয়ে বেশি কষ্ট ওই দেহজ গন্ধ কেন হাওয়ায় উড়িয়ে যাও।/ ছিঁড়ে খাই, ততটা হিংস্র নই। রবীন্দ্রগান আমাকে মৃদুল ঢ্যামনা করেছে।’ নতুন কবিতা।
‘আমার বাড়ি নামুক রুটি/ আমার পাতে পড়ুক স্যুপ/ আমার ছোট বাচ্চাদুটি/ সব বুঝেও থাকুক চুপ/ যুদ্ধ কত প্রয়োজনীয়/ না-ই বা ফেরে ক’জন লোক/ তাদের তুমি কবর দিও/ আমার গাছে আপেল হোক’ নতুন কবিতা।
‘ঘুমিয়ে পড়বার পর সে স্বপ্নে দেখেছে/ একদল কুকুর এসে তার/ নিষ্প্রাণ শরীর/ছিঁড়ে-ছিঁড়ে খায়।/ ঘুম ভেঙে সে প্রতিদিন ভাবে/ কেন একটুও রক্ত পড়ে না মাটিতে!’ নতুন কবিতা।
‘আমার কান বদলে গেছে অপরূপ যোনিতে।/ তোমার সমস্ত কথা পুরুষাঙ্গ হয়ে প্রবেশ করছে ভিতরে।/ ধীরে ধীরে রাঙা মেঘের ভিতর দিয়ে উঁকি দিল সন্ধ্যাতারা,/ উড়োজাহাজ চলে যাওয়ার চিহ্ন আকাশে।/ ভিতরে ভিতরে রমণ চলেছে আমাদের,/
আর খুলে খুলে যাচ্ছে মেরুদণ্ডে লুকানো গুপ্ত-সন্ধ্যা’ নতুন কবিতা।
‘বন্যাত্রাণে আমি পাঠিয়েছি বেশ কিছু কলার মান্দাস/ আর কিছু চাতকপাখির দল/ তারা মেঘকে গালাগালি দিয়ে পাঁজরে ফিরবে আমার/ তোমার তাতেও রাগ?/ কেন? আমি কি সমস্ত ডুবন্ত মানুষকে আগুন শেখাব?/ সেইটেই হবে আমার শাস্তি?’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.